পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধ উৎসব বৈশাখের শেষ সপ্তাহে বিবিধ প্রসঙ্গ লিখিতে বসিয়াছি। ভারতীয়দের পক্ষে, মানবজাতির পক্ষে, যে মুমহান ঘটনাগুলি এই বৈশাখে ঘটিয়াছিল, তাহ শাক্যসিংহের জন্ম, বুদ্ধত্বলাভ, মহাপরিনিৰ্ব্বাণানন্তর দেহত্যাগ। আড়াই হাজার বৎসর পূৰ্ব্বে তিনি নিজের উপর প্রভুত্ব স্থাপন করিয়া অপর সকলকে সেই সাধনা ও সিদ্ধির পথ দেখাইয়া গিয়াছেন। প্রত্যেকের এই স্বরাজ্যলাভ সত্য জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় স্বরাজ্যলাভের প্রকৃত ভিত্তি। বর্তমান সময়ে যখন ভারতবর্ষে স্বরাজ্যলাভের জন্ত ব্যগ্রতা প্রকাশিত হইতেছে, তখন স্বাধীনতার, মুক্তির, এই পরমগুরু সকলের স্মরণীয় ও পূজনীয়। তিনি মৈত্রীর শ্রেষ্ঠ সাধক ও উপদেষ্ট । র্তাহার মৈত্রী শুধু সকল মানুষকে নয়, সকল জীবকে আলিঙ্গন করি য়াছে। মানবেতর প্রাণীসকলেরও প্রতি এমন আত্মীয়তার ভাব তাহার পূৰ্ব্বে বা পরে আর কোন শিক্ষক দেখাইতে পারেন নাই । জাভার বোরোবুছরের মন্দির দেখিয়া রবীন্দ্রনাথ তাহার কন্যা শ্ৰীমতী মীরা দেবীকে যে চিঠি লিখিয়াছিলেন তাহাতে আছে— “অষ্ঠ মন্দিরে দেখেছি সব দেবদেবীর মূৰ্ত্তি, রামায়ণ মহাভারতের কাহিনীও খোদাই হয়েচে । এই মন্দিরে দেখতে পাই সৰ্ব্বজনকে— রাজা থেকে আরম্ভ ক’রে ভিখারী পৰ্য্যস্ত। বৌদ্ধধর্মের প্রভাবে জনসাধারণের প্রতি শ্রদ্ধা প্রবল হ'য়ে প্রকাশ পেয়েছে ; এর মধ্যে শুদ্ধ মামুষের নয়, অস্ত জীবেরও যথেষ্ট স্থান আছে । জাতক কাহিনীর মধ্যে খুব একটা মস্ত কথা আছে, তাতে বলেছে যুগ যুগ ধ’রে বুদ্ধ সৰ্ব্বসাধারণের মধ্য দিয়েই ক্রমশঃ প্রকাশিত। প্রাণী- , জগতে নিত্যকাল ভালো-মন্সর যে দ্বন্দ্ব চলেচে, সেই দ্বন্ধের প্রবাহ ধরেই ধর্থের শ্রেষ্ঠ আদর্শ বুদ্ধের মধ্যে অভিব্যক্ত। অতি সামাষ্ঠ জন্তুর ভিতরেও অতি সামান্তরূপেই এই ভালোর শক্তি মন্দর ভিতর দিয়ে নিজকে ফুটিয়ে তুলচে। তার চরম বিকাশ হচ্চে অপরিমেয় মৈত্রীর শক্তিতে আত্মত্যাগ ! জীবে জীবে লোকে লোকে সেই জসীম মৈত্রী অল্প অল্প ক'রে নানা দিক থেকে আপন গ্রন্থি মোচন কাচে, সেই দিকেই মোক্ষের গতি। জীব মুক্ত নয়, কেন মা আপনার দিকেই তার টান ; সমস্ত প্রাণীকে নিয়ে ধর্থের যে অভিব্যক্তি, তার প্রণালী পরম্পরায় সেই আপনার দিকে টানের পরে আঘাত লাগৃচে। সেই আঘাত মে-পরিমাণে যেখানেই দেখা যায় সেই পরিমাণে সেখানেই বুদ্ধের প্রকাশ। মনে আছে ছেলেবেলায় দেখেছিলুম ঘড়িতে বাধা ধোপার বাড়ীর গাধার কাছে এসে একটি গাভী স্নিগ্ধ চক্ষে তার গা চেটে দিচ্চে ; দেখে আমার বড় বিস্ময় লেগেছিল। বুদ্ধই যে তার কোনো এক জন্মে সেই গাভী হতে পারেন একথা বলতে জাতক কথা লেখকের একটুও বাধত না। কেন না, গভীর এই স্নেহেরই শেষ গিয়ে পৌচেছে মুক্তির মধ্যে। জাতক কথায় অসংখ্য সামান্যের মধ্যে দিয়েই চরম অসামান্যকে স্বীকার করেছে । এতেই সীমান্য এত বড়ো হয়ে উঠল। সেই জন্যেই এতবড়ো মন্দিরভিত্তির গায়ে গায়ে তুচ্ছ জীবনের বিবরণ এমন সরল ও নিৰ্ম্মল শ্রদ্ধার সঙ্গে চিত্রিত। ধর্শ্বেরই প্রকাশ-চেষ্টার আলোতে সমস্ত প্রাণীর ইতিহাস বৌদ্ধধর্থের প্রভাবে মহিমান্বিত ।”-বিচিত্র, চৈত্র ১৩৩৪ । ss==sı রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন গত ২৫শে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ ত হার জীবনের সাতষটি বৎসর অতিক্রম করিয়া আটঘটি বাৎসরে পদার্পণ করিয়াছেন। এই উপলক্ষ্যে বিশ্বভারতী সন্মিলনী তাহার জোড়াপাকেস্থিত ভবনে তার জন্মোংসবের আয়োজন করেন। কবির ইউরোপ যাত্রার প্রাক্কালে তাঁহাতে ভক্তি ও প্রতিমান সকলকে তাহাকে দেখিবার, তাহার কথা শুনিবার s তাহাকে প্রণাম করিবার হযোগ দিয়া সন্মিলনী তাহাদের কৃতজ্ঞতাভাজন হইয়াছেল। বন্দোবস্ত উত্তম হইয়াছিল, যদিচ শান্তিনিকেতনের প্রাকৃতিক আবেষ্টনের মধ্যে ও কবির জীবনের নানা স্থতির সহিত জড়িত নানা পাঞ্জে মধ্যে র্তাহার জন্মোৎসবের যে-বিশেষত্ব পরিস্ফুট হয়, कणिकांठांब ठाँहीं हईवॉब्र गखांदन बाहे। वह्नरशक ভদ্রমহিলা ও ভদ্রলোক উৎসবে যোগ দিয়াছিলেন। তাহার মধ্যে বিদেশীও কয়েক জন ছিলেন। উৎসব প্রাচীন