পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రీసిరి সন্তান বিক্রয়, সন্তান পরিত্যাগ বা কুপে নিক্ষেপ, উদ্বন্ধনে প্রাণত্যাগ, এ সব এখনও ইংরেজ-অধিকৃত তারতের কোথাও কোথাও ঘটে। সম্প্রতি দিনাজপুর জেলায় ইহা ঘটিয়ছে । * লেখক আরও বলিতেছেন, যে, যে-সব জায়গা অনাবৃষ্টির মুলুক বলিয়া জ্ঞাত, সেখানেও কুপাদি হইতে জলসেচনের বন্দোবস্ত থাকায় আর দুর্ভিক্ষ হয় না। বাঁকুড়া এমন একটি জেলা যেখানে যথা সময়ে উপযুক্ত পরিমাণে বৃষ্টি না হইলে দুর্ভিক্ষ হয়, কয়েক বৎসর অন্তর অন্তর হইয়া আসিতেছে। এ বৎসরও হইয়াছে। তথাকার দুর্ভিক্ষক্লিষ্ট লোকদের সাহায্যার্থ ইংরেজ ম্যাজিষ্ট্রেটের স্বাক্ষরিত একটি ভিক্ষাপত্রে লিখিত হইয়াছে – “The rainfall last year was deficient,especially at the times when it was most needed for the planting and subsequent growth of the paddy crop, which forms the mainstay of life to a great majority of the population of this District. Investigation has shown that over large areas either no paddy could be planted at all or the crop planted was only a miserable fraction of the normal yield.” কৃত্রিম উপায়ে জল সেচনের যদি যথেষ্ট বন্দোবস্ত থাকিত, তাহা হইলে কি এরূপ অজন্ম হইতে পারিত ? বঙ্গে দুর্ভিক্ষ এবার বঙ্গের নানা জেলায় দুর্ভিক্ষ হইয়াছে। দিনাজপুর, যশোহর, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাকুড়া প্রভৃতি জেলার কোন-না-কোন স্থানে বা সৰ্ব্বত্র লোকের অন্নাভাব । ঘটিয়াছে। এই সব জেলার মাটি এক রকমের নয়। সম্বৎসর যে-সব নদীতে জল থাকে, এরূপ নদী দুর্ভিক্ষক্লিষ্ট স্থানগুলির কোথাও আছে, কোথাও নাই। এইজন্ত দুর্ভিক্ষের কারণ সব জায়গায় এক নয়। কারণ যাহাই হউক, যাহাতে আল্লাভাবে কোথাও কাহারও প্রাণ না যায় সেরূপ চেষ্টা সৰ্ব্বত্র হওয়া চাই। অন্নাভাবে অখাদ্য কুখাদ্য খাইয়া বদি উদরের পীড়ায় মানুষ মারা যায়, তাহা সরকারী অভিধান অনুসারে অন্নাভাবে মৃত্যু না হইলেও বস্তুতঃ বটে। দুর্ভিক্ষক্লিষ্ট স্থানগুলিতে সচরাচর অল্পদান, পানীয় প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৫ AASAASAA AAAA AAAAMMAMMAeeASAMAMMAMAMMAAAA t২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড জলদান, বস্ত্রদান ও চিকিৎসার বনোবস্ত করিতে হয় অনেক স্থানেই দরিদ্র পরিবারের, কোথাও কোথাও মধ্যবিত্ত পরিবারের স্ত্রীলোকেরা কাপড়ের অভাবে সাহায্য লাভের চেষ্টায় বাড়ীর বাহিরে আসিতে পারেন না। সকল দলের খসড়া স্বরাজ-আইন ভারতবর্ষের সকল রাজনৈতিক দল মিলিয়া, তারতীয় স্বরাজ কিরূপ হইবে, তাহার একটি খসড়া আইন তৈরী করিতেছেন। তাহার জন্ত সকল দলের কন্‌ফারেন্স একটি কমিটি নিযুক্ত করেন। এই কমিটি ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাসে যাহা করিয়াছেন, তাহার একটি রিপোর্ট বাহির করিয়া ১লা মের মধ্যে তৎসম্বন্ধে যাহার যাহা বক্তব্য সম্পাদককে জানাইতে লিখিয়াছিলেন। তদনুসারে আমরা মে মাসের মডার্ণ রিভিউ কাগজে কিছু লিখিয় তাহ তাহাকে পাঠাইয়া দিয়াছি। এমাসে প্রবাসীতে রিপোর্টটির আলোচনা না করিবার কারণ ছুটি—প্রথমতঃ ১লা মে তারিখ উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে, দ্বিতীয়তঃ কমিটিতে বাংলা দেশের প্রতিনিধি একজনও নাই, সুতরাং বাংলায় কিছু লেখা পণ্ডশ্রম। শ্ৰীমতী সরোজিনী নাইডু বাঙ্গালীর কন্ঠ, কমিটিতে আছেন ; কিন্তু তিনি বঙ্গের প্রতিনিধি নহেন, হইঠে পারেন না, এবং বাংলা পড়িতে পারেন না। বাংলা দেশকে যথাসম্ভব বাদ দিয়া কাজ করা নিখিলভারতীয়” নানা ব্যাপারের কর্তৃপক্ষের একটস ফ্যাশন দাড়াইয়া যাইতেছে। সুতরাং আলোচ্য কমিটি হইতে বাংলাদেশ বাদ পড়া গুরুতর ব্যাপার নাও হইতে পারে। কিন্তু উহা হইতে বাংলা ছাড়া আরও অr-নক অঞ্চল বাদ পড়িয়াছে। সেইজন্য বিষয়টির একটু সংক্ষিপ্ত আলোচনা করিব। ( স্বরাজে ব্রিটিশ-অধিকৃত ভারতবর্ষের সহিত দেশী রাজ্যগুলির কিরূপ সম্বন্ধ হইবে, তাহারা কিরূপে একত্র সম্বন্ধ হইবে, তাহা কমিটির একটি আলোচ্য বিষয়। র্তাহারা আলোচনা করিয়া একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন ও । i অথচ দেখা যাইতেছে, যে, কটি বাইশ জন সভ্যের মধ্যে একজনও কোন দেশী ब्रारबाब প্রতিনিধি নহেন ৷