পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানবসৃষ্টি ও বর্ণাশ্রম (বৌদ্ধ অগঃ স্বত্তান্ত হইতে সঙ্কলিত ) ঐ নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত কোন সময় বুদ্ধদেব কিছুকাল শ্রাবস্তী নগরের নিকটে একটি উদ্যানবাটিকায় অবস্থান করতেছিলেন। ঐ সময় अनिई ७ खबरांत्र नायक झहेजन बांकन डिकू रहेबांद्र यांनप्न সেই স্থানে বাস করিতেন। অপরাতুকালে স্বৰ্য্যাস্তের সময় ধ্যান সমাপন করিয়া তথাগত বাটীর সম্মুখে ইতস্ততঃ পাদচারণ করিতেছিলেন । বশিষ্ঠ ভরদ্বাজকে কছিলেন, “আইস, আমধা প্রভুর সমীপে গমন করি, ভাগ্যক্রমে হয়ত তাহার মুখে ধৰ্ম্মপ্রসঙ্গ শুনিতে পাইব ।” তাহারা দুই জনে বুদ্ধদেবের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া র্তাহাকে অভিবাদন করিয়া, তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ পাদচারণ করিতে লাগিলেন । বুদ্ধদেব বশিষ্ঠকে কছিলেন, “তোমরা ব্রাহ্মণ, ব্রাহ্মণকুলে জন্মগ্রহণ করিয়া, গৃহত্যাগ করিয়া গৃহশূন্ত জীবন অবলম্বন করিয়াছ । এ কারণে ব্রাহ্মণের তোমাদিগের লিনা ও তোমাদিগকে কটুক্তি করে না ?” “ই প্রভু ব্রাহ্মণের আমাদের নিনা করে ও কটুকথা বলে ও অনেক গালি দেয়।” : “কি বলিয়া তোমাদের নিন্দ করে ?” *তাহারা বলে, সমাজে কেবল তাহারাই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট জাতি, অপর সকল জাতি হীন। কেবল তাহার গৌরবর্ণ, অপর সকলে কৃষ্ণবর্ণ। কেবল তাহাঁদের বংশ বিশুদ্ধ, অপর জাতির নয় । শুধু তাহারাই ব্ৰহ্মার সত্তান, ব্ৰহ্মার মুখ হইতে উৎপন্ন, ব্ৰক্ষার ঔরসজাত, ব্ৰহ্মা কর্তৃক কৃষ্ট, ব্ৰহ্মার বংশধর। আমাদিগকে বলে, তোমরা এমন কুল ত্যাগ করিয়া নীচ-শ্রেণীতে মিশিয়াছ—মুণ্ডিত-মস্তক नशांनी, नौकचांउँौद्र शनैौ, झ्कदर्न थालि, बकांब नक्थांड স্বশিত শ্রেণীভুক্ত হইয়াছে। এমন কৰ্ম্ম তোমাদের পক্ষে फेछथ इह नहेि, निरजब्र फेछदरन छांग कब्रिब cकभश्वथ বর্জিত ভিক্ষুসমূহ, কৃষ্ণকায়, আমাদের পদানত ঘাসগণতুল্য নীচ দলে প্রবেশ করিয়াছ। এইরূপ আমাদের অনেক নিন্দ করে ।” বুদ্ধদেব কহিলেন, “বশিষ্ঠ, ব্রাহ্মণের প্রাচীন কথা নিশ্চিত বিস্তুত হইয়াছে। ব্রাহ্মণীদিগের সস্তানাদি হইয়া থাকে, তাহারা সত্তান প্রসব করে ও লালনপালন করে। এইসকল গর্ভজাত ব্ৰাহ্মণেরাই আবার বলে তাহারা যথার্থই ব্ৰহ্মার সন্তান, তাহার মুখ হইতে সমুৎপন্ন, তাহারই স্বঃ, তাহারই বংশধর। এমন কথায় ব্ৰহ্মার স্বভাবকে বিদ্রুপ করা হয় । ইহা মিথ্যা কথা এবং ইহাতে পাপ द्व्श्च ।

  • বশিষ্ঠ, সমাজে চারি শ্রেণী আছে। ক্ষত্রিয়, ব্রাহ্মণ, বৈত ও শূদ্র। হয়ত কোন ক্ষত্রিয় হত্যা করে, কিন্তু চুরি করে, অসচ্চরিত্র, মিথ্যা কথা কহে, পরনিনা করে, কটুকথা বলে, লোভী, দুষ্টপ্রকৃতি অথবা ভ্রাস্ত মতাবলম্বী। আর্য্যের অনুপযুক্ত সকল প্রকার দোষ তাহাতে আছে। আবার কোনও ব্রাহ্মণ, বৈপ্ত অথবা শূদ্রেও এইসকল দোষ লক্ষিত হইতে পারে। অপর পক্ষে, এমন ক্ষত্রিয়, ব্রাহ্মণ, বৈপ্ত ও শূদ্ৰ দেখিতে পাওয়া যায় যাহাদের এসকল দোষ নাই।

ভাল মন্দ উভয় গুণ সকল জাতিতেই আছে, অতএব ব্ৰাহ্মণের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করিতে পারা যায় না । এই চারি জাতির মধ্যে যে-কেহ ভিক্ষু শ্রেণীভুক্ত হইয়াছে অথবা অহং পদবী লাভ করিয়াছে, যে-কেহ পাপ বিনাশ করিয়া পবিত্র জীবন যাপন করিয়াছে, কর্তব্য পালন করিয়াছে, ভার নামাইয়া মুক্তি লাভ করিয়াছে, পুনর্জন্মের শৃঙ্খল ভঙ্গ করিয়াছে এবং জ্ঞান লাভ করির মুক্ত হইয়াছে সেই শ্রেষ্ট। “এই সাম্য ধৰ্ম্ম কিরূপে রক্ষা করিতে হয় ? ইহার দৃষ্টাত্ত দেখ। কোশল-রাজ প্রসেনজিৎ অবগত আছেন যে,