পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२० MAMAMAM MMAS AAASASMSMAMMSAMASMMSeeSAM MAMBBASAABBBSASAAASAAA SASA -ईIां । —তা হোক। টক নেমেচে। একটু বদ বাবুআনতে বলে দিয়েচি, বলিয়া বিরাজ সেইখানে বসিয়া পড়িল । —বে কেমন আছে, বাবু? ডাক্তার এসেছিল ? — না, কাল আসবে। বিরাজ বলিতে লাগিল, আমার ছোট বোনটির অমনি এক শক্ত ব্যারাম হয়েছিল। আমরা তখন কাশীতে থাকি। ডাক্তার কবিরাজ ত এক রকম জবাবই দিয়েছিল। মণিকর্ণিকার ঘাটে এক সন্ন্যাসী ঠাকুর থাকৃত—কারু সঙ্গে কথা কইত না । মা তার কাছে গিয়ে ধল্লা দিয়ে পড়ল। অনেক হাতে-পায়ে ধরবার পর একদিন আমাদের বাড়ী এসে কমণ্ডলু থেকে গড়িয়ে একটু জল বোনকে থেতে দিলে। কি বলব আশ্চর্য্য কাও ! সেই দিন থেকে বোন আরাম হতে লাগল । রাম-ঠাকুরের গলার আওয়াজ শোনা গেল—বিরাজ তামাক দে । বিরাজ উঠিয়া শিড়াইল । জালাতন ! দুই দণ্ডও কি কোথাও বসিয়া থাকিবার জো আছে ? –এই নাও বাবু, হাতে ক’রে রাখ। এর পর তোমার হয় ত মনেই থাকৃবে না, বলিয়া আলগোছে দুইটা পান প্রকাশের হাতে দিয়া বিরাজ চলিয়া গেল । প্রকাশ বাহিরে চলিয়া আসিতেছিল এমন সময় রামঠাকুর, তাছাকে ডাকিয়া বলিল—বাবুর দেখচি কিছু বাকী পড়েচে । এখন কয়েকটা টাকা দিলে হত না ? প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৫ [ ২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAASA SAASAASAASAASAASAASAA AAASMMAMMAMMSAAAAAS .محمد مه همه مر۰-مس، س প্রকাশ কহিল,—এখন ত আমার হাতে কিছু নাই রাম-ঠাকুর। আর কয়েক দিন সবুর কর । কণ্ঠস্বর মোলায়েম করিয়া রাম-ঠাকুর বলিতে লাগিল, কি জানেন বাবু, আমার হচ্চে মাছের তেলে মাছ ভাজা । আপনাদের টাকা নিয়ে আপনাদের খাওয়াব। যোল টাকা আপনার কাছে পড়ে থাকাও যা, আর আমার ঐ সিন্ধুকে থাকাও তা । , কলিকায় ফু দিতে দিতে বিরাজ আসিয়া উপস্থিত হইল। রাম-ঠাকুর বলিল,—খরচ-পত্র ত কম নয়, বাবু। আপনার না দিলে আমার সাধ্য কি এত সব খরচ চালাই। এই ধরুন, বাড়ী ভাড়া পঞ্চাশটি ক’রে টাকা— মাসের পহেল! তারিখে গণে দিতে। তারপর বিরাজের মাহিনী সাত টাকা— বিরাজ বলিয়া উঠিল, ওমা সাত টাকা আবার কবে দিলে ? রাম-ঠাকুর ধমক দিল,—তুই চুপ কর। তারপর কহিল, আমার ত বাবু জমিদারি তালুকদারি নেই যে, তাই থেকে হোটেল চালাব। আপনাদের দয়ার উপর নির্ভর । কিন্তু এও বলিব বাবু, রাম-ঠাকুর ভাল মানুষ- খদের টাকা দিতে সবুর করে, রাম-ঠাকুর খাওয়াতে সবুর করে না। কিন্তু আর কোন হোটেল হলে অভ্যন্ত রকম ব্যবস্থা হত । অপমানে প্রকাশ মরিয়া গেষ্ট । —দু-দিন অপেক্ষা কর ঠাকুর। তারপর যেমন ক’রে হোক তোমার টাকা মিটিয়ে দেব, বলিয়। আর তিলাদ্ধ বিলম্ব না করিয়া সে রাস্তায় বাহির হইয়া পড়িল ৷ ” [ ক্রমশঃ সম্পাদকের চিঠি কয়েক দিন হইল, আমার বয়স আরও এক বৎসর বাড়িয়াছে এবং আমি মৃত্যুর দিকে আরও একটু অগ্রসর হইয়াছি। আমার জীবনের নূতন বৎসর আরম্ভ হইবার পূৰ্ব্বদিন জীবনের অতীত কালের নানা ঘটনা ও অবস্থার কথা ভাবিতেছিলাম, এমন সময় হঠাৎ শিলচরে সুরম সাহিত)-সম্মিলনীতে যে রাজনৈতিক প্রস্তাবটি আলোচিত হইতে দি নাই, তাহার বিধয় মনে পড়িল। মনে হইল, সাহিত্যবিষয়ক সভাতে রাজনৈতিক কোন প্রস্তাবের আলোচনা সাধারণতঃ অযৌক্তিক ও অনাবশ্বক বটে, কিন্তু রাজনীতি যদি সাহিত্যকে আঘাত করে, তাহা হইলে তাহার প্রতিবাদ করিবার অধিকার সাহিত্যের অবশুই থাকা উচিত। ঐযুক্ত শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের