পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা] (t& 2. পড়িতে দিয়া আলিত। নিজেসে কোন বইয়ের এক অধি পাতা উণ্টাইত, কোনটা একেবারে ছুইতও না। মাসিক পত্রগুলি মাঝে মাঝে পড়িত। কৃঞ্চাকে বই ধার দিয়া, তাহা ফিরাইয়া লইলার তাহার কোনই উৎসাহ দেখা যাইত না ; হাজার বার বলিলেও যেখানকার বই সেইখানেই থাকিয়া যাইত। টেবলের উপরের বই যখন সিলিংএ ঠেকিবার উপক্ৰম করিত, তখন কৃষ্ণ বাধ্য হইয়া হয় তড়িৎ, নয়ত কোনো চাকরকে ডাকিয়া যাহার সম্পত্তি তাহার ঘরে চালান করিয়া দিত। তড়িৎ ও দুই চারবার গিয়া আর যাইতে চাহিত না। তাহাকে বইয়ের গাদা হাতে ঘরে ঢুকিতে দেখিলেই বিপিন তাড়া দিয়া উঠিত, “আমার ঘরটা কি গুদাম পেয়েছিস্ ? দেখত তাকিয়ে, এখানে অত বই রাখবার জায়গা আছে।” তড়িৎ বলিত, “আমি কি জানি ? তুমি কৃষ্ণাদিকে জিগগেস ক’রে গিয়ে ! তোমার ঘরোজায়গা না থাকে, তুমি বই না কিনলেই পার ?” বিপিন বলিল, “মাহা, কিনেছি ত চোরের দায়ে ধরা পড়েছি। আমার মাথার উপরেই ওগুলো থাকতে হবে, এমন কোনো আইন হয়েছে না কি ? তোমার কৃষ্ণাদির অতবড় ঘরে এগুলোর আর জায়গা হ’ল না ?” তাহার পর হইতে, লইয়া যাইবার লোকের অভাবে অনেক বই কৃষ্ণার ঘরেই থাকিয়া যাইত। জিনিষের অযত্ন করা বা ঘর অগোছাল করিয়া রাখা, কৃষ্ণার স্বভাব ছিল না, কাজেই বইগুলি খুব স্বত্বেই থাকিত। বিপিন একদিন তাহার ঘরের সন্মুখ দিয়া যাইতে যাইতে বলিল, “ মিস্ রায়, যে, জিনিষ যেখানে ভাল থাকে তাকে সেই খানেই থাকৃতে দেওয়া উচিত নয় কি ? এই বইগুলোর চেহারা দেখুন, আর আমার ঘরে যেগুলো আছে, সেগুলোর চেহারা দেখুন। সেগুলোকে সের দরে বিক্ৰী করলেও কেউ নেবে কি ন৷ সন্দেহ। সুতরাং আপনি বখন বই ভালবাসেন তখন তাদের এ রকম অযত্ন হ’তে দেওয়া উচিত নয়।” কৃষ্ণ হাসিয়া বলিল, “ আমার কাছে যত্বে থাকে বটে, কিন্তু বইয়ের দোকানে তার চেয়েও যন্ত্রে থাকে। আপনি যখন অর্ধেকের বেশী না পড়েই ফেলে রাখেন তখন জত । बहे किनिदांब्रहे ब कि शब्रकांब्र ?” AMMA AM AMAeeMMMAMAMeAAAA বিপিন বলিল, “কি জানেন আমার একটা স্বভাব, ভাল বই দেখলে না কিনে আমি থাকতেই পারি না। তারপর সুবিধামত পড়ি। অনেক বই কিনবার বছর তিন বছর। পরেও পড়েছি " " বিপিনের সৌভাগ্যক্রমে তড়িৎ সেখানে উপস্থিত ছিল না, তাহা হইলে সে তখনি ৰলিয়া বসিত যে, কৃষ্ণা এ বাড়ীতে পদার্পণ করিবার পূৰ্ব্বে বিপিনকে বিলাতী মাসিক পত্র ভিন্ন আর-কোনো প্রকারের বই কেহ কোনো দিনও কিলিতে দেখে নাই। কৃষ্ণাও যে তাহার কথা বেদবাক্য বলিয়া মানিয়া লইল তাহা নহে তবে এ বিষয়ে আর কথা বলিবার ইচ্ছ না থাকায় সে তখনকার মত চুপ করিয়াই গেল। নূতন . বই এবং মাসিক পত্র ইহার পর অবাধে তাহার ঘরে জমিতে লাগিল । আজও কৃষ্ণ সেগুলি নাড়িয়া চাড়ির দেখিতেছিল, কোনোখানা পড়িতে ইচ্ছা হয় কিনা। বাড়ীর আনন্দশ্রোতে তাহার যোগ দিবার কোনই উপায় ছিল না, কারণ গৃহস্বামীকে সে একেবারেই চিনে না । সুতরাং একলা ঘরে বসিয়া থাকা ভিন্ন তাহার উপায় ছিল না । অবশু তাহার সঙ্গে পরিচয় তাহার করিতেই হইবে, কিন্তু কেহই এপর্য্যস্ত সেদিকে খেয়াল করে নাই । মাসিকপত্রগুলি উণ্টাইতে উল্টাইতে হঠাৎ একটা পোষ্টকার্ড ঠক্‌ করিয়া মেঝের উপর পড়িয়া গেল। কৃষ্ণ সেট। উঠাইয়া লইতে যাওয়ায় লেখকের নামটা তাহার চোখে পড়িল। তাহার গালের কাছটা একটু লাল হইয়া উঠিল, বুকের ভিতর রক্তের গতি হয় ত বা একটু দ্রুততর বহিয়া চলিল। এ নামটি তাহার অতি পরিচিত অথচ মানুষটিকে সে চেনে না । সামান্ত স্থতিন লাইন লেখা অতি সাধারণ কুশল প্রশ্ন ও झु-के अछ कर्पो । अर्थक क्लक्षांग्न हेछ्। कब्रिाज्र जोणि কার্ডধানি সে লুকাইয়া রাখে। এই অমূল্য সম্পদ হাতছাড়া করিতে তাহার ইচ্ছা করিতেছিল না। বিপিনের কাছে এ চিঠির কোনই মূল্য নাই। এখান হারাইলে তাহার কিছুই জাসিয়া যাইবে না। অথচ ইহা তাছাই ; झकब्र हेश अभइब्रन रूब्र गांभांबिक ब्राँझैत्र नैौख्निकङ