পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভোল্ট শতবার্ষিকী অধ্যাপক মেঘনাদ সাহা, এফ-আর-এস্ বিগত সেপ্টেম্বর মাসের ১১ই তারিখে উত্তর ইতালীর কোমো নামক এক ক্ষুদ্র সহরে আলেস্যান্ত্রো ভোলটার স্থতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করিবায় জন্ত সমগ্র পৃথিবীর পদার্থবিজ্ঞান-বিদ ও তড়িত বিশারদগণের (Elcetrotechnicians ) যে কংগ্রেস বা সভা বসিয়াছিল তদ্রুপ বৃহৎ আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সভা পৃথিবীতে আর হয় নাই। আলেস্তান্দ্রে ভোণ্টা ক্ষুদ্র কোমো সহরে জন্মগ্রহণ করেন ও ঠিক একশত বৎসর হইল ওই সহরেই দেহরক্ষা করিয়াছেন। তাছার মৃত্যুর শতবার্ষিকী উপলক্ষে সপ্তাহধিক কাল ব্যাপিয়া সুন্দরী কোমো নগরী সভাসমিতি, ভোজ, আনন্দ-ভ্রমণ ও অন্তান্ত নানাবিধ আমোদউৎসবে মত্ত হইয়াছিল। ইতালীয়ান গবর্ণমেণ্টের উদ্যোগে ও ব্যয়ে এই কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হইয়াছিল এবং পৃথিবীর সর্বদেশের পদার্থবিজ্ঞানবিদ ও তড়িত-বিশারদগণ বিশেষ আগ্রহের সহিত ইহাতে যোগদান করিয়াছিলেন । একজন সামান্ত শিক্ষক কি গুণের প্রভাবে স্বদেশবাসীর আন্তরিক প্রীতি ও বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিককুলের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন তাহাই আমাদের पञां८ठांछ । একথা সকলেই মানিয়া লইবেন যে, বিংশ শতাব্দীর মানুষ কেবলমাত্র প্রাকৃতিক শক্তির উপর তাহার অসীম প্রভাব ও অধিকার বিস্তার করিয়া মধ্যযুগের মানুষ অপেক্ষা শ্ৰেষ্ঠত্ব লাভ করিয়াছে। মানুষ বর্তমানে প্রকৃতিকে জয় করিয়া বশীভূত করিয়াছে ও প্রকৃতির বিবিধ শক্তি নিজ ব্যবহারে লাগাইতেছে। পূৰ্ব্বে উদাম গতিশীল স্রোতস্বিনী অথবা গর্জনমুখর জলপ্রপাত মানুষের মনে একপ্রকার আতঙ্ক-মিশ্রিত শ্রদ্ধার উদ্রেক করিয়া বিপুল ক্ষমতাশালী অদৃপ্তদেবতা রূপে কল্পিত হইয় তাহার পূজা পাইত, কিন্তু বর্তমান যুগের মানব এগুলিতে শক্তির উৎস খুজিয়া পাইয়াছে ও জানিয়াছে যে, সে এই শক্তিকে আয়ত্তে আনিয়া ও নিজের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় ব্যবহার করিয়া তাহার জীবন-সংগ্রামের অনেক সমস্তারই সমাধান করিতে পারে । এই প্রকৃতি-বশীকরণের অনেক খানিই তড়িতের সাহায্যে সংঘটিত হইয়াছে বলিয়া বর্তমান যুগ তাড়িত যুগ বলিয়া অভিহিত হইয়া থাকে। অথচ আশ্চর্য এই যে, এই তাড়ি বিজ্ঞান মাত্র একশত বৎসর হইল গড়িয়া উঠিয়াছে এবং ভোটার প্রতি এই শ্রদ্ধা নিবেদন আলেস্তাঞ্জে ভোণ্টা করিয়া জগৎ এমন একজনের পুণ্য স্থতির তর্পণ করিতেছে একশ চল্লিশ বৎসর পূর্কে যিনি সামান্ত কতকগুলি ঘটন, পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়৷ তড়িত-সম্বন্ধে অনেক মৌলিক তথ্য আবিষ্কার করেন—সেই আবিষ্কারের প্রসাদেই বৰ্ত্তমানে তড়িৎযুগের প্রবর্তন সম্ভবপর হইয়াছে । अदष्ट रुक्ष् ७ोझैौनकोण श्ट्रेष्ठहे भाष्ट्रश उक्लिाउ” অস্তিত্ব অবগত ছিল । বজ্রপাত ও আকাশে বিদ্যুৎ-চমক স্বষ্টির প্রারম্ভ হইতেই সে দেখিয়া আসিতেছে। খৃষ্ট জন্মের প্রায় ৭••বৎসর পূৰ্ব্বে এশিয়া মাইনরের অন্তৰ্ব্বী