পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' ं श्रुi] । কাজে মিস রায়ের সৃহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য )। দরোয়ানকে বলিল, কার্ডখানা যাহাকে হউক দেখাইতে, তাহা হইলেই তাহার কার্য্যসিদ্ধি হইবে। বিপিনের সাহায্য পাইবে আশা করিয়া সে আসিয়াছিল ; সে যখন নাই, ཅ་སྭཱཧཱ། ། নিজেই যেমন করিয়া হোক কাৰ্য্যোদ্ধার করিতে হুইবে । দরোয়ান তাহাকে একখানা চেয়ার দিয়া বসাইয়া, কার্ড হইয়া উপরে চলিয়া গেল। বসিয়া বসিয়া সুবীরের হাসি পাইতেছিল। আশ্চৰ্য্য অদৃষ্টের পরিহাস। এখানে আসিবার তাহার ঠিকই ছিল, জাস হইল বটে। কৃষ্ণাকে লইয়া যাইবার জন্তই সে আসিবে স্থির করিয়াছিল, কিন্তু সে নিজের জীবনের অধীশ্বরীরূপে। কৃষ্ণকে লইতেই নরওয়েতে পূৰ্ণগ্রাস সূৰ্যগ্ৰংশ দর্শন । a; সে আসিল, কিন্তু সে নিজে কৃষ্ণার জীবনে জার এখন কোনো স্থান পাইবার আশা রাখে না। সে দৈবক্রমে যে কক্ষচ্যুত হইয়া পড়িতেছে, সেইখানেই এই জ্যোতিৰ্ম্মী তারকাকে প্রতিষ্ঠিত করিয়া যাইবে। এইটুকুমাত্র কৃষ্ণায় জীবনের সহিত তাহার সম্বন্ধ। ঘরোয়ান আসিয়া বলিল, “উপর চলিয়ে, বাৰুr সুবীর দরোয়ানের পিছনে পিছনে উপরে আসিয়া বসিল । এইবার নাটকের শেষ অঙ্ক । তাহার পর এই রঙ্গমঞ্চ হইতে তাহার চিরদিনের বিদায়। ( ক্ষমশঃ ) নরওয়েতে পূৰ্ণগ্রাস সূৰ্য্যগ্রহণ দর্শন অধ্যাপক ডাঃ মেঘনাদ সাহা, এফ, আর, এস্ zz$3 {{sfn siya ( Total Solar Eclipse) भूवहें বিরল ব্যাপার, এবং যখন ঘটে, তখন উহার দরুণ প্রকৃতিতে আকস্মিক এত অধিক পরিবর্তন হয়, যে পূর্ণগ্রাস চিরকালই জনসাধারণের কোতুহলী চিত্তকে উত্তেজিত করিয়াছে। কিন্তু এই বিষয়ে বৈজ্ঞানিকের কৌতুহল অন্ত দিক হইতে। তাহার নিকট এই বিষয়ের গুরুত্ব এত অধিক যে,-যে সামান্ত কয়মিনিট এই প্রাকৃতিক ব্যাপার স্থায়ী থাকে (পূৰ্ণগ্রাস উর্দ্ধকল্পে ৭ মিনিটের বেশী স্থায়ী হইতে পারে লা । ) সেই কয় মিনিটের জন্ত পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে বৈজ্ঞানিক সমস্তপ্রকার বাধাবিয়ের সন্মুখীন হইতে ও সৰ্ব্ববিধ কষ্ট সহ করিতে কখনও পরায়ুখ হন না। অনেক সময় বৈজ্ঞানিকের আমেরিকা হইতে প্রায় অৰ্ধপৃথিবী পর্য্যটন করিয়া ভারতমহাসাগরের নির্জন মনুষ্যৰসের সম্পূর্ণ জযোগ্য ক্ষুদ্র দ্বীপে মাসের পর মাস তাবুতে কাটাইয়া দেন, অনেক সময় উত্তর মেরুপ্রদেশ পর্যন্ত অভিযান করেন। স্বভাংগিত জুনমালে ইউরোপ প্রবাস কালে বে বর্তমান লেখক শুধু স্বৰ্য্যগ্রহণ দেখিবার জন্ত নরওয়েতে বাইতে মনঃস্থ করিয়াছিলেন, তাহাতে বিস্ময়ের কোন কারণ থাকিতে পারে না। অবস্ত ইংল্যাণ্ডেও স্বৰ্য্যগ্রহণ দেখা যাইত, কিন্তু ইংল্যাণ্ডের আবহাওয়া এত অনিশ্চিভ যে উল্লা প্রায় প্রবাদবাক্যে হইয়া গিয়াছে। সেইজন্তই আমি এমন জায়গায় যাইয়া ভাগ্য পরীক্ষা করিব স্থির করিলাম, যেখানকার আবহাওয়ার উপর খানিকট নির্ভর করা शांध्र ! ২৩ শে জুন ইংল্যাণ্ড ছাড়িলাম, এবং হল্যাও, জাৰ্ম্মেণী, ডেনমার্ক হইয়া নরওয়ের দিকে যাত্র করিলাম। পথে হল্যাণ্ডের বিখ্যাত বিশ্বৰিদ্যালয় লাইডেল সহরে আমার পুরাতন বন্ধু পদার্থতত্বের অধ্যাপক এরেনফেষ্ট্রের গৃহে দুইদিন কাটাইলাম। তন্মধ্যে একদিন হল্যাণ্ডের দক্ষিণ পুৰ্ব্বপ্রান্তস্থ আইওtহাফেন ( Eindhoven ) সত্বরে বিখ্যাত ফিলিপের বিজলীবাতির কারখানা দেখিতে গিাছিলাম। ত্রিশ বৎসর পূর্বে এই স্থানে একটি সামাঙ্গ