পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

يفها કરાની-મિ, ૭૭ tશન છત્ર, શ્વ સહઃ গেল। এইটুকুই ক্ষীরের কাছে এখন अद्गा সম্পদ । সে যত্ন করিয়া তহিকে খাওয়াইয়াছে, এইটুকুই যে তাছার কতখানি। চিরদিন এই স্কৃতির টুকরা কয়টিই তাহার থাকিবে ; ইহার বেশী পাইবার উপায় ভাগ্য তাহার রাখে महे । পাহাজের খোজ করিয়া জানিল, সৌভাগ্যক্রমে গোট। দুই তিন বার্থ এখনও খালি আছে। সে একেবারে পাকাপাকি ব্যবস্থা করিয়া ফিরিল। তাহার ইচ্ছা করিতেছিল, কৃঞ্চাকে গিয়া খবরটা দিয়া আসে, কিন্তু কৃষ্ণ তাহ হইলে তাহাকে ভাবিবে কি ? এক মাত্র ভালবাসাই এতখানি অভদ্রতা করিবার অধিকার দিতে পারে, কিন্তু কৃষ্ণার কাছে তাহার কি দাবী ? কিছুই মা ! একটুখানি কৃতজ্ঞতার বালাই থাকিতেও পারে, কিন্তু তাহার জোরে এতখানি আগ্রহ প্রকাশ করা চলে না । অগত্য মনের আকাঙ্ক মনেই চাপিয়া সে হোটেলে ফিরিয়া গেল । বিকালবেলা কৃঞ্চার কাছে যাইবার জন্ত সে বাহির হইল। যাড়ীর সামনে আসিয়া সুবীর ইতস্তত করিতে লাগিল। দিনে দুবার করিয়া আসিয়া জুটিলে কৃষ্ণ তাহাকে মনে করিবে কি ? বাড়ীর লোকেই বা কি ভাধিবে ? একথামা চিঠি লিখিয়া পাঠাইয়া দিলেই চলে কি না ভাবিতেছে এমন সময় দরোয়ান তাহাকে দেথিতে পাইয়া চুটিয়া আসিয়া বলিল, “চলিয়ে বাবু, উপর।” এমন লোভনীয় আহবান উপেক্ষা করিতে পারে, এতটা মনের জোর সুবীরের ছিল না । সে দরোয়ানের সঙ্গে সঙ্গে উপরেই আসিয়া জুটল। খানিক পরে কৃষ্ণাও আসিয়া ঘরে ঢুকিল। চেয়ার টানিয়া বসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “বার্থ পেলেন?” সুবীর বলিল, “পাওয়া গেছে বেশ সুধিব মত। আপনার ক্যাবিলে আর একজন মাত্র প্যাসেঞ্জার, তাও ইউরেশীয়ান। কাজেই নোংরামী বা বোকামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হ'য়ে উঠতে হ’বে না। বৃহস্পতিবার मश्रüांद्र भ८१fई tडब्रि शांकूरतम।” . কৃষ্ঠা খলিল, "আচ্ছ । টিকিট কিনে ফেলেছেন না কি ?” মুবার বলিল “হা, কিনেই রাখলাম একেবারে। শুধু শুধু আর দেরি করে লাভ কি ? এত তাড়াতাড়ি: যেতে আপনার কি কিছু অসুবিধা হবে ?” কৃষ্ণ' বলিল, “কিছু মাত্র না। আমি একলা, মামুত্ত্ব, জিনিষপত্র গুছিয়ে নিতে বড় জোর চায় পাট ঘণ্টা লাগবে ।” t - এবার আর বেশীক্ষণ বসিয়া গল্প কয়ার কোনোই উপলক্ষ্য জুটি না। স্থবীর উঠিয়া চলিয়া গেল । কৃষ্ণার মনের ভিতরটা এই দু দিন কেমন যেন অদ্ভুত হইয়াছিল । আনন্দ করিবার কারণ যথেষ্টই আছে, তবু আনন্দ তাহার মোটেই হয় না । সম্পূর্ণ অচেনা স্থানে, অজ্ঞান আত্মীয়বর্গের মধ্যে সে কেমন করিয়া দিন কাটাইবে ? তাহার চালচলন, শিক্ষা-দীক্ষা সম্পূর্ণ অ-হিন্দু, এসকল কি তাহাদের পীড়িত করিবে না ? কৃষ্ণাকে সস্তানস্নেহে বক্ষে টানিয়া লইতে তাহার মাতাই কি পরিবেন ? হিন্দু বিধবার কাছে আচারই প্রায় যথাসৰ্ব্বস্ব। এই বিদেশী ছাচে ঢাল, খ্ৰীষ্টীয় পরিবেঃনে বঞ্চিত কন্যা কি তাহার মনকে বিমুখ করিয়া দিবে না ? সকলের চেয়ে বেশী করিয়া তাহার মনে বাজিত, মুবীরের আকস্মিক সৰ্ব্বনাশের কথা। তাহার না রহিল ধনজন, না রহিল বংশপরিচয়, না রহিল আপনার বলিতে একটা মামুষ। কৃঞ্চ যাহাকে সুখী করিবার জন্ত সব দিতে পারিত, তাহাকেই একরকম মৃত্যুবাণ হানিয়া বসিল । সুবীরের মন এককালে তাহার জন্ত शूदहे ব্যাকুল ছিল, তাহা জানিতে কৃষ্ণার বাকি নাই। সেই অচেনা অজানার ভালবাসাই, তাহার নিজের হৃদয়কেও আকর্ষণ করিয়াছিল। কিন্তু এতখানি অমঙ্গল যাহার জন্য কোন মানুষকে সহ করিতে হয়, তাহায় প্রতি আর কি মমতা থাকা সম্ভব ? কৃষ্ণার ইচ্ছা করিত মুীরকে সব কথা খুলিয়া জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু রমণীর সে অধিকার কোথায় ? - নিজের বিচলিত মনকে একটুখানি ভুলাইবার আঁশরি সে এখন হইতে জিনিষ গোছানোর কাজে লাগিয়া গেল। অমিয়া, প্রতিভা, তড়িৎ সকলেই এক একবার আসিয়া দেখে, আবার মানমুখে চলিয়া যায়। তড়িৎ একবার ঘরে