পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] তাম্রকুট সেবন সাহেব এমন কি মেমেদের মধ্যেও যথেষ্ট প্রচলিত ছিল । বলনাচের সময়ও আলবোলা চলিত। ०१४8 शृंटेक श्इं८ङ हेश् नेिशिक श्छ । धाझाब्र। उiभांदू সাজিয়া দিত, বা আলবোলা ধরিয়া থাকিত তাহীদের হুকাবরদার বলিত । তখন শিকার ও মাছধর সাহেবদের বড় প্রিয় ছিল । বৈকালে নৌকাবিহারও অনেকে পছন্দ করিত । তখন জলপথে যানের মধ্যে নেীক পান্সি বোট প্রভৃতি এবং স্থলে পালক । কেবল মাত্র প্রধান কৰ্ম্মচারী ও তাহার সহকারী ভিন্ন পালকা ব্যবহারের অধিকার অার কাহার ৪ ছিল ন৷ ৷ অন্যান্য সদস্য ও পাঞ্জিদের পথে ছাত ধরিয়া লইয়া যাইবার ব্যবস্থ। ছিল । সেকালে পথে বেতনভোগা ছত্রাস্ত্রীও পাওয়৷ যাহত । তfহাদের ছাতfবরদার বলিত । আবদার, ফরাস, চুরিয়া, চোপদার, মদালচি প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য ভধন ভিন্ন ভিন্ন নামের দাসদাসী ছিল । অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি:ভ তাহাদের মাসিক বেতনের হার ছিল সাধারণতঃ ১২ টাকা হইতে ৫২ টাকা পৰ্য্যস্ত। পলাসী যুদ্ধের পূর্ব পয্যন্ত কেবলমাত্র গভর্ণর ও কাউন্সিলের সিনিয়র মেস্বম ভিন্ন অন্য কেহু গাড়ী ব্যবহার করিতে পারিতেন না । প্রথমাবস্থায় সাহেবদের সাধারণ পোষাক ছিল একটি মসলিনের কামিজ, ঢিলে পায়জামা ও সাদা টুপি । তথনকার ইংরেজরা এদেশের প্রাচীন রীতিনীঙির প্রতি কোনরূপ অনাস্থ দেখাইত না বরং তাহার। ইহার পক্ষপাতী—এই ভাবই দেথাইত । এমন কি, কোন যুদ্ধাদি জয় হইলে কোম্পানীর ইংরজে কৰ্ম্মচারীদের মহাসমারোহে কালীঘাটে পুঞ্জ দিতেও দেখা যাইত। সেকালে বাহার বাহিরে বাস করিত অনেকেরই বাড়ীতে মাত্র দুইটি ছোট ঘর ও একটি বারান্দা ছিল। আসবাবপক্সের মধ্যে দুই তিনখানি চেয়ার, একথান সোফা ও একখানা খাট খাকিত। আর পরবর্তীকালে ঘরের মধ্যে একখানি টেবিলের উপর কাগজপত্র, বই চুরট-কেশ প্রভূতির সঙ্গে একখানি হিন্দুস্থানী অভিধান প্রায়ই দেখা যাইত এবং অনেকের ঘরের কোণে একটি বন্দুক দাড় করান থাকিত। তখন জাহারের টেবিলের সেকালের কলিকাতা లి) অভাব ঘটিলে মুসলমানদের ন্যায় মাটিতে কাপড় বা সতরঞ্চ বিছাইয়া তাহার উপর খান। রাখিয়া খাতত । এখনকার মত টিফিন খাওয়ার ব্যবস্থ। তখন ছিল না, ইহ। তথন একটি ছোটখাট ডিনার ছিল। পার্থক্যের মধ্যে তখন টেবিলে কাপড় পাত হুইত না । ১২টার সময় গরম খান, তাহাকে টিফিন বলিত। ডিলারের সময় ছিল সেকালের মেয়র কোট ৭টা হইতে ৮টা । সে সময় মদ খুব বেশ চলিত এবং অনেকক্ষণ ধরিয়া টেবিলে থাকিত, বিশেষ শীতকালে । বাড়িবেড়ান সাহেব বিবিদের মধ্যে খুব প্রচলিত, ছিল । কোম্পানীর কৰ্ম্মচারীদের আডভা দিবার প্রধান স্থান ছিল বিবি ডোমিঙ্গো য়্যাশের Doluingo Ash) বৈঠকখানা। তখন খবরের কাগজ ছিল ন, বিলাতের চিঠিপত্র খুব কমই আসিত। তাহাদের সেখানে বসিয়া বসিয়া গল্প কর। মদ্যপান এবং শেষ জাহাঙ্কে দেশের কি খবর আসিল তাহা লইয়া আলোচনা করাই কাজ ছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর অৰ্দ্ধেক পয্যন্ত এদেশে ইংরেজদের ধৰ্ম্ম কতকটা লোক দেখান মত ছিল । ধৰ্ম্মধাজক প্রত্যহ প্রাতে ও সন্ধ্যায় প্রাথন পাঠ করিতেন। গভর্ণরকে পুরোভাগে রাখিয়া প্রতি রবিবার মিছিল করিয়া পদব্রজে বেশ গম্ভীরভাবে গির্জায় যাওয়া হইত। তখন একজন মাত্র বেতনভোগী পাত্রী ছিল । সন্ধ্যাবেলা গির্জায় উপাসনার পর অনেকে তথা হইতেই প্রায় কোন দেশীয় নাচ দেখিতে ঘাইত। তবে রাজি ৯টার (Mistress