পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ፃ8 প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩৮ [ ०>= छांनं, २ग्न थ७ میں ہ%مہ করিয়াছেন, সেইজন্ত মহুবা বাহিরের জিলিযই দেখে— নিজেকে দেখে না । কোনও কোনও বীর ব্যক্তি অমৃতকামী হইয়া বহিবিষয় হইতে চক্ষুকে আবুত করিয়া প্রত্যগাত্মার দর্শন বালবৃদ্ধ ব্যক্তি বহির্বিষয়ের অনুসরণ করে । তাহারা বারস্থার মৃত্যুর বিস্তীর্ণ পাশে গিয়া পড়ে। ধীর ব্যক্তি অমৃতকে জানিয়া সংসারের অঞ্জব বস্তুসমূহে আকৃষ্ট হন না। কঠের এই শ্লোক গীতার ২৫৮ শ্লোকের একেবারে অনুরূপ । কঠে ‘শ্বিরবুদ্ধি'র বদলে ধীর" কথা ব্যবহৃত হইয়াছে । অতএব বুঝা যায় ধে এই অধ্যায়ে ‘বুদ্ধি' কথার সোজাস্বজি মানে ছাড়া তিলক প্রভৃতি ব্যাখ্যাকার কৃত অন্য অর্থ সমীচীন न८ट् । শ্ৰীকৃষ্ণ এই কয়টি শ্লোকে বড়ই সব আশ্চৰ্য্য কথা বলিতেছেন । স্থিতপ্রজ্ঞের ভয় ক্রোধ বা কোনও বিশেষ কামনা নাই । কি করিলে এই অবস্থা হইতে পারে শ্ৰীকৃষ্ণ নিজেই তাহা পরে বলিবেন । উপযুক্ত স্থানে তাহার আলোচনা করিব । ক্রোধ না হওয়া, ভয় না পাওয়া অবশ্য ক্রোধ ও ভয় চাপিয়া রাখা নহে । ভয় ক্রোধ ইত্যাদি না থাকার অর্থ আমরা সহজেই বুঝিতে পারি, কিন্তু ইন্দ্রিয়-বিষয় হইতে ইজিয়ের প্রত্যtহার কি ? ইহার ব্যাখ্যা আবশ্যক । কেহ মনে করিতে পারেন যে বিষয়ের উপলব্ধি না হওয়াই ইন্দ্রিরের প্রত্যাহার ; চোখ বুজিলেই বিষয় দেখিলাম না, অতএব ইন্দ্রিয়ের প্রত্যাহার হইল। ক্লোরোফরম প্রয়োগে অজ্ঞান করা হইল ও তাহার ফলে বহির্জগতের কোন জ্ঞানই রহিল না অতএব সমস্ত ইন্দ্রিয়ের প্রত্যাহার হইল। এইরূপ আশঙ্কা করিয়াই শ্ৰীকৃষ্ণ পরের শ্লোকে বলিলেন— ২।৫৯ “নিরাহারী পুরুষের ইন্দ্রিয়-সকল অশক্ত হইলে বিষয়ের জ্ঞান হয় না, কিন্তু মনের বিষয়-বাসনা থাকিয় যায় ; পরম তত্ত্ব উপলব্ধি করিলে বিষয় ও তাহার বাসনা উভয়ই চলিয়া যায়।” এই শ্লোকে “নিরাহার' কথার অর্থ ‘ষে খাওয়া পরিভ্যাগ कब्रिम्राटइ' ! हेशहे गझ्छ अर्थ । नां शंहे८ण क्वट्र बॆिषग्न' बिबिरं७ बिब्रांश्iब्रड cश्निः ॥ ऋगरं ऋगांश्णाट गङ्गं पृषॆ। बिरंख ॥ ss লাভ করেন । দুর্বলতায় মানুষকে অজ্ঞান কয়ে ও তখন বিষয় উপলব্ধি হয় না । শঙ্কর নিরাহারের অর্থ করেন ‘বিষয়োপভোগপরায়ুখ ক্লেশকর তপস্য নিরত মুখ । এই অর্থ স্বাভাবিক अर्थ न८ङ् । ছান্দোগ্য উপনিষদে এ বিষয়ে একটি প্রসিদ্ধ উদাহরণ আছে । শ্বেতকেতু পিতৃআজ্ঞায় পঞ্চদশ দিবস উপবাসী ছিলেন। পরে যখন পিভা তাহাকে বেদমন্ত্র আবৃত্তি করিতে বলিলেন তখন অনাহারে দুৰ্ব্বল শ্বেতকেতু অপারক হইয় উত্তর করিলেন, “এ সমুদায় আমার নিকট প্রতিভাত হইতেছে না।" শ্বেতকেতু ভো ন করিলে তাহার স্বাভাবিক ক্ষমতা ফিরিয়া আসিল । বিষয়ভোগে অক্ষমতা ইন্দ্রিয়ের প্রত্যাহার নহে । তবে এই সংস্থরণ বা প্রত্যাহার কি ? কি উপায়ে ইহা হইতে পারে তাহা এখানে আলোচনা করিব না। জিনিষটা কি তাহাই বলিব । ইন্দ্রিয়ের সহিত বিষয়ের সংযোগে বিষম জ্ঞান উৎপন্ন হয়। হাত দিয়া বরফ ছুইলাম, একটা ঠাণ্ডা জিনিষের বোধ হইল। এই বোধকে প্রত্যক্ষ বা perception বলা হয়। প্রত্যক্ষ জ্ঞানের বিশ্লেষণ করিলে দেখা যাইবে ষে ইহাতে উপস্থিত অনুভূতি ভিন্ন অপর প্রকারে লব্ধ জ্ঞানও মিশ্রিত আছে । ঠাণ্ড ভিজা ও শক্ত জিনিব হাতে লাগিলে বলিলাম বরফ ছুইয়াছি। ত্বকের দ্বারা কেবল শৈত্যান্থভূতি ও স্পৰ্শবোধ পাইয়াছি। শৈত্যানুভূতি ও স্পৰ্শবোধ যে একটা বহিবস্তু হইতে আসিতেছে ও সে বহিবস্তুটি যে বরফ, এই জ্ঞান আমার উপস্থিত অনুভূতির মধ্যে নাই, তাহা অন্ত প্রকারে লব্ধ । অবশ্য আমি ধরিয়া লইতেছি যে কেবলমাত্র স্পশ দ্বারাই বস্তু বিচার করিতেছি,—চক্ষে দেখিয়া নহে । প্রত্যক্ষের মধ্যে দুইটি দিক আছে। একটি বহির্বস্তু বিষয়ক ও অপরটি নিজের অনুভূতি বিষয়ক । একটির বশে বলি বরফ ছুইয়াছি ও অপরটির বশে বলি ঠাও। লাগিতেছে। এই ঠাও লাগাটার মধ্যে বাস্তবিক হিসাবে কোনও বস্তুজ্ঞান নাই। ইহা বাহিরের জিনিষ নহে, নিজের অনুভূতি মাত্র। স্পর্শের সম্বন্ধে যে কথা বলিলাম, অন্তান্ত ইন্দ্রিয় সম্বন্ধেও সেই কথা খাটে । শব্দের অনুভূতি