পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] যোধপুর SHVA আকাশে সুর্য্যাস্তের মেখেও এত রং দেপা যায় না । বেশীর ভাগ তরমুজের সরবতের মত উজ্জল কিন্তু ফিক লাল ; তাঁহা কোথাও ক্রমে ডালিম, বেগুনীফুলী হইতে ঘন বেগুনী, কোথাও বা ইস্পাত কি ময়র কণ্ঠের মত নীলাভ হইয়া গিয়াছে। এক রং হইতে আর এক রং কোথায় ষে স্বরু হইয়াছে, কমি টানিয়া দেগামে। যায় না। হ্রদ শেষ হইয়া যাইবার পরও কিছু দূর পর্য্যস্থ কঠিন লবণ পদ্মরাগ ও হীরক খণ্ডের মত ঝকৃঝক্ করিতেছে । , তাহার পর আবার বিস্তীর্ণ বালুচর। এখানে শুধু বালুর উপরেই ঘন মনসার বন হইয়াছে। গাছের গোড়ায় মার্ট চোখেই পড়ে না, অতি সামান্য মান-মিশ্রিত বালি । সম্বরের পর আসল যোধপুর-রাজা । আমাদের সহযাত্রী নায়েব বলিলেন, “সম্বরের অন্ধেক জয়পুরের, অৰ্দ্ধেক যোধপুরের অর্থাং মাড়বারের। এপানে ম{'; আরও বেলে, সারি সারি উট সাদা ও পোড়ো শরবনের ভিতর দিয়া চলিয়াছে । মক্রানা ষ্টেশনের আগে পাহাড়ের চেহারা এক রকম, পরে রূপ বদলাইয়া গিয়াছে । আগের ግ›—8 • পাহাড়গুলির সব বালির রং, তাহার গায়ে অনেক দূরে দূরে ছোট ছোট কাট-ঝোপ । দেখিলে মনে হয় ধেন বিরাটাকুতি ওল । ষ্টছার পর শাদা পাথরের পাহাড় । এই ষ্টেশন হইতে পাথর চালান ধাঠঙেছে । প্রকাণ্ড শাদা পাথরের চাঙ্গ চারিদিকে পড়িয়া আছে । বড় বড় ও ছোট শাদ পলগুড়ি ও চাকি ৪ বিক্ৰী হইতেছে এবং বড় বড় শ্বেত এখানে ভাল কারিগর নাই বলিয়া চালান যাইতেছে । মোট। মোট সাদাসিধা জিনিষ ছাড়া আর কিছু তৈয়ারী ছয় না। ভাল ও সূক্ষ্ম কাজের জন্য পাথর জয়পুরে যায়। শিল্পী ও বাজার ছ-ই সেখানে রাজপুতানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ । ঘোপপুরের পথ অর্থাং মাড়বার-রাজ্য একেবারে মরুভূমি । এখানে অনেক মাঙ্গল পরে পরে ৪ শস্ত্যক্ষেত্র কি গ্রামের বড় গাছ চোপে পড়ে ন। সম্বরের বালির পর খালি বালি ও কাটগাছের বন । বাংলা দেশে রেললাইমের দুপারে । শস্তক্ষেত্র, এপানে দুধারে মরুপ্রায় পোড়ে জমি। তাহারই ভিতর উট চরিতেছে,,মাৰে মাঝে ছাগলের পাল ও কচিং গরু মহিষ । পথে খাদ্য