পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গীত - ------- এখনও ইন্দ্র পুজার দ্বারা অনাবৃষ্টি নিবারণের চেষ্ট হইয়। থাকে। শীতলা পূজায় আমরা অনেকে আশা করি বসন্তের প্রকোপ নিবারিত হইবে। মা যষ্ঠকে খুশী না রাখিলে শিশুসন্তানের অমঙ্গল হইবে । ভগবানের সৃষ্টি অর্থাৎ লোক নিৰ্ব্বিয়ে চলিতে হইলে মন্তরেও সাঙ্গা আবশ্যক। এইরূপ অল্পষ্ঠানই পুরাকালে যজ্ঞ নামে অভিহিত হইত। ঘঞ্জের দুষ্ট উদ্দেশ্য। প্রথম কোনও বিশেষ দেবতাকে খুশী রাপিয়া সঠিচক্র প্রবর্হিত রাপা ও দ্বিতীয় নিজ অভীষ্টফল লাভ । যজ্ঞে নে কেবল মুজমানেরই স্বৰ্গলাভ হয় তাহ নঙ্গে পরস্তু স্ত্রপমে মেন ংপন্ন হুইয়। বৃষ্টি হয় এবং বৃষ্টি হইতে হান্ন জন্মিয়৷ থাকে। এইরূপ ধাৰণ! হটতেই বলা হুইত যে ধঙ্ক কর্তৃবা । মান্তস নিজেকে গুপ্তচকের একটি অপরিহার্য্য অঙ্গ বলিয়া মনে করিত । কষ্টচক্রের অপরাপর অংশের কার্যের শুথল মানুষের কাজের উপর নির্ভর করে কেন-না মান্তসের স্বার্থ ও এই সকল প্রাকৃতিক ব্যাপার পরস্পর ঘনিষ্ঠ sfor artiffers (inter-related and inter-dependent) । এই কষ্টি-চক্র প্রব,যুঁত রাপিয়া মাতুন নিজের যদি কিছু সুবিধা করিতে পারে তবে সে তাহ নির্বিঘ্নে ভোগ করিতে পারে। অন্যথা স্পষ্টচক্র প্রবর্তনে সাহায্য না করিয়া কেহ যদি কেবল নিজেই ফলভোগ করে তবে সে অন্যান্য অংশের প্রাপা জিনিষ নিজেই লইল এবং এই জন্যই সে চোর। আমরা এখন মিউনিসিপালিটকে ষেভাবে দেখি তপন সমগ্র গুষ্টিকে ৪ ত্ৰিলোককে সেইভাবে দেখা হইত। আমি যদি আমার বাড়ি দুর্গন্ধময় ৪ অপরিস্কার রাপি তবে তাহা আমার প্রতিবেশীর পক্ষে অনিষ্টকর .এছন্ত আমার তাছা কৰ্ত্তব্য নহে, আমি যদি দেয় কর না দিয়া কলের জল ব্যবহার করি বা স্মৃষ্টি করিয়া ইডেন গার্ডেনে পেড়াই তবে আমি চোর, কেন-না, যে টাকার জোরে এই সব চলিতেছে তাহাতে আমার ন্যাসা দেন না দিয়াষ্ট ক্ষপভোগ করিতেছি । ফর দিলে আমি মিউনিসিপালিট রক্ষারও সাহায্য করিলাম এবং নিজের স্বগভোগের ৪ বন্দোবস্ত করিলাম। এইরূপ মৃগভোগ তপন আমির ন্যায্য পাওনা । ধে যে কারণে মন্থন্ত কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হয় বা পুরাকালে হইত « ۹وئ গীতাকার ভfহারই আলোচনায় বজ্ঞের কথ; আনিয়াছেন, তিনি নিজে যজ্ঞের উপকারিত মানিতেন কি না এখানে সে প্রশ্ন উঠিতেছে না। আমি পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, গীতার উপদেশ-সকল মার্গের ব্যক্তির প্রতিই প্রযোজা, এজন্য গীতাকার নিজে এ সকল কথং ন মানিয়াও লিপিতে পারেন ; তিনি ধে যজ্ঞের বিশেস পক্ষপাতী নহেন তষ্ঠা পূৰ্ব্ব স্থাপায়েই দেখা গিয়াছে। এই অপায়ে৪ ১৭ গ্রে:কে বলিয়াছেন আত্মরত ব্যক্তির কোন কাৰ্য্যই লাষ্ট । ১৮৫ প্লোকে স্বজ্ঞসম্বন্ধে শ্রীকৃষ্ণের নিজ মত ব্যক্ত চক্টয়াছে ; তিনি বলিতেছেন যজ্ঞ, দান, তপ পরিত্যাগ করিবার আবশ্যকতা এই সকল ক্রিয়ায় ইহাব অধিক উপকার শ্রীক্লঞ্চ স্বীকার করেন মাষ্ট । নাই ; তাহতে মনীষীর পবিত্র গুন । এইবার ১০ হইতে-১৬ গ্লোকের ভাবাখ দেপা মাক :--- “প্রজাপতি পূৰ্ব্বে যজ্ঞসহিত প্রজা হুষ্টি করিয়৷ বলিলেন এই যজ্ঞের দ্বার! তোমাদের বুদ্ধি হউক এবং এই যজ্ঞ তোমাদের ইষ্টফলদাতা হউক । তোমরা দেবতাদের সন্তুষ্ট করিলে তাহার তোমাদের ঈপিাত ফল দিবেন, ইহান্তে উভয়েরই শ্রেয়ঃ লাভ হইবে । দেবতাদের ন্যাঘা পাওনা র্ত্যহাদের না দিয়া তাহদের প্রদত্ত ফল যে ভোগ করে সে চোর। যজ্ঞের অবশিষ্ট ভাগ গ্রহণে সকল পাপ মেচিন হয়, কিন্তু কেবল নিজ সন্তোঘের জন্য প্রস্তুত ভোগ্য দ্রব্য সেবনে পাপ হয়। খন্ন হইতে জীব-সকল জন্মে, অন্ন বৃষ্টি হইতে উৎপন্ন হয় এবং বৃঃ মেন হইতে হয়। এই মেধ যজ্ঞমে জন্মে এবং যজ্ঞ কৰ্ম্মসমৃদ্ভব। কৰ্ম্মের উদ্ভব প্রজাপতি ব্ৰহ্ম হইতে এবং এহ্ম; অক্ষর পুরুষ হইতে উৎপন্ন, অতএব যজ্ঞে ও সৰ্ব্বগত ব্ৰহ্ম প্রতিষ্ঠিত আছেন ; অর্থাং ಇ9 করিলেই ধে দোষ হয় তাহা নহে, যজ্ঞে ও ব্রহ্মলাভ হয় দি অসঙ্গ চিত্তে তাহ আচরিত হয়। এই প্রকার চক্রের নিয়মে না চলিয়া কেবল নিজের ইন্দ্রিয়স্কপের বশে চলিলে পাপ হয় ।" শ্রীকৃষ্ণের কথার তাৎপর্যা এই, ঘদি তুমি যজ্ঞের উপকারিত মান তাহা হইলে নিষ্কম থাকা চলে না এবং যজ্ঞ ন; করিয়া কেবল নিজের স্বগের জন্য কৰ্ম্ম করিলে তস্করের ন্যায় আচরণ হয় । যজ্ঞ যদি করিতেই হয় তবে নিঃসঙ্গ চিত্তে কর—যজ্ঞের কৰ্ম্মবন্ধন হইতে মুক্ত হইবে ও পাপপুণ্যের উপরে উঠবে। বাস্তবিক ঋহার বুদ্ধি