পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৫২ বিদেশের সহিত কৃষ্টিবিষয়ক আদানপ্রদান ডাক্তার দ্বিজেন্দ্রনাথ মৈত্র কলিকাতায় একটি কল্যাণকর প্রতিষ্ঠান স্থাপিত করিয়াছেন । ইহার নাম “সোসাইট ফর কালচার্যাল ফেলোশিপ উইথ ফরেন কাস্ট্রিজ,” অর্থাৎ বিদেশের সহিত কৃষ্টিবিষয়ক আদানপ্রদান ও মৈত্রীসংসাধক সমিতি । আমাদের দেশে আমাদের পরিবারে সমাজে সাহিতো বিজ্ঞানে ললিতকলার ও অন্য নানা বিষয়ে হৃদয়-মন-আত্মার উৎকর্মের পরিচায়ক কি আছে, তাহা বিদেশীদিগকে জানান এবং বিদেশে ঐৰূপ কি আছে তাহার সহিত স্বদেশবাসীদিগকে পরিচিত করা এই সমিতির উদ্দেশ্ব বলিয়া আমরা বুঝিয়াছি । ইহা গত বৎসরের মাচ্চ মাস হইতে কাজ করিতেছে, কিন্তু ইহার প্রকাশ্য প্রতিষ্ঠা হইয়াছে গত বৎসর ২১শে ডিসেম্বর । ইহার উদ্দেশ্যাদি নীচে মুদ্রিত হইল । ( ১ ) পরস্পরকে বুঝিবার চেষ্টা, পরম্পরের সেবা ও হিতৈষণা, বিদেশ পরিভ্রমণ ও অধ্যয়নের ব্যবস্থা এবং ভারতবাসী এবং বৈদেশিকের শিক্ষা, সভ্যতা ও জীবনের স্তাদর্শ প্রভৃতির সংস্পর্শ স্বারা অস্তুজাতিক বন্ধুভাবের পরিপুষ্টি এবং উন্নতিবিধান করা । (২) ইউরোপ ও আমেরিকার ইন্টারপ্তাশনেল ষ্টুডেন্ট ফেডারেশণের সহিত যুক্ত করিবার নিমিত্ত ইণ্ডিয়ান ষ্টুডেন্টস ফেডারেশন নামক ছাত্রসমিতি প্রতিষ্ঠা করা। (ত) ভিন্ন ভিন্ন দেশের বিশিষ্ট পুরুষ ও মহিলাদিগকে সম্মানিত করা । (৪) ভারতের শিক্ষণ ও সভ্যতার অাদর্শ পৃথিবীর লীন দেশে এবং অস্কাগু দেশের শিক্ষা ও সভ্যতার অাদর্শ ভারতবর্ষে প্রচার করা। (৫) অন্যান্য যে-সকল সভাসমিতি এরূপ কার্ষ্যে নিযুক্ত আছে, তাহণদের সহিত সহযোগিতা করা । (৬) সমিতির উদ্দেঙ্গের অনুকুল অন্যান্য উপায় অবলম্বন করা। বিভিন্ন দেশের ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলাদের মধ্যে র্যাহার এই সমিতির উদ্বেপ্তের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন এবং যাহার এই অনুষ্ঠান সাফল্যমণ্ডিত করিতে ইচ্ছুক, উগ্ৰহাদের প্রতি নিবেদন এই যে, র্তাহারা যেন ইহার সদস্তশ্রেণীভুক্ত হন। সৰ্ব্বনিম্ন টাদা বার্ষিক ১• টাকা : ছয় মাসের অগ্রিম দেয় চাদ ৫ টাকা এবং মাসে মাসে দেয় চাদা মাসিক >\ টাকা । ডাক্তার দ্বিজেন্দ্রনাথ মৈত্র ইহার সম্পাদক। র্তাহার ঠিকানা ৪ শম্ভুনাথ ষ্ট্রীট, এলগিন রোড, ডাকঘর, কলিকাতা । কলিকাতাস্থ শান্তিভবন বিদ্যালয় ১৯২৬ সালের জুলাই মাসে শাস্তিনিকেতনের প্রাক্তন ছাত্র ও অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত ধীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, এম্ প্রবাসী—ফাঙ্কন, .) నిరి* [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড এ ও ক্রযুক্ত বিভূতিভূষণ গুপ্ত, বি-এ এই বিদ্যালয়টি কলিকাতায় প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন। ইহার দুইজনেই শৈশব হইতে শান্তিনিকেতনে প্রবেশ করিয়া পরে দীর্ঘকাল যাবৎ সেখানে শিক্ষকতা করিয়াছেন । প্রায় ১৫১৬ বৎসর সেপানে ছাত্র ও অধ্যাপক রূপে থাকায় তথাকার আদর্শ ও শিক্ষাপ্রণালীর সহিত ইহার বিশেষ রূপে পরিচিত। এখানে ছাত্রদিগকে নিয়মিত সঙ্গীত, চিত্রকলা, ব্যায়াম, ড্রিল প্রভৃতি শিক্ষা দেওয়া হয় । বৰ্ত্তমানে এই বিদ্যালয়টি ২০ নং নবীন সরকার লেন, বাগবাজারে অবস্থিত। এই বিদ্যালয়টির বিশেষত্ব এই যে, এখানকার ছাত্রদের সহিত অধ্যাপকদের আস্তরিক স্নেহ ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। এপানকার ছাত্রের শান্তিনিকেতনের ছাত্রদের মত নিজেরাই নিজেদের নির্বাচিত নায়ক ও সম্পাদকের অধিনায়কত্বে বিদ্যালয়ের সমস্ত নিয়ম পালন করে ও বিদ্যালয়ের পুস্তকালয়, ক্রীড়, পত্রিক, সাহিত্য-সভা ইত্যাদি নানা প্রতিষ্ঠানগুলি পরিচালনা করে । এই ভাবে বিদ্যালয়টির গঠনকর্ঘ্যে অধ্যাপক ও ছাত্র উভয়ের মিলিত চেষ্টা থাকায় ইহার ক্রমশ উন্নতি হইতেছে। গত তিন বৎসর হইতে মহিলাদের দ্বারা বিদ্যালয়ের বোর্ডিং-বিভাগ পরিচালিত হইতেছে। গত ১৯২৯ সাল হইতে এই বিদ্যালয়ের ছাত্রের প্রবেশিক পরীক্ষা দিতে আরম্ভ করিয়াছে। প্রথম যে-ছাত্রটি এই বিদ্যালয় হইতে প্রবেশিক পরীক্ষা দিয়াছিল সে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হইয়াছিল। এরূপ অনেক বিদ্যালয়ের প্রয়োজন আছে। " “অবনত” শ্রেণীর লোকদের কথা আমরা কোন শ্রেণীর লোককেই “অস্পৃশ্ব” ব৷ “অবনত” মনে করি না ; এই জন্য ঐ দুটা কথা প্রয়োগ করিতে অনিচ্ছুক। কাহাদের কথা বলা হইতেছে, সংক্ষেপে তাহা বুঝাইবার জন্য ওরূপ শকা প্রযুক্ত হয়। এই সকল শ্রেণীর লোকেরা শিক্ষায় অনগ্রসর হইতে পারেন, গরিবও হইতে পারেন ; কিন্তু ঐ ঐ শ্রেণীভুক্ত বলিয়াই কেহ মাহুষ-হিসাবে হীন নিশ্চয়ই নহেন। ইহাদের অবস্থার উন্নতি হওয়া একান্ত আবশ্বক। তন্নিমিত্ত স্বাবলম্বন অবশ্নই