পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وأسوأ ও সঙ্গীগণের সুহিত শ্রীরামচন্দ্র মুখোপাধ্যায় হাটিয়াই কলিকাতা অভিমুখে রওনা হইলেন। “ধান্তক্ষেত্রেব পর ধাস্তক্ষেত্র এবং মধ্যে মধ্যে কমল-পূর্ণ দাধিকানিচয় দেপিতে দেখিতে, অশ্বখ বট প্রভৃতি বৃক্ষরাজির শীতল ছায় অনুভব করিতে করিতে, ওঁীহারা সকলে প্রথম ছুই দিন সানন্দে পপ চলিতে লাগিলেন । কিন্তু গন্তব্যস্থল পৌঁছান পয্যন্ত ঐ আনন্দ রাহুল না । পপশ্ৰমে BBBBS DBS BBBB BBBB BBB BB BBB BBB TBDS চত্রকে বিশেল চিস্তান্বিত করিলেন । কস্তার ঐক্লপ অবস্থায় অগ্রসর হওয়৷ অসম্ভব বুকিয় তিনি চটাতে আশয় লইয়া অবস্থান করিতে লাগিলেন।” প্রাতঃকালে উঠিয়া শ্রীরামচন্দ্ৰ দেখিলেন, কন্যার জর ছাড়িয়া গিয়াছে। পথিমধ্যে নিরুপায় হইয়া বসিয়া থাক অপেক্ষ তিনি ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়াই শ্রেয় মনে করিলেন। কন্যারও তাঁহাতে মত হইল। কিছুদূর যাইতে না যাইতে একটি পান্ধীও পাওয়া গেল। সারদামণি দেবীর আবার জর আসিল, কিন্তু আগেকার মত জোরে না আসায় তিনি অবসন্ন হুইয়। পড়িলেন না, এবং ঐ বিষয়ে কাহাকেও কিছু বলিলেন ও না। রাত্রি নয়টার সময় সকলে দক্ষিণেশ্বর পৌছিলেন । সারদামণিকে এক্টরূপ পীড়িত অবস্থায় আসিতে দেখিয় রামকৃষ্ণ সাতিশয় উদ্বিগ্ন হইলেন। “ ঠাও লাগিয়া জ্বর বাড়িবে বলিয়া নিজ গৃহে ভিন্ন শয্যার উহার শয়নের বন্দোবস্ত করিয়া দিলেন এবং দুঃপ কল্পির বীরস্কার বলিতে লাগিলেন, ‘তুমি এতদিনে আসিলে? আর কি আমার সেজ বাবু (মথুর বাবু) আছে যে তোমার যত্ন হবে ? ঔষধ পথাদির বিশেষ বন্দোলস্তে তিন চারিদিনেই ঐশীশ্ৰী মাহুঠিাকুরাণ আরোগ্য লাভ করিলেন ।” ঐ তিন চারি দিন রামকৃষ্ণ তাঙ্গকে দিনরাত নিজ গৃহে রাথিয়া ঔষধপথাদি সকল বিষয়ের স্বয়ং তত্ত্বাবধাম করিলেন, পরে নহবং-ঘরে নিজ জননীর নিকট তাঙ্গর থাকিবার বন্দোবস্ত করিয়া দিলেন । সারদামণি এখন বুঝিলেন, রামকৃষ্ণ আগে যেমন ছিলেন, এখনও তেমনি আছেন, তাহার প্রতি তাহার স্নেহ ও করুণ পূৰ্ব্ববং আছে । তিনি প্রাণের উল্লাসে পরমহংস দেব ও উহার জননীর সেবায় নিযুক্ত হইলেন, এবং তাহার পিতা কন্যার আনন্দে আনন্দিত হইয়া কয়েকদিন পরে বাড়ী ফিরিয়া গেলেন । রামকৃষ্ণ পত্নীর প্রতি - কৰ্ত্তব্যপালনে মনোনিবেশ করিলেন । অবসর পাইলেই তিনি সারদামণিকে মHনবজীবনের উদেখা এবং কৰ্ত্তব্যসম্বন্ধে, সৰ্ব্বপ্রকার শিক্ষাপ্রদান প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩১ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড । করিতে লাগিলেন। গুনা যায়, এই সময়েই তিনি, পত্নীকে বলিয়াছিলেন, "চাদ মামা যেমন সকল শিশুর মামা, তেমনি ঈশ্বর সকলেরই আপনার ; তাহাকে ডাকিবীর সকলেরই অধিকার আছে ; যে ডাকিবে, তিনি তাহাকেই দর্শন দানে কৃতাৰ্থ করিবেন। তুমি ডাক ত তুমিও তাহার দেখা পাইবে।” কেবল উপদেশ দেওয়াতেই রামকৃষ্ণের শিক্ষাপ্রণালী পৰ্য্যবসিত হইত না । তিনি শিক্ষাকে নিকটে রাপিয়া ভালবাসায় সূৰ্ব্বতোভাবে আপনার করিয়া লইয়া তাহাকে প্রথমে উপদেশ দিতেন , পরে শিস্য উহা কাজে কতদূর পালন করিতেছে সৰ্ব্বদা সে বিষয়ে তীক্ষ্ণদৃষ্টি রাপিতেন এবং ভ্রম-বশতঃ সে বিপরীত অল্পষ্ঠান করিলে তাহাকে বুঝাইয়া সংশোধন করিয়া দিতেন। সারদামণির সম্বন্ধেও এই প্রণালী অবলম্বন করিয়াছিলেন । ‘সামান্য বিষয়েও রামকৃষ্ণের এরূপ নজর ছিল, যে, তিনি পত্নীকে বলিয়াছিলেন, ‘গাড়ীতে ব৷ নৌকায় যাবার সময় আগে গিয়ে উঠবে, আর নাম্বার সময় কোনও জিনিষটা নিতে ভুল হয়েছে কিনা দেখে শুনে সকলের শেষে নামূবে ? কথিত আছে, সারদামণি একদিন এই সময় স্বামীর পদ-সম্বাহন করিতে করিতে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, “আমাকে তোমার কি বলিয়া বোধ হয় ?? রামকৃষ্ণ উত্তর দিয়াছিলেন, ‘যে মা মন্দিরে আছেন, তিনিই এই শরীরের জন্ম - দিয়াছেন ও সম্প্রতি নহবতে বাস করিতেছেন, এবং তিনিই এখন আমার পদসেবা করিতেছেন । সাক্ষাং আনন্দময়ীর রূপ বলিয়া তোমাকে সৰ্ব্বদা সত্য সত্য দেখিতে পাই ।” রামকৃষ্ণ মকল নারীর মধ্যে, অতি হীনচরিত্র রমণীর মধ্যেও, ধিশ্বের জননীকে দেখিতেন । “ উপনিষৎকার ঋষি যাজ্ঞবল্কামৈত্রেয়ী-সংবাদে শিক্ষা দিতেছেন-- পতির ভিতর আয়ুস্বরূপ শ্ৰীভগবান রক্রিয়াছেন বলিয়াই স্ত্রীর পতিকে প্রিয় বোধ হয় ; স্ত্রীর ভিতর তিনি থাকতেই পতির মন স্ত্রীর প্রতি আকৃষ্ট হষ্টয় থাকে । ( বৃহদারণ্যক উপণিষদ, ৫ম গ্রাহ্মণ । ) ” এই সময়ে রামকৃষ্ণ ও সারদামণি এক শয্যায় রাত্রি যাপন করিতেন। দেহ বোধবিরহিত রামকৃষ্ণের প্রায় সমস্ত রাত্রি এইকাষ্ণুে সমাধিতে অতিবাহিত হইত। এই