পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سوسb সাবদামণি দেবী ঐ কথা শুনিয়া বলিলেন, ‘অনেক লোক সঙ্গে যাইতেছে, সেখানেও অত্যন্থ ভিড় হইবে, অত ভিড়ে নৌকা হইতে নামিয়া উংসব দর্শন করা আমার পক্ষে দুষ্কর হইবে, আমি যাইব না।’ তাহার এই না-যাওয়ার সঙ্কল্পের উল্লেখ করিয়৷ পরে রামকৃষ্ণ বলিয়াছিলেন, “অত ভিড়—তাহার উপর ভাব-সমাপির জন্য আমাকে সকলে লক্ষ্য করিতেছিল,—ও ( সারদামণি ) সঙ্গে না যাইয়৷ ভালই করিয়াছে, একে সঙ্গে দেখিলে লোকে বলিত "হংস হংসী এসেছে।’ ও খুব বুদ্ধিমতী ।” তার পর পত্নীর বুদ্ধির ও নির্লোভিতার দৃষ্টান্তস্বরূপ তিনি বলেন— “মাড়োয়ারী ভক্ত ( লছ মীনারায়ণ ) বপন দশ হাজার টাকা দিতে BDD BBB BBB BBB BB BBB BBBB BB S BBB বলিলাম, ‘ম ! এত দিন পরে আবার প্রলোভন দেপার্টতে আসিলি!' সেই সময় ওর মন বুঝিবার জন্য ডাকাইয়! বলিলাম, ওগো, এই টাকা দিতে চাহিতেছে, আমি লক্টতে পাবিব ন৷ বলিয়৷ তোমার নামে দিতে চাহিতেছে, তুমি উক্ত লও না কেন, কি বল ? শুনিয়াই ও বলিল, ভ। কেমন করিয়া হইবে ? টাকা লওয গুইলে না—আমি লঙ্গলে ঐ টাকা তোমারই লওয়া হইবে । কারণ আমি উহ। রাপিলে তোমার সেব ও অন্যান্য অলঙ্গাকে উত। বায় না করিয়া থাকিতে পারিব না : সুতরাং ফলে উছা তোমারই গ্ৰহণ করা হইবে। তোমাকে লোকে ভক্তি শ্রদ্ধ করে তোমাৰ ঠাগের জন্য -অতএব টাকা কিছুতেই লওয়া হইবে না। ওর ঐ কথা শুনিয| আমি ঠাপ ফেলিয়া বঁচি ” যাহাকে দরিদ্রতাবশতঃ বিপং-সঙ্কল দুষ্ট তিন দিনের পথ পদব্রজে অতিক্রম করিয়া দক্ষিণেশ্বর যাইতে হইত, ইছ সেইরূপ অবস্থার নারীর নিস্পৃহতা ও সুবিবেচনার অন্যতম দৃষ্টান্ত । 禹 "সারদামণি দেবী পাণিহাটীর মহোৎসল দেখিতে ন যাওয়ার কারণ সম্বন্ধে বলিয়াছিলেন, “প্রাতে উনি আমাকে যে ভাবে যাইতে বলিয়। পাঠাইলেন তাঙ্গাতেই বুঝিতে পাবিলম উনি মন খুলিয়া অনুমস্তি দিতেছেন না । তাহা হইলে বলিতেন— , যালে বৈ কি। ঐন্ধপ ন৷ করিয়া উনি ঐ বিষয়ের মীমাংসার ভার যখন আমার উপরে ফেলিয়া বলিলেন, ওর ইচ্ছা হয় ত চলুক, তপন স্থির করিলাম যাইবার সঙ্গল্প ত্যাগ করাই ভtল ।” সারদামণি দেবী বাঙালী হিন্দু-কুল-বধু, সুতরাং সাতিশয় লজ্জাশীল ছিলেন । দক্ষিণেশ্বরের বাগানে নহবংখানায় তিনি দীর্ঘকাল স্বামীর ও অতিথি-অভ্যাগতের সেবায় আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন, কিন্তু তখন অল্প লোকেই তাহাকে দেখিতে পাইত । রাত্রি তিনটার পর কেহ উঠিবীর বহু পূৰ্ব্বে উঠিয়া প্ৰাত:কৃত্য স্নানাদি সমাপন করিয়া তিনি যে ঘরে ঢুকিতেন, সমস্ত দিবস আর প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড । বাহিরে আসিতেন ন-কেহ উঠিবার বহু পূৰ্ব্বে, নীরবে নিঃশব্দে আশ্চৰ্য্য ক্ষিপ্রকারিতার সহিত সকল কাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়া পুঞ্জ জপ ধ্যানে নিযুক্ত হইতেন। অন্ধকার রাত্রে নহবংখানার সম্মুখস্থ বকুলতলার ঘাটের সিড়ি বাহিয়া গঙ্গায় অবতরণ করিবার কালে তিনি এক দিবস এক প্রকা গু কুম্ভীরের গাত্রে প্রায় পদার্পণ করিয়াছিলেন। কুম্ভীর ডাঙ্গায় উঠিয়া সোপানের উপরে শয়ন করিয়া ছিল , তাহার সাড়া পাইয়। জলে লাফাইয়া পড়িল । তদবধি সঙ্গে আলো না লইয়া তিনি কখন ঘাটে নামিতেন না । এইরূপ স্বভাব ও অভ্যাস সত্ত্বেও স্বামীর কঠিন কণ্ঠরোগের চিকিৎসার জন্য স্যামপুকুরে অবস্থানের সময় “এক মহল বাটতে, অপরিচিত পুরুষ-সকলের মধ্যে, সকল-প্রকার শারীরিক অসুবিধা সহ করিয়া তিনি যে ভাবে নিজ কৰ্ত্তব্য পালন করিয়াছিলেন, তাহা ভাবিলে বিস্মিত হইতে হয়।” “ডাক্তারের উপদেশ-মত সুপথ্য প্রস্তুত করিবার লোকাভাবে ঠাকুরের রোগবৃদ্ধির সম্ভাবনা হইয়াছে, শুনিবামাত্র সারদমণি দেবী আপনার থাকিবার স্ববিধা-অসুবিধার কথা কিছুমাত্র চিন্তা না করিয়া শু্যামপুকুরের বাটতে আসিয়৷ ঐ ভার সানন্দে গ্রহণ করেন –তিনি সেখানে থাকিয় সৰ্ব্বপ্রধান সেবাকার্য্যের ভার গ্রহণ করিয়াছিলেন।” তিনি তখনও রাত্রি ৩টার পূৰ্ব্বে শয্যাত্যাগ করিতেন, এবং রাত্রি ১১টার পর মাত্র দুইটা পৰ্য্যন্ত শয়ন করিয়া থাকিতেন । হিন্দু-কুল-বধু হইলেও তিনি প্রয়োজন হইলে পূৰ্ব্বসংস্কার ও অভ্যাসের বাধা অতিক্রম করিয়৷ প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব ও সাহসের সহিত যথাযথ আচরণে কতদূর সমর্থ ছিলেন, তাহার দৃষ্টান্ত-স্বরূপ একটি ঘটনার বিবরণ দিতেছি । g স্বল্পব্যয়সাধ্য যানের অভাব, অর্থাভাব প্রভৃতি নান কারণে সেকালে সারদামণি দেবী অনেক সময়ে জয়রামবাট ও কামারপুকুর হইতে দক্ষিণেশ্বর স্থাটিয়া আসিতেন। •আসিতে হইলে পথিকগণকে ৪৷৫-ক্রোশ-ব্যাপী তেলোভেলো ও কৈকলার মাঠ উত্তীর্ণ হইতে হইত। ঐ বিস্তীর্ণ প্রান্তরদ্বয়ে তখন নরহন্ত ডাকাইতদের ঘাটি ছিল। প্রান্তরের মধ্যভাগে এপনও এক ভীষণ কালীমূৰ্ত্তি দেখিতে