পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ঠেল গাড়ীটির মজা হইতেছে এই যে, দরকার না থাকিলে ইহাকে ছড়ির গায়ে জুড়িয়া রাখা যায় । এমনভাবে জুড়িয়া রাখা যায় যে, তখন ছড়ি লইয়া বেড়াইবার কোনই কষ্ট হয় না, ছড়ির সঙ্গে যে গাড়ী আটকান আছে, তাহ বোঝাই যায় না বলিলে হর । ইহা এখনও বাজারে উঠে নাই । উভচর মোটর গাড়ী—. (৭) দুই পাশে দুইটি pontoon-TG ziestā মোটর-বাইসাইকেলটি জলে এবং ডাঙায় উভয় স্থানেই চলিতে পারে। জলে চলিবার সময় আরোহী তাহার পা দুটিকে উঠাইয়। রাখিলে ভিঞ্জিবার কোন উভচর মোটর গাড়ী ভয় নাই। জলে পেড়ালের সাহায্যে একটি প্রপেলার ঘোরে, তাহার জোরে গাড়ী অগ্রসর হইতে থাকে। হাতলের সঙ্গেই গাড়ীর পিছনে হালের যোগ আছে, তাঁহাতে গতি নিরূপণ করা যায় । শিশু-রেলগাড়ী— (৮) অ্যাটলান্ট সহরের হারিসূ নামে এক ভদ্রলোক একটি শিশুরেলগাড়ী তৈয়ার করিয়াছেন । গাড়ীখানি মাত্র দু-তিন ফুট লম্বী, চাকাগুলিও ছয় ইঞ্চি মাত্র উচু। গাড়ীথানিকে ঠেলিতে হয় না, বাম্পের পঞ্চশস্ত—২৫,০০০ বছরের শিল্প ৩৬১ সাহায্যে চলে। এই শিশু রেলগাড়ীটিই নাকি পৃথিবীর মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ। ক্ষুদ্র লোক-টানা গাড়ী। ছবিতে দেখুন কেমন আরামে চারজন রেল গাড়ীতে চলিয়াছেন। কল-কব্জা এবং ধরণ-ধারণে বড় রেলগাড়ীর সহিত ইহার কোনপ্রকার বৈষম্য নাই, বেচারীর আকারই বা একটু ছোট, এই যা তফাৎ । ইনিও লাইন ছাড়া বে-পথে চলা-ফেরা করেন না। নায়াগ্রার উপর তারের গাড়ী— (৯) নায়াগ্রা নদীর উপর যাত্রীদের গমনাগমনের জঙ্ক একপ্রকার তীবের গাড়ীর বন্দোবস্ত আছে । শক্ত এবং মোট তারের উপর গাড়ী থানি বুলিয়া চলে। বৈদ্যুতিক শক্তিতেই ইহা হয়। নদীর জলের দু-শ ফুট নায়াগ্রার উপর তারে ঝুলিতে ঝুলিতে গাড়ী চলিতেছে উচু দিয়া এই গাড়ী চলে। গাড়ীর উপর বসিয়া নদীর ভীষণ বেগে প্রবাহিত জলকে দেখিয়া অনেকের মাথা ঘুরিয়া যায়, কারণ নীচে পড়িলে আর কোনরকমেই রক্ষা নাই । ২৫,০০০ বছরের শিল্প— একজন ফরাসী মাটির নীচে এক গুচায় কতকগুলি পুরাকালের গুহাবাসী লোকদের নিৰ্ম্মিত শিল্প আবিষ্কার করিয়াছেন। গুইটি মাটির ১৩•• ফুট নীচে অবস্থিত। এই গুহার মধ্য দিয়া একটি জলস্রোত আছে । মাঝে মাঝে গুহার ছাদের পাথর একেবারে জল ছু ইয়া আছে । এই কারণেই এতদিন পৰ্য্যপ্ত কেহ এই গুহার স্রোতে নমিতে সাহস করে নাই! কারণ পাথরের বেড়ার পরপারে মাটির তলায় কি আছে, BBS BBBBS KBS BB BS BBB BB BB BS BBBS BBB এইখানে নামিতে সাহস করে নাই । এই ফরাসী যুবকের নাম নবুবু কাশ্মতিরে tNorl.ut (astinct) । ইনি একজন পকী সীতারি। একটি রবারের বাষ্ট্রের মধ্যে দেশলাই এবং মোমবাতি শুরিয়া লইয়া, ইনি এই গুহার মধ্যে জলস্রোতে নামেন । গুহার উপরের পাথর যেখানে জল ছুইয়৷ আছে, সেই সেই স্থানে তিনি . ডুব-সাতার দিয়া পার হন । , এইরকমে প্রায় এক মাইল সাতরাইয়