পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] বাঙ্গালী-প্রজার শোণিত-তুল্য অর্থ হইতেই উহা আসিয়াছে। এই জমির উৎকর্ষসাধনের জন্ত যে কয়েক হাজার টাকা ব্যয় হইয়াছে, তাহাও এদেশের লোকেরই অর্থ। অথচ কৃষি-বিভাগের মোড়লের জমিটুকু অনায়ণে একটি বিলাতী কোম্পানীকে ব্যবসা করিবার জন্ত খয়রাত করিয়া দিলেন । পূর্বেই বলিয়াছি, চুচুড়ার ফৰ্ম্মে মোট জমি ৬৭ শত বিঘা ৷ ইহার মধ্যে ১৯২২ সালে ৪ শত বিঘাতে ফসলাদি করা হইয়াছিল । বাকী জমি পতিত ছিল। . ১৯২৩ সালে পুর্বের চেয়ে আরও বেশী জমি পতিত ছিল। ১৯২২ সালে এই ফার্শ্বের বাবদ খরচ হইয়াছে ২৪a৮৬।১০, আর আমদানি ;ে ,ানো হইয়াছে ১৪১১৭০ টাকা মাত্র । এই অমৃদানি টাকার মধ্যে ১৯৪৭%/৫ টাক। ১৯২২ সালের ৩১ শে মার্চ, পৰ্য্যস্ত আদায় হয় নাই এবং ৩১৬৪ty০ টাকা মুল্যের জিনিষ ঐ তারিখ পর্ধান্ত বিক্রয়ার্থ মজুত ছিল। অর্থাৎ ১৯২২ সাল ৩১ শে মার্চ পৰ্য্যন্ত মোট নগদ আদায় ৮৭৫৫॥g এবং মোট খরচ ২০০৮৬\ । সহজ এবং সরল ভাষায়—ফার্ক্সের বাবদ দেন বা বাকী ১১৮৩১ টাকা ! ১৯২২ সালে ঐ ফৰ্ম্মে ফসল জন্মাইবার জন্ত লীজ, সার ও যন্ত্রাদি খরিদ বাবদ মোট ব্যয় হইয়াছিল মাত্র ৬৫৭/০ টাকা এবং প্রকৃতপক্ষে তাহার স্বারাই ফসলাদি উৎপন্ন হইয়াছিল । অথচ ফৰ্ম্মের খাতায় মোট খরচ দেখানে হইয়াছে ২৯৫৮৬ টাকা : তাহা হইলে বাকী টাকাটা আর কিসের জন্য ব্যয় হইল ? ভূতের বীপের শ্রীদ্ধের জন্য ? যে ফার্শ্বের মোট নগদ আমৃদানি ৮ হাঞ্জাব টাকা, তাহার ব্যয়ের ফর্ণ ২০ হাজার টাকা ! কি শোচনীয় অবস্থা । আর এইরূপ একটা দেউলিয়া ফার্থের কাজ চালাইবার জন্য সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট ও কয়েকজন কৰ্ম্মচারী আছেন,~~র্ত{হাদের মাহিনী বাবদও বোধ হয় বৎসরে পাচ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এদেশ ছাড়া এমন তন্তুত ব্যাপার আয় কোথাও সম্ভব হুইত কি ? আমরা প্রস্তাব করি, অতঃপর চুঁচুড়ার সমস্ত ফাৰ্ম্মটিই সাটেম এণ্ড সঙ্গ কে বিনাসর্বে ইজার দেওয়া হউক এবং উক্ত কোম্পানী মনের অনিলে সেখানে বীজের ব্যবসায় চালাইয়। লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ করিতে থাকুন। আর বাঙ্গলীর কৃষক ফ্যাল ফ্যাল করিয়া চাহিয়া দেখুক । — অনিল বাজীর পত্রিকা পল্লী-সংস্কার—- (ক) গ্রামের মধ্যবর্তী জলনিকাশের পথ বা নালাগুলি পরিষ্কার এবং কার্য্যকারী করিয়া রাখা । 娜 (খ) ছোট ছোট ডোবা, যাহা গ্রীষ্মকালে জলশূন্ত হইয় থাকে, অথচ বর্ষাকালে জল আবদ্ধ করিয়া রাখে, সেইগুলি বোজাইয় ফেলা । (গ) গ্রামের মধ্যবৰ্ত্তী বড় বড় পুকুর । কই, মেীরলা, পুটি, ছুয়া মশককীড়াভুক্‌ , মাছের চাষ করা এবং পান প্রভৃতি জলজ উদ্ভিদ হইতে উহুদিগকে পরিষ্কার রাখী । (ঘ) ছোট ছোট বনজঙ্গল, যাহাতে আজকাল গ্রামগুলির মধ্যবৰ্ত্তী পরিত্যক্ত বস্তুভিটাগুলি ভরিয়া উঠিতেছে, তাহা কাটিয়া পরিষ্কার করা । (ঙ) পরিত্যক্ত ভাঙ্গা ইড়িকুড়িতে, বড় বড় গাছের কোটরে, এবং আনারস প্রভূতি কয়েক জাতীয় গাছের মাথায় যাহাতে বর্ধার জল জমিয়া না থাকে তাহার চেষ্টা করা । (চ) কুয়াকে ঢাকা রাখার ব্যবস্থা করা এবং যতদিন না খানাডোবাগুলি বোজান হয় ততদিন উহাদের মধ্যে সঞ্চিত আবন্ধ জলে মাঝে মাঝে কেরোসিন দেওয়া । (ছ) বড় বড় পুষ্করিণীর মধ্যে মধ্যে পঙ্কোদ্ধার করিয়া পানীয় জলের স্বব্যবস্থা করা । দেশ-বিদেশের কথা—বাংলা 8o6* আমরা উল্লিখিত উপায়গুলি গ্রহণ করিতে প্রত্যেক পল্লবাসীকে উপদেশ দিই। ইহা দ্বারা খান ডোব ভরাট করিয়া গ্রামের মধ্যেই কৃষিযোগ্য জমি বাড়ন চলিবে, মাছের চাষ বাড়াইয়া বর্তমান মৎস্তাভাব অনেকটা বিদূরিত হইবে, এবং তদ্ধাব অনেকের একটা নুতন আয়ের পথ খোলা হইবে, আর ছোট ছোট বন জঙ্গল পরিষ্কার করিয়াও কৃষিযোগ্য জমির বৃদ্ধি এবং কাঠের অভাবও অনেকটা দূর হইবে। গাছের কোটরে ও আনারসগাছের মাথায় জল জমিয় থাকা নিবারণের দ্বারা গাছগুলির অবস্থাও ভাল হইবে । সৰ্ব্বোপরি স্বাস্থ্যরক্ষার জন্ত সকলেরই চেষ্টা করা উচিত । - ‘স্বাস্থ্য-সমিতি গঠন খুব প্রয়োজনীয়, এবং আমরা পল্লীবাসীগণকে উহ। করিতে উপদেশ দিই। ঐ প্রকার সমিতি গঠন করিয়৷ ‘কেন্দ্রীয় ম্যালেরিয়া নিবারণী সমবায় সমিতি'তে সংবাদ দিলে তাহার প্রত্যেক ‘পল্লী-সমিতি"কে সাধ্যমত সাহায্য ও উপদেশ দানে উহাদের উন্নতির সহায়ক হইবেন । কলিকাতা, ১•১ নং কর্ণওয়ালিস স্ট্রীটে উক্ত কেন্দ্রীয় সমিতির কার্য্যালয় । আপনার হয়ত জানেন না যে এই বঙ্গদেশে এক বৎসরের মৃত্যু সংখ্যা ও মোট জনসংখ্যার হার এবং প্রত্যেক রোগে মৃত্যুর হার হিসাব করিলে দেখা যায় প্রত্যহু-—প্রতি ১ মিনিট অন্তর একজন করিয়া অধিবাসী ম্যালেরিয়ায় ৩ জন নিউমোনিয়ায়, ৪ জন ওলাউঠায়, ৪ জন আমাশয়ে, ৫ জন ক্ষয়রোগে, ৮ জন সুতিকায়, ১৫ জন ধনুষ্টঙ্কারে, ৩০ জন কালাজ্বরে, ধরিতেছে । এবং প্রত্যহ একজন করিয়া টাইফয়েড জ্বরে মৃত্যু-মুখে পতিত হইতেছে। দেশের এ অবস্থার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলে শরীর আতঙ্কে শিহরিয়া উঠে ; সুতরাং স্বাস্থ্য সমিতি গঠনের প্রয়োজনীয়তা অধিক করিয়া বলিবার দরকার হয়। –কুমক বঁাশের নলকুপ— বিপদবরণ বাপু বীশের মলকুপের মোটামুটি বায়ের যে ফর্দ দিয়াছেন তাহ নিয়ে দেওয়া গেল— একটি বাঁশের নল— • গান ধূসাইবার থয়চ– ২ টাকা পিতলের জাল ও তার-— བ་རྗེ་། -- একটি লোহার নল চামড়া প্রভৃতি ॥• আন৷ মোট ৫ টাক লেখার ব্যারেল ব্যবহার করিলে ইহার উপর আরও দুই টাকা খরচ হইবে। প্রতি নলকূপ হইতে অনুন ৬•• গ্যালন জল পাওয়া যাইতে পারে। এরূপ অল্প ব্যয়সাধ্য নলকূপে যদি ঐ প্রকার জল পাওয়া যায় তাহা হইলে এই গরীব দেশের জলের অভাব অনেকট। দূর হইতে পারে। বঙ্গের ডিষ্ট্রক্ট বোর্ড ও মিউনিসিপ্যালিটিতে এই নলকুপের ক{যাকারিত একবার পরীক্ষা করিয়৷ দেখিলে ভাল হয় না ? —টাঙ্গাইল হিতৈষী ভারকেশ্বরের কথা— তারকেশ্বর সাধারণ গ্রামের মত নহে। এখানে শুধু তারকনাথ এবং তারকনাথের সেবাইত মোহাস্ত আছেন এবং যাত্ৰীগণের আবহুক দ্রব্যাদি সৰ্ববরাহ করিবার জন্ত বাজার অাছে। ক্রমে এখানে "আনঙ্গ বাজার" বলিয়া একটি পল্লী গড়িয়া উঠিয়াছে—এই পল্লীতে সাড়ে চারি শত বেস্ত বাস করে । এখানে এত বেস্তা রাখিবার কারণ শুনিলাম এই যে, ইহাতে যাত্রী সংখ্যা খুব বেশী হয়। এত বস্ত কোথা হইত্তে