পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] অকুন্দর হইতে পারে না । নীতিবিহীন আর্ট, কখনও স্বন্দর হইতে পারে না। আর্ট নীতিকে সরস করে ও ভূমার সহিত যুক্ত হইতে সাহায্য করে। মানব-হৃদয়ের মধ্যে যে সৌন্দর্য্যের খনি রহিয়াছে, তাহাকে উপেক্ষা করিয়া উপবাসে রাগিলে সমস্ত জীবন দুঃখ পাইবে—সমগ্র মানবত্বের কখনও বিকাশ সম্ভবপর হইবে না । জীবনে মঙ্গল ত চাইই, কিন্তু সৌন্দৰ্য্যকে ত্যাগ করিতে পারি না । সেই জীবনষ্ট ধন্য যাহা সত্যকে চিনিয়া লইয়াছে এবং সেই পরিপূর্ণ সত্যের অখণ্ড-মূৰ্বির মধ্যে সুন্দর ও মঙ্গলকে সখ্য-বন্ধনে নিত্য আবন্ধ দেখিয়াছে । ধৰ্ম্মে ও সাহিত্যে আমরা স্বীকার করিয়া লইয়াছি যে, মানবাত্মা স্বাধীন। প্রত্যেক মানব নিজ নিজ আলোকের অনুসরণ করিয়া বিকাশের দিকে অগ্রসর হইবেন । ইছ। সভ্য । ইহার ফলে আমরা কতকগুলি ভাব প্রচারিত নিষ্কণ্টক হইতে হয়ের অন্তপুরে লইয়া যায়। পূর্ণ বিকাশ কখনও &సి) AAAAAASA SAAAAA AAAA SAAAAAS S AAAAS SAAA SAAAAA SAAAAAS AAASASASS হইতে দেখিতেছি । যেমন প্রত্যেক মাচষের রুচি, ইচ্ছা ও সংকল্প তাঙ্গর নিকট সত্য–উঙ্গ সমষ্টির অনুকূল হউক বা প্রতিকূল হউক। প্রত্যেক জাতির মঙ্গল তাহার নিকট সত্য—ইহাতে অপরাপর জাতির যতই অনিষ্ট হউক। কিন্তু দেখিতে পাওয়া যায় যাহা সত্য ইচ্ছ, সত্য সংকল্প ও সত্য মঙ্গল তাহণ ব্যক্তি বা জাতিকে ভূমার দিকে লইয়া যায়— যাহা ভূমার উপর প্রতিষ্ঠিত তাহাঙ্গ সত্য। স্বজাতি-প্রেম শ্ৰেষ্ঠ, কি বিশ্বমানবতা শ্রেষ্ঠ– হিংস ও স্বার্থপরতা শ্রেষ্ঠ, কি বিশ্বের কল্যাণের জন্য বিন্দু বিন্দু করিয়া আত্মবলিদান শ্রেষ্ঠ-ক্ষদ্রতা শ্রেষ্ঠ কি উদারতা শ্রেষ্ঠ —প্রবৃত্তির তুষ্টি সত্য কি তার বিসর্জন শ্রেষ্ঠ—অণুর আহবান সত্য কি আদর্শের স্বপ্ন সত্য, এই ভূমার সহিত যোগে বুঝিতে পারি। আট একটি ক্ষুদ্র সম্পর্কবিষ্টীন বিষয় নন্তে । জীবনের সঙ্গে ইহা গভীর যোগে যুক্ত। আমরা যেমন জীবনকে লইয়৷ ধুলাখেলা করিতে পারি না, আর্টকে লইয়া ও সেরূপ পারি না। নিষ্কণ্টক জুড়নজীবন মুখোপাধ্যায় রামজীবন খন্দরের চাদরখানা গায়ে ফেলিয়া প্রত্যুষেই নিস্তার-মার্সীর বাড়ীর দরজায় উপস্থিত হইল । তার পর . নিঃশব্দে বাটীর মধ্যে প্রবেশ করিয়া উদ্বেগ-উৎকণ কানছুটি গৃহদ্বারে স্থাপিত করিয়া ধীরে ধীরে একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলিল । বাহিরে আসিয়া গোশাল হইতে গরুটিকে বাহির করিয়া ও চাবিদিক একবার নিরীক্ষণ করিয়া ত্বরিতপদে বাহির হইয়া গেল । কান্তিকমাস হইীেও বেশ একটু ঠাণ্ডা পড়িয়াছে । শরতের শেষটায় ম্যালেরিয়া তাহার বিজয়বাদ্য বাজাইয়া একটু নিরস্ত হইতে আরম্ভ করিয়াছেন দেখিয়া নিউমোনিয়া, টাইফয়েড, এই স্বযোগে ভূভার হরণার্থ বঙ্গপল্লীতে দেখা দিয়াছেন, দরিদ্র বিধবা নিস্তারিণীর বালক-পুত্র নিউমোনিয়ার অতু গ্রহে সুজলা-সুফল বঙ্গ ছাড়িয়া একেবারে চিরমলয় সেবিত স্বৰ্গধামেই আশ্রয় পাইতে বসিয়াছিল ; কিন্তু অৰ্ব্বাচীন রামজীবনটার জন্য সে-সৌভাগ্য হইতে বঞ্চিত হইল। গ্রামের প্রবীণ জ্ঞানী ব্যক্তিল বলিলেন যে, পরমায়ু থাকিতে কেহ মরে না, মামুষের চেষ্টা অনর্থক,একমুঠা নেহাং কপালে ছিল বলিয়াই নাকি রক্ষা পাইয়া গিয়াছে, কেনন। মানুষের চেষ্টায় ঘদি প্রাণরক্ষা হইত তাহা হইলে সপ্তম এডওয়ার্ড, মরিতেন না। এই অকাট্য যুক্তির প্রয়োগের সময় বক্তার সগৰ্ব্ব হাস্য দশ-বিশ জন অনুমোদকের হাস্যের সহিত মিশিয়।