পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও সাধারণ কলকব্জার ( Machinery ) নিৰ্ম্মাণ, পরিচালন ও সংস্কার-শিক্ষা দেওয়া হইবে । জলীয় বাম্পের পুরানো ইঞ্জিন, রেলগাড়ী চালান ও কারখানাতে ছোট দু’চারটি মোটামুটি কাজের জন্যই শুধু ব্যবহার হয়। বড় জাহাজে জলীয় বাম্পের ব্যবহার হয় ষ্টীম্‌ “টারবিনে”—তাহার কাৰ্য্য-প্রণালী সম্পূর্ণ বিভিন্ন। কিন্তু মোটর-বোট, টর্পেডো, লাঞ্চ, সাবমেরীন বোট ইত্যাদিতে তেল ও গ্যাসই সব শক্তি সরবরাহ করে । আমেরিক ত দু’-একটা বড় যুদ্ধজাহাজ শুদ্ধ তড়িতের শক্তিতেই চালাইতেছে। এরোপ্লেনের চারিশত অশ্ব-শক্তি অতি সাধারণ,—ঘণ্টাতে ৭৫ মাইল বেগ । তাহা এত হাস্কা ধে প্রতি অশ্ব-শক্তি পিছুমাত্র এক-সের দেড়-সের ৪জন । শুধু ইঞ্জিনটিতে ১১০০।১২০০ বিভিন্ন অঙ্গ আছে। এ-সব শিক্ষা কত সময়- ও সাধন-সাপেক্ষ তাহ সহজেই অল্পমেয় । কারখানাতে অন্ততঃ পাচ বংসর হাতে কাজ ন৷ করিলে কেউ কোথা ও বিশ্বাস-যোগ্য কাজ দেয় না । গরীব দেশের মাত্র কয়েকজন যোগ্য ছাত্র য়ুরোপ প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ,১ম খণ্ড বিদেশী হাওয়ার মাঝে শিক্ষার তুলনাতে অস্ববিধাও নিতান্ত কম নয়। স্বতরাং দেশেই এখন যুরোপ, আমেরিকা হইতে দু’চার জন অভিজ্ঞ বৈজ্ঞানিক কারিগর আনিয়া বেশী অর্থ খরচ করিয়া এইরূপ কলেজ-পত্তন, প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষাদানের জন্য কয়েক বৎসর রাখিতে হইবে । কাজ এখন সুরু হইলে প্রথম কারিগরদল’ কলেজের শিক্ষণ সমাপ্ত করিবে বছর আট-দশ পরে । কাজেই বিলম্ব কর সঙ্গত হইবে না বোধ হয় । দুঃখিনী বাংলা মায়ের কোলে জন্মিয় আমরা আত্মরক্ষায় অস্ত্র-ধারণের অধোগ্য বলিয়া আরো কতকাল মাচুষের সবচেয়ে বড় অপমান সহা করিব তা অন্তৰ্য্যামাই জানেন । কিন্তু আমাদের যে শুধু চোগা-চাপ গান পরিয়া পান চিবাইতে চিবাইতে কেরানীগিরি করিতে হইবে, স্বভাব, ব্যাধি, দুশ্চিন্তা, ও কাপুরুষতাতে পচিম্বা-পচিয়া রুগ্ন হীন ক্রীতদাসের মত মরিতে হইবে, তাও বোপ হয় আর বিশ্বনাথের অভিপ্রেত নয় । আমেরিকাতে শিক্ষার্থে যাইবার স্বঘে{গ পায় । আর —-প্রবাসী ছাত্র

ছুরী- ও বাক-খেলা

শ্ৰী পুলিনবিহারী দাস বিভিন্ন অসং অভিসন্ধি-হেতুহঁ দুৰ্ব্ব ত্তগণ ছুরী ৪ বাকের প্রয়োগ করিয়া থাকে ; কিংবা নিশীথে অথবা মিজন স্থানে ভয় প্রদর্শন করাইয়াও, চীনচেতা চোরগণ নিঃসহায় পথিকগণ হইতে ধন-সম্পত্তি কড়িয় লয়। তাঙ্গ ছুরী ও বাক খেলায় সুদক্ষ হইতে পারিলেই ঐসমস্ত দুৰ্ব্বত্তগণের দুষ্ট চেষ্টা ব্যর্থ করিয়া সম্পূর্ণরূপে আত্মরক্ষা সম্ভব হইতে পারে। বিশেষতঃ রমণীগণ ছুরী খেলায় সুদক্ষ হইলে, এবং ছুরী কিংবা ভোজালী আদি তাহদের সঙ্গে থাকিলে পাষণ্ডগণ আর কদাচ তাহাদের প্রতি পৈশাচিক অত্যাচার করিতে সাহস করিবে না। এইরূপ কল্পনা করিয়াই ছুরী ও বাক খেলার পদ্ধতি কথঞ্চিৎ বর্ণনা করিতে অগ্রসর হইলাম। এ-বিষয়ে কোমরূপ ভ্রম-ভ্রান্তি ও ক্রটি পরিলক্ষিত হইলে, yধীগণ তাহ এবং তৎসহ অন্য কোনও নূতন রহস্য জানাঙ্গধ। দিলে চির-কৃতজ্ঞ থাকিব । - প্রথমতঃ অসির আগভাগের অতুরূপে একপ্রকার ক্ষুদ্র অস্ত্র প্রস্তুত হঠত, তাহ{র উভয় পার্থেই ধার থাকিত, এবং সাধারণতঃ আততায়ীর অতি সন্নিকটবৰ্ত্তী হহয়! যে-কোনও মৰ্ম্মস্থলে ইহাকে সম্পূর্ণরূপে প্রবিষ্ট করাইবার নিমিত্ত ব্যবহৃত হইত, কখনও কখনও বা দূর হইতেও কৌশলে আততায়ীর প্রতি নিক্ষিপ্ত অর্থাৎ ছোড়া হইত বলিয়াই উহার নাম ছুড়ী ও ছোড়া হইয়াছে, এবং ছেদন অর্থে “ছুর” ধাতু হইতে ইহার নাম “ছুরি” (ছুরী ) হইয়াছে ;