পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سob سb স্বতরাং কৃষ্ণ রেখাগুলির অবস্থান এবং কোন-কোন মৌলিক পদার্থ দ্বারা উক্ত বর্ণ লুপ্ত রেখাসমূহ উৎপন্ন হয় স্থির করিয়া স্বৰ্য্য-মধ্যের চতুষ্পাশ্বস্থ বাষ্পমণ্ডলীর উপাদান স্থির করা যায়। এইরূপে স্বর্ধ্যের, চন্দ্রের ও অন্যান্ত অনেক নক্ষত্রের উপাদান স্থির হইয়াছে । র্যাম্জে সাহেবের পরীক্ষার বর্ণনা করিতে যাই । রশ্মিবিশ্লেষণ-প্রথী-সম্বন্ধে অনেক কথা বলিয়া ফেলিলাম । এখন বেশ স্পষ্ট বোঝা যাইবে যে, র্যামুজে কিরূপে আবিষ্কৃত গ্যাসটিকে একটি নূতন মূল পদার্থ বলিয়া স্থির করিলেন । সাধারণতঃ প্রত্যেক মূল পদার্থ উপযুক্ত-পরিমাণ তাপ অথবা বৈদ্যুতিক শক্তি পাইলে অন্য মূল পদার্থের সহিত মিলিত হইয়া একটি যৌগিক পদার্থ উৎপন্ন করে কিন্তু এই নবাবিষ্কৃত গ্যাসটি কিছুতেই কোন পদার্থের সহিত মিলিত না হওয়ায় উহার নাম জড় বা আর্গন দেওয়া হইল। এই সময় বৈজ্ঞানিক ডেওয়ায় তরল বায়ু প্রস্তুত করিবার পন্থা আবিষ্কার করেন। তরল বায়ুর সাহায্যে আর্গন গ্যাসটিকে তরল করিবার সময় দেখা গেল যে, গ্যাসটির কিয়দংশ ভূত অবস্থায় থাকে, অবশিষ্ট অংশ তরল হইয়া যায়। অ-তরলীকৃত (unliqucfied ) গ্যাসটিকে রশ্মি বিশ্লেষণ যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা করিয়া দেখা গেল যে, ইহার বর্ণচ্ছত্রে একটি উজ্জ্বল পীতবর্ণ আর একটি উজ্জল হরিৎ বর্ণের—এই দুইটি নূতন রেথা আছে। সুতরাং আর একটি মূল পদার্থ আবিষ্কৃত হইল এবং ইহার নাম হিলিয়াম্ দেওয়া হইল । এই হিলিয়াম্ নামের অন্য এক ইতিহাস আছে। ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দের ১৮ই আগষ্ট তারিখে জ্যানসেন-নামক জ্যোতির্বিদ সৌর gūtā ( solar protuberences) বর্ণচ্ছত্র গ্রহণ করিয়া তন্নধ্যে একটি অদৃষ্ট-পূর্ব উজ্জল পীত রেখা দেখিতে পান। ফ্যাঙ্ক ল্যাণ্ড ও লকিয়াবৃ-নামক বৈজ্ঞানিকদ্বয় ইহা হইতে অনুমান করিলেন যে, স্বর্ঘ্যের মধ্যে অপার্থিব একটি নূতন মূল পদার্থ আছে এবং গ্রীকৃপুরাণের স্বৰ্য্যদেবতা হিলিয়সের নামানুসারে উহাকে হিলিয়াম্ বলিয়া অভিহিত করিলেন। পরে দেখা গেল যে, র্যামজের আবিষ্কৃত গ্যাস ও লকিয়ার বর্ণিত গ্যাস প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড উভয়েই এক পদার্থ। র্যামজে তরল আর্গন হইতে F^ö A, (krypton ) &ei==U (xenon), ff{R ( Neon ) এই তিনটি নূতন গ্যাস আবিষ্কার করেন ও দেখান যে, উহারা বায়ুমণ্ডলে অতি অল্প-পরিমাণে বিদ্যমান । বায়ুমণ্ডলে দশলক্ষ বর্গফুট বায়ুর মধ্যে মাত্র এক বর্গফুট হিলিয়াম্ আছে। বৈজ্ঞানিকের নিকট হিলিয়ামের এত বেশ আদর এইজন্য যে,রেডিয়াম, ইউরেনিয়াম্ প্রভৃতি তেজোনিগমন*** GBE HIGHNE ( Radio-active elements) অন্তনিহিত শক্তি ত্যাগ করিয়া হিলিয়াম ও আর একটি লঘুতর পদার্থে পরিণত হয় । ফ্রান্সের বিখ্যাত রসায়নবিদ কুরি ও র্তাহার সহধৰ্ম্মিণী রেডিয়াম লইয়া পরীক্ষা করিয়ু দেখাইয়াছেন যে, ইহা স্বতঃই বিশ্লিষ্ট হইয়া পরমাণু অপেক্ষা সূক্ষ্মকণায় বিভক্ত হইয় পড়িতেছে । এই আবিষ্কারের , পর রাদারফোর্ড, সডি প্রভৃতি বৈজ্ঞানিকগণ প্রত্যেকে স্বাধীনভাবে বিষয়টি লইয়া গবেষণা আরম্ভ করিয়াছেন – আজও এই গবেষণার বিরাম নাই । ইহার ফলে আজকাল বিজ্ঞানের অনেক নূতন তথ্য আবিষ্কৃত হইতেছে। ইহঁাদের পরীক্ষায় প্রমাণিত হইয়াছে যে, কেবলমাত্র রেডিয়াম্ এইরূপ বিশ্লিষ্ট হয়, তাহা নয়, থোরিয়াম ইউরেনিয়ম প্রভৃতি বহু ধাতব মূল পদার্থের এইপ্রকার বিশ্লেষণ হয় এবং এই ধাতুসমূহ বিশ্লিষ্ট হইয়া হইয়া একই অতি স্বক্ষ পদার্থে পরিণত হয়, তাহাও সকলে দেখিলেন। পরমাণুর এই স্বক্ষাতিস্থম্ম ভগ্নাংশগুলির নাম দেওয়া হইল, ইলেক্টন বা অতি-পরমাণু। এইসকল আবিষ্কারের পর ড্যাল টনের xiàosoft foots ( Dalton's Atomic Theory ) আর অভ্রান্ত বলিয়। পরিগণিত হইতে পারিল না। বৈজ্ঞানিকগণ এখন বুঝিয়াছেন যে,হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, প্রভৃতি বিরানব্বইটি ধাতব ও অ-ধাতব মূল পদার্থ জগতে নাই। মূল পদার্থ একটি মাত্র তাহা এই ইলেক্ট্রন বা অতি-পরমাণু। এইগুলিই অল্প-বা অধিক-পরিমাণে জোট বাধিয়া হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, স্বর্ণ, লৌহ প্রভৃতি মূল পদার্থ নিৰ্ম্মাণ করে । 魅 র্যামূজে দেখিলেন যে, রেডিয়াম্ রূপান্তরিত হইয়৷ নাইটনে পরিণত হয় এবং নাইটন বহু তাপ পরিত্যাগ