পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Se - স্বভত্র আবারও একটু মান হাসি মুখে জানিয়া মৃদ্ধশ্বরে কহিল, “চিরকালই কি আর এই রকম করে কাটৰে ? গতি কিছু একটা হবেই।” বিমান কহিল, “ছাই হবে। এদেশে গতিমাত্রেই তৰলধোগতি। হয় ভিক্ষাবৃত্তি, নয় উদ্ধবৃত্তি। কি করবে ঠিক করেছ ? বাপের কাছে ইনিয়ে-বিনিয়ে চিঠি লিখবে, ন! গাটকাটার দলে ভিড়বে ?” স্বভত্ৰ কহিল, "মাঝামাঝি পথ কিছু নেই নাকি ?” বিমান কহিল, “দেখ খুজে, আমি সম্প্রতি নিজের পথ দেখছি ।” - ছড়িটা খুৱাইতে ঘুরাইভে তর তর করিয়া সিড়ি নামিয়া পথে বাহির হইয়া আসিল । এক মুহূৰ্ত্ত থমকিয়৷ দাড়াইয়া মনে মনে কহিল, "না, এই লক্ষ্মীছাড়া দেশে সাধ্য কি ষে চরিত্র ঠিক রেখে পথ চলব ? বাড়ীস্থদ্ধ মানুষ না খেতে পেয়ে মরবে, ঠায় দাড়িয়ে তা ত আর দেখা যায় না ? পকেটে দুটো টাকা যদি থাকত, কোথাও একপাড় খেয়ে নিয়ে অন্ততঃ আজকের মত ভুলে থাকতে পারতাম। তারও যে জো নেই ছাই ।” গুগমবাজারে একটা এদোগলির মাথায় প্রাসাদের মত বড় ছুতলা বাড়ী ৷ রাস্তার উপরেই একতলার বারান্দা, বড় বড় থাম আর ঝিলমিলি, ছুতলাতেও তাছাই । ছুই তলা মিলাইয়া এখনকার দিনের যে-কোনও চারতলা বাড়ীর সমান উচু। ভিতর-বারান্দার মাৰ্ব্বেলের মেজেতে লাঠিটাকে কিয়া চকমিলান উঠানের চার পাশটাকে একবার দেখিয়া লইয়া বিমান কহিল, “কি বাড়ীই বানিয়েছিল কৰ্ত্তার, ডাক ছেড়ে কাদতে ইচ্ছে করে। এই ত সব চেহারা, এই ত সব বীরত্ব, দেয়ালের বহর দেখলে মনে হয়, ছুদিন বাদেই মানসিংহের ফৌজের সঙ্গে লড়াই বাধ বে, তারই ব্যবস্থা হয়েছে। সাধে কি বাড়ী ছেড়ে পালিয়েছি ?” একতলার প্রায়ান্ধকার বৈঠকখানায় তাকিয়া হেলান দিয়া একাকী এক স্থূলকায় প্রৌঢ় আলবোলায় তামাকু সেবন করিতেছিলেন, দরজায় বিমানের ছায়া পড়িতেই একবার বড় বড় লোহিতাভ চোখ-দুইটি তুলিয়া চাহিয়া তৎক্ষণাৎ জাষার আলৰোলায় মনোনিবেশ করিলেন । SనOBO অপরিসর অন্ধকার একসার সিড়ি বাহিয়া বিমান উপরে উঠিয়া গেল। চিকঢাকা দুতলার বারান্দায় তাহার বধুঠাকুরাণী শাশুড়ীর কেশরচনায় ব্যাপৃত ছিলেন, দেবরকে দেখিয়া দাতে ঠোট চাপিয়া মুছ হাশু করিলেন। মা বলিলেন, “ওঘর থেকে মোড়াটা এনে দাও বৌমা ।” “ না, ন, বৌদি, তুমি বোলো, বলিতে বলিতে বিমান মায়ের পায়ের কাছে মাটিতে বসিয়া পড়িল । চাপাগলায় কহিল, “কৰ্ত্তার মেজাজ আজ অাছে কেমন ?” মা কহিলেন,"তোর সে খবরে কাজ কি ? বেশ ত নিজের পথ বেছে নিয়েছিল, নিজেকেই নিয়ে থাকু না।” বিমান কহিল, “কৰ্ত্তার যেমনই হোক, তোমার মেজাজটা জাজ খুব ভালো নেই, তা বুঝতেই পারছি। নিজেকে নিয়ে থাকৃতেই যদি পাৰ্বব, তাহলে আর এই ভরসন্ধ্যেয় হুটুতে ছুটতে এসেছি কেন তোমার কাছে ?” মা কহিলেন, “এসে ত মাথাই কিনেছ ” বিমান কহিল, “তাহলে ফিরেই যাই, কি বল ?” মা কহিলেন,"অত ঢঙে আর কাজ নেই, দ্বমাসে ছমাসে একবার আসবেন,তা আবার এসেই ফিরে চলেছেন ছেলে । তোর বৌদি আজ নারকেল-নাডু করেছে, আর পুলির পায়েস, এনে দেবে”খন, ব’সে খা । তোর দাদাও এসে পড়ল ব’লে । তারপরে একেবারে রাত্রের খাওয়া খেয়ে স্বাস।” বিমান কহিল, "ওরে বাস্রে, তা কি পারি। আমার বাড়ীতে সব্বাই ষে উপোষ ক’রে থাকৃবে তাহলে। আমি ফিরে গেলে তবে বাড়ীতে হাড়ি চড়বে।” মা কহিলেন, “তোর আবার বাড়ী কিরে লক্ষ্মীছাড়া, রাজ্যের ভূতৰ্বাদর নিয়ে দিনরাত পথে পথে হৈ হৈ ক’রে বেড়াস, তোর খবর কিছু কি আর আমার জানতে বাকী আছে ?” विधान कश्णि, “गठिा बजहि भा, अॅष्ट्रकूहे छांटन, ভূতবাদরগুলোর ষে দুর্দশার একশেৰ হয়েছে তা জানো না। কদিন ধ’রে ভাল ক’রে খেতে পাচ্ছে না । সেই জন্তেই তো এসেছি তোমার কাছে। নিজের জন্তে হলে কখখনো আসতাম না, তা ত জানোই ।” - মা বলিলেন, “নিজের জন্তে জামাদের কাছে কিছু