পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• يتحسن লিশখে Sty"> “আমি যখন এই রক্তমাংসের দেহটা লইয়া দিনের পর দিন পৃথিবীর পথে পায়চারি করিয়া বেড়াইব, আমার সম্পত্তির উত্তরাধিকারীরা যখন বছরের পর বছর আমার পরে রুষ্ট হইতে রুষ্টতর হইতে থাকিবে, তখনই বুঝিব আমি অমর হইয়াছি। সন্দেহ থাকিবে না যে যমদূতদের প্রকৃতই 3বুদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখাইলাম ! “আমার বিজ্ঞান আমাকে সেই অমরত দান করিবে, আমার সাহায্যে পৃথিবীর ইতিহাস আবার নূতন করিয়া লিখিত হইবে,–ভবিষ্যতের সেই দিবসটি আগতপ্রায় হউক — মৃত্যুঞ্জয় কহিল, “দেবতা আছে স্বগগে, বড়বউ,— ভক্তের জন্যে তার হাতে হাতে ফল দেখায়, আর পাখর মত লোকেদের দেয় শাস্তি !—ঠাকুর-দেবতাকে গেরাহি না করে কত বড় দেমাকের কথা ওতে লেখা আছে দেখ বড় বউ । এ কি ছেলেখেলা ! এ কি চালাকী - সেইজন্তেই আমি অত পূজো দিই। ওটা বাজে খরচ নয়, ব্যবসার দরকারী মূলধন স্বদস্নদ্ধ ৪ টাকা পরে উঠে আসে — ভক্তের জন্যে ভগমান, ধম্মাত্মাদের জন্যে দেবদেবী আছে বইকি বড় বউ, নিশ্চয় আছে, এ তুমি ঠিক জেনে৷ ” বলিয় অত্যন্ত ভক্তির সহিত সে বার-বার হাত দুইটা লইয়া কপালে ঠুকিতে আরম্ভ করিল। একটু পরে পকেট হইতে একমুঠ টাকা বাহির করিয়া বিনোদিনীর পানে চাহিয়া গভীর আনন্দে মৃত্যুঞ্জয় ফিকু ফিক হাসিতে থাকে। - নিশীথে শ্ৰীপ্রফুল্ল সরকার সীমাহীন অশান্ত আকাশ—তারার অফুট রেখা কাপে প্রাণ-স্পন্দনের মত ; লুপ্ত মেঘ অন্তরালে কৃষ্ণপক্ষ শশী, যেন পাৰ্ব্বতীর মুক্ত কেশজালে লীলা-মত্ত ধূর্জটির সমাচ্ছন্ন শশীকলা-লেখা ! অতরল অন্ধকার—নিৰ্ম্মম নিশ্চল যবনিকা মৃত্যু-ঘন নিবিড় কালিম, কোনো দিকে নাহি পার— অকুল স্তন্ধত যেন নিস্তরঙ্গ সমুদ্রের মত ব্যাপিয়াছে দিক-দিগন্তর, বিশ্ব মান মুচ্ছাহঁত! به حـسـوجوه বিহঙ্গের পক্ষ-ঘায়ে ক্ষণে ক্ষণে বিচ্ছিন্ন সাধার— কোথা কোন মণি-হুর্ঘ্যে চমকিয় ওঠে সাগরিক । কা’রা যেন চলিয়াছে রুদ্ধশ্বাসে সম্মুখের পানে, অশরীরী আত্মার ক্ৰন্দন পিছে মরিছে গুমরি তীব্র শব্দ-শলাকায় নিশীথের বক্ষ ভিন্ন করি । চন্দন-শৈলের পথে কারা ওরা চলে কোনখানে । দীর্ঘ ক্ষীণ ছায়া-মূৰ্ত্তি, সম্মুখের চক্রবাল যুরে বাক্যহীন রহস্ত-সঙ্কেত—ওরা চলে দূরে—আরও দূরে!