পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তর-ইউরোপের সুরলোক ষ্টকহলম ও তাহার পার্শ্ববর্তী দ্বীপোদ্যান শ্ৰীলক্ষ্মীশ্বর সিংহ [ লেখক পুনৰ্ব্বার স্বইডেন গিয়াছেন ] আমার স্বইডেন অবস্থানের অধিকাংশ সময়ই ষ্টকহলমে অবস্থান ও ভ্রমণের কথা ভাবি তখন ষ্টকহলম ও ইহার অতিবাহিত হইয়াছিল । সুইডেনের এই প্রধান নগর ও ইহার পাশ্ববৰ্ত্তী দ্বীপোদ্যান সম্বন্ধে অনেক বড় বড় লেখক ও কবি উচ্ছসিত ভাষায় বর্ণনা লিখিয়া গিয়াছেন । বিদেশীদের মনের উপর এই শহরটি ও ইহার পার্শ্ববর্তী দ্বীপোদান সমগ্রভাবে আপন বিশিষ্টতার এমন একটা চিত্র জাকিয় দেয় যে, উহার সহিত অন্য কোনো স্থানের তুলনা করিতে যাওয়া বিড়ম্বন বলিয়া মনে হয়। প্রকৃতির কৃপায় স্থানটি যে রূপ পাইয়াছে, তাহার উপর মানুষের স্বনিপুণ হস্তের তৈরি এই শহরটি প্রকৃতিকে এমন মনোরম করিয়া তুলিয়াছে যে, আজ যখন নিজের পাশ্ববৰ্ত্তী দ্বীপোদ্যানকে যেন কল্পনালোকের বাস্তব স্বরলোক বলিয়া মনে হয় । স্নইডিসরা তাহাদের এই প্রধান শহরকে মেলারেনের রাণী বলিয়া থাকে। যেখানে মেলারেন হ্রদ দ্বীপোদ্যান বক্ষে করিয়া বাণ্টিক সাগরে পড়িয়াছে, শহরটি তাহার তীরে অবস্থিত । এই মেলারেনের জলধারা যেখানে বান্টিক সাগরের জলের সহিত মিশিয়াছে ঠিক তাহারই পাশে রাজপ্রাসাদটি অবস্থিত। আবার অন্যদিকে একধারে ইউরোপের স্ববিখ্যাত ষ্টকহলমের অধুনানিৰ্ম্মিত টাউন হলটি । শুধু এই হলের স্থাপত্য দেখিবার জন্য দেশ-বিদেশ হইতে অনেক লোক সেখানে টেকনিকেল কলেজের প্রধান গৃহ