পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6'\'სთ ఏం8ం এই ৰিশালস্তার আদশট আমার মনে আসে জগদীশচন্দ্র বসু মহাশয়ের সঙ্গে কথা বলে। তিনি সৰ্ব্বদাই বলেন শুধু বিশ্লেষণ নয়, সমখয়ঙ চাই ; শুধু বিশেষ শিক্ষা-গ্রহণ নয়, হৃদয়ঙ্গম করাও চাই। ৩। আমরা কাজ করতে গিয়ে প্রায়ই দেথতে পাই যে, বাইরের অবস্থাগুলিকে (environmentকে ) শিজের ইচ্ছামত করে গড়ে লওয়া সম্ভব হয় না। ড্রাইসি বলেছেন, বৰ্ত্তমান যুগে কোনও প্রতিষ্ঠানের বাহিরের অবস্থাকে বদলে নেওয়া একজন বা দুই চারিজন লোকের পক্ষে সম্ভব নয় — উরা যত শক্তিশালী মানুষ হঠন না কেন। পারিপার্থিক অবস্থা বদলাবার জন্য কোন চেষ্টা করা হবে না, একথা আমি বলচি না। কিন্তু যতদিন পারিপার্বিক অবস্থা আমার ইচ্ছামত পরিবর্ভূত না হয়, ততদিন কি আমি নিশ্চেষ্ট হয়ে বসে থাকুব ? লা নিশ্চেষ্ট্র হয়ে থাকুব না। যে পারিপার্থিক অবস্থা রয়েছে, তাকেই এমন করে ব্যবহার করব যে তারই মধ্যে অন্ততঃ কিছু পরিমাণে সফলতা লাভ হয়। এই ভাবে উদ্যোগী না হয়ে যদি আমরা শুধু পারিপার্ষিক প্রতিকুল অবস্থার দোষ কীৰ্ত্তন করতে থাকি, তবে তাতে আন্থের পরিচয় পাওয়া যায় না। মহীশূর ইউনিভার্সিটর ভাইস চ্যান্সেলার স্যর ব্রজেন্দ্রনাথ শীল মহাশয় ষ্ঠার অভিভাবধেই মূলসূত্রট, এই মাপকাঠিট বেশ ভাল করে দেখিয়ে দিয়েছেন। ভোমরা মনে করবে, তোমরা এক এক জন যেন দাবাখেলার খেলোয়াড়। খেলার দিমের দ্বারা এবং প্রতিপক্ষের চালের দ্বারা তোমার হাত বাধা। কিন্তু সেই স্বাধণের মধ্যে থেকেই তোমাকে বাজি মাৎ কতে হবে। : ه يمُ ۔۔۔۔ ৪। জানি আগেই তোমাদের বলেছি যে মানবজীবনের আদর্শ ক্রমাগত অগ্রসর হওয়া। গতিই আমাদের আদর্শ : স্থিতি বা শাস্তি নয়। আজকাল অনেকে এই গতিশীলতার দোহাই দিয়ে বলেন "enu justifies the means, অর্থাৎ কাৰ্য্যসিন্ধর জন্ত ভাল মন সব উপায়ই অবলম্বনীয়। কিন্তু গতিশীলতার দোহাই দিয়েই প্রমাণ করা যায় যে, এ কথা ঠিক নয়। কারণ গতিশীলতার আদশটি ঠিকমত গ্রহণ করলে তার অবস্থঙ্কাৰী ফল এই যে, আজ যাহাend (উদ্দেপ্ত) কাল তাঁহাই হবে means (উপায়) । উদেখ বা উপায় কোনটিই চিরস্থির লয়; কিন্তু নৈতিক আদর্শগুলি (principles) giữ ng মুতরাং কোনও সাময়িক উদেখা সিদ্ধির জষ্ঠ উপায় অবলম্বন করতে গিয়ে যে-সকল নৈতিক নিয়ম নিত্য ও শাশ্বত, তাঁদের বাদ দেওয়া অথবা অবমাননা করা চলে না। : • । যদি আমাকে কেহ জিজ্ঞাসা করে যে, বর্তমান কালে ইউরোপে বা ভারতবর্ষে, দেশের ও দশের কাজের ভিতরে মানুষের কোন দেটি সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক স্পষ্ট হয়ে প্রকাশ পাচ্চে, তবে আমি বলি, তা egotism অর্থাৎ অহঙ্কার ও আত্মগৌরবের ভাব। এ-কথা অবগুই সত্য যে, মানুষের আখুশক্তিতে বিশ্বাস থাকা চাই ; আপনাতে অনাস্থার ভাব যার মনকে দমিয়ে রাখে, তার দ্বারা সংসারে কোন কাজ হয় না। কিন্তু অপর দিকে অহঙ্কার ও আত্মগৌরবের ভাবকেও চেপে রাপা দরকার। নতুবা সজাবদ্ধ ভাবে কোন কাজ করা অসম্ভব। বৰ্ত্তমান যুগে প্রায় সমুদয় কাজেরই পারিপার্থিক অবস্থা এমন হয়ে দাড়িয়েছে যে, একজন একলা কাজ করে প্রায় কিছুই ফল লাভ কতে পারে না। আমাদের ধৰ্ম্মশাস্ত্রে বলে, ঈশ্বরদর্শনের প্রথম সৰ্বই হ’ল অহঙ্কার-নাশ। বর্ধমান যুগের কর্মশাস্ত্রের কথাও তাই। ষে-মানুন অহঙ্কার ও আত্মগৌরবের ভাব গ্নৰ্ব করতে পারে না, সে কৰ্ম্মক্ষেত্রের অযোগ্য। অন্তের সঙ্গে মিলিত ভাবে কাজ করতে পারে না বলে এমন মাধ্য জগতের কোনও বড় কাজের অশা হতে পারে না । . - * ৬ । সৰ্ব্বোপরি মনে রেখো, মানবজীবনের সকল কাজেরই এক উদ্বেষ্ঠ। সে উদেখ এই যে, সমগ্র মামুটি—তার শরীর মন ও আয় সবই—পূর্ণ বিকাশের হযোগ পাবে এবং জগতের সব মানুষই ঐ পূর্ণ বিকাশের স্বযোগ লাভ করবে—সে মানুষ শ্রমজীবী, কি শুদ্র, কি মেথর, ৰুি দাস, শ্বেতবর্ণ কিংবা কৃষ্ণবর্ণ, যাহাই হউক। . এই আদর্শটই আধুনিকতার গৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ কথা । তত্ত্ব-কৌমুদী, ১৬ই বৈশাখ ১৩৪৭