পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* سيا 6) এবং তাঁহা স্থাপনের যে-সব সৰ্ভ হোমাইট পেপারে বর্ণিত আছে, সেসব পূর্ণ হওয়া কঠিন । তম্ভিয়, ভারতবর্ষের যেআট কোটি লোক দেশী রাজাদের অধীনে বাস করে, তাহাদের মধ্যে অন্যন চারি কোটির নৃপতির তাহাদের রাজ্যগুলিকে ভারতীয় ফেডারেশ্বন বা সম্মিলিত রাষ্ট্রের অন্তভূত করিতে রাজী হওয়া চাই । তাহদের রাজী হওয়া বা না-হওয়া গবন্মেণ্টের অপ্রকাশু ইঙ্গিতজাতীয় আদেশের উপর নির্ভর করিবে । যাহা হউক, ধরিয়া লওম্ব যাকৃ. যে, এই সমস্তই অল্পাধিক সমক্ষে হইয়া যাইবে । কিন্তু তাহার পরই নূতন শাসনবিধি প্ৰবৰ্ত্তিত হইবে না । অতঃপর পালেমেণ্টের সাধারণ ও অভিজাত কক্ষদ্বয় সম্মিলিত ভাবে ইংলণ্ডেশ্বরকে অনুরোধ করিবেন তাহার। তাহা করিতে বাধ্য নহেন- যে, তিনি ঘোষণাপত্র দ্বারা ভারতবর্ষে নুতন শাসনবিধি প্রবর্তিত করুন । ব্রিটেন-নৃপতি এইরূপ ঘোষণা করিলে তবে ভারতযুর্যে নুতন আইনানুযায়ী শাসন প্রণালী প্রবর্তিত হইবে । এ পর্য্যস্ত ভারতবর্মকে নুতন শাসন-প্রণালী দিবার জন্য যে-সব কাজ হইয়া আসিতেছে, তাহাতে কিছু দিবার ইচ্ছ। বা লক্ষণ দেখা যাইতেছে না। ইংরেজীতে যাহাকে বলে শেলভিং অর্থাৎ ফেলিয়া রাখা ব টালিম দেওয়া, ব্যাপারটা সেই জাতীয়, অথবা তার চেয়েও অনিষ্টকর কিছু ! বিলাতী কৰ্ত্তারা যেন কত কম দেওয়া যায়, যাহা দেওয়া হইয়। গিয়াছে তাহার কত বেশী অংশ কৌশলপূৰ্ব্বক প্রত্যাহার করা যায়, এবং ব্রিটিশ প্রভুত্ব কি প্রকারে দৃঢ়তর ও স্থায়ী কর। যায়, তাহাই আবিষ্কার করিবার চেষ্টা ক্রমাগত করিয়৷ আসিতেছেন । কপট মিথ্যা ওজুহাৎ হোয়াইট পেপারে ভবিষ্যৎ শাসন-বিধির যে আভাস পাওয়া যায়, তাহাতে শাসনকৰ্ত্তাদের প্রভুত্ব আরও বাড়াইবার এবং দেশের লোকদের সামান্য যে অধিকার আছে তাহ কমাইবার বন্দোবস্ত আছে। সুতরাং ওরূপ শাসন-প্রণালী আমরা চাই না। আমরা উহা চাই না এই কারণে, যে, উহাতে আমাদের ইষ্ট না হইয়া অনিষ্ট হইবে । 跋 S<980 বিলাতে চাচিল, লয়েড, ওডোয়াইয়ার প্রভৃতি ব্যক্তিরাও উহার বিরুদ্ধে আন্দোলন করিতেছে । তাহাদের আন্দোলনের যে কারণ প্রকাশ করা হইতেছে, তা ছাড়া অপ্রকাশ্য কারণও খুব সম্ভব আছে। প্রকাশ করা হইতেছে, যে, হোয়াইট পেপারে যে-সব প্রস্তাব আছে, তাহ কাৰ্য্যে পরিণত হইলে ভারতবর্ষে ব্রিটিশ প্রভুত্ব লুপ্ত হষ্টবে, এবং তাহার ফলে অরাজক অবস্ত উপস্থিত হুইবে । চাচিল ও তাহার দলের লোকেরা এক্ট প্রস্তাব-সমূহকে য়াব ডিকেশন অর্থাৎ রাজত্ব-ত্যাগ বা প্রভুত্ব-ত্যাগ বলিতেছে । কিন্তু বাস্তবিক এ কথা মিথ্যা । ষ্ট্ৰোইট পেপারে প্রকৃত প্রভুত্ব-তাগের লেশমাত্রও নাঙ্গ, ভাগের ছদ্মবেশে প্রভুত্ব বুদ্ধি এবং নতম ক্ষমতা গ্রহণষ্ট আছে । রাজত্ব-তাগ বা প্রভুত্ব-তাগের মে বিকট কোলাহল তোলা হুষ্টয়াছে, তাঙ্গর প্রকত উদ্দেশ্য বোধ প্রথম, দর বাড়ান। অর্থাৎ এই চীংকারে বোকা ভারতবাসীরা মনে করিতে পারে, বে. তাহাদিগকে খুব বড় কিছু একট। দেওয়া হইতেছে এবং সেই ধারণাবশতঃ তাহার হোন্নাইট পেপার অল্পনায়ী শাসনবিধি চাহিতে পারে : তাঙ্গ হইলে তাহদের দাসত্ব ভাল করিয়৷ কায়েম হলবে, অথচ তাহারা মনে করিবে, যে, তাহারা স্বরাজ পাইতে বসিয়াছে । দ্বিতীয় উদ্দেশু, ঙ্গেয়াইট পেপারের প্রস্তাবগুলাতে ব্রিটিশপ্রভূত্ব রক্ষা করিবার ও বাড়াইবার জন্য যত রকম উপায় নির্দেশিত আছে, তাঙ্গ অপেক্ষ আরও বেশী ঐরূপ উপায় বিধিবদ্ধ করান । প্রকাশিত ও অপ্রকাশু উদ্দেশু সকল সিদ্ধ করিবার জন্য সাম্রাজ্যবাদীরা সকল রকম বৈধ বা গাঁহত উপায় অবলম্বন করিতেছে ৷ ‘ স্নাবডিকেশুন বা রাজ্যত্যাগ করা হইতেছে।” এই মিথ্য কোলাহল একটা উপায়। আর একটা উপায়, সাধারণতঃ প্রাচা লোকদের এবং বিশেষ করিয়া ভারতবর্ষীয় লোকদের স্বশাসনক্ষমতার অভাব ঘোষণা করা । যেমন বোম্বাইয়ের ভূতপূৰ্ব্ব গবর্ণর লর্ড লয়েড এক বক্তৃতায় বলিয়াছেন, “I do not believe that responsible self-government can ever succeed in eastern countries.” হয় ত-রকম । “The story of self-government for India was a tragic one. There was no municipality in India which did not crash into bankruptcy again and again during the last few years.”