পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Esgue জগন্ধ গরমের রাত্রি। সে বসবামাত্র ঢিলে পোষাক-পরা, ফিতে-খোলা জুতে পায়ে একজন বয় তাকে এক গ্লাস ৰীয়ার দিয়ে গেল, কিন্তু এমন বোটুকা গন্ধ ধে গা বমি-বমি করে। একটু বাতাস দিলে মদের দোকান থেকে এমন গরম হাওয়া ৰেরিয়ে আসে, যে, মনে হয় যেন রোগীর ঘরের বদ্ধ বাতাস ৷ বিরক্ত হয়ে লুদোভিক ভাবতে লাগল, এর চেয়ে নিজের ঘরে বসে থাকাই ভাল ছিল। মরিয়া হয়ে বিছানায় ওয়ে পড়ে থাকাই ঢের আরামজনক ছিল। পাস্কাল সতি সত্যি বলেছেন যে বিশ্রাম যদি করতে হয় তো নিজের ঘরে করাই ভাল। আরব-দেশীয় প্রবাদবাক্যেও আছে যে, বসে থাকার চেয়ে গুয়ে থাকা ভাল, আর গুয়ে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভাল। মরে যাওয়া ? তা একেবারে মন্দ হয় না, তার তো একজন নবীন সাহিত্যিকের ব্যর্থ জীবন। কোনো প্রতিষ্ঠাই সে লাভ করতে পারেনি-লাভ করবার মত ক্ষমতা যে আছে তাই বা কে জানে ?...স্বমুখ দিয়ে এই ষে ঘোড়ার টান ট্রাম রাস্ত চলেছে, কি একঘেয়ে লাগে, দশ দশ মিনিটের পর ট্রামগুলো আসে, ঘড়ং ঘড়ং করতে করতে এবং ধুলোবালি উড়িয়ে চলে যায়। তার জীবনৰাজাও যেন ঐ ট্রামগাড়ীর রাস্তার মত চলছে তো চলছেই, বেরল নীরস, শুক...ট্রামবাহী ঘোড়ার মত - দানাপানির জন্য উদয়াস্ত খাটুনি, চমৎকার ব্যবসা–কলমপিযে, কথা বেচে কট রোজগার—আর যে উপায় নেই, অথচ বয়স হ’ল তার । সকালবেলা ক্ষৌরকার্ঘ্যের সময়ে মাথায় পাক চুল উৈ পায় ...যৌবন তার বৃথায় চলে গেল...তার গত যৌবনের সম্বল-স্বরূপ কই কিছু ত নেই, একটু স্বতি, একখানা মুখের চেহারা, এক ছত্র লেখা-যা বৃদ্ধের মনের কোণেও চিরসবুজের স্বপ্নমায়া চিরকাল রচনা করে থাকে। জাগ্রত অবস্থায় এই রকম দুঃস্বপ্ন দেখতে দেখতে লুদোভিক হঠাৎ সামনের দিকে তাকাল। ভাবছিল দু-এক চুমুক মদ খায়, এমন সময় হঠাৎ চোখে পড়ে গেল,—যে-বাড়িটায় সে থাকে সেই বাড়িটার পাচতলায়—একটা খোলা জানালা... । ঐ বাড়ি এবং আশপাশের বাড়িতে সকলে তখন খুমিয়ে ऋफ्रख्। गव हुनक्रां★, मैौब्रव, निडूष-चककब्र cमषना জাকাশের নীচে বাড়িগুলো যেন লৰ দৈত্যের মত দ্বাড়িয়ে । সেই সময় অন্ধকারের বুকে আলোকে উদ্ভাসিত খোল SO8O জানালাটি এক অপূৰ্ব্ব সুন্দরই দেখাচ্ছিল। মনে হয় নীল সাগরের পারে যেন একটা জ্যোতিমান আলোকস্তম্ভ উঠেছে। জানালাটি রইল কিছুক্ষণের জন্ত খোল, তার পর কে ফেন একখানা শাদা পর্দা টেনে দিলে। এখন একটু বাতাল বইলেই জলের তরঙ্গের মতন ওটা কেঁপে কেঁপে উঠে। আচ্ছা, কারা ওখানে থাকে লুদোভিক মনে মনে ভাবতে লাগল। তার এমন খারাপ লাগছিল, এমন নিঃসঙ্গ, অসহায় সৰ্ব্বপরিত্যক্ত বলে নিজেকে মনে হচ্ছিল, আর খোলা জানালার পথে কক্ষ-প্রদীপ এমন উজ্জল ভাবে, মধুর ভাবে আনন্দ ও আলোক বিকীরণ করে দীপ্ত হচ্ছিল—তার মনে হ'ল--অদ্ভূত কল্পনার খেয়ালে—যে ওরা ধারা ওখানে থাকে তারা নিশ্চয়ই চিরক্ষী। ওদের সুখের দীপ্তিই আজ আলোকের স্নিগ্ধ রশ্মিতে মূৰ্ত্তি লাভ করেছে। নিশ্চয়ই তাই—যারা মনের দুঃখে ঘর ছেড়ে রাতত্ত্বপুরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় তাদের একথা বুঝতে কোনই বিলম্ব হয় না। তাদের খোলা. জানালার আলোকপাতে এ বার্তার লিপি পড়তে কোনো দেরি হয় না । “মুখ ওখানে বিরাজ করে”...অন্ধকারের গহবর থেকে ঈর্ষাবিমিশ্রিত আনন্দের দৃষ্টিতে দেখে দেখে তাদের মনেও একটা উজ্জল ভবিষ্যতের কল্পনা জেগে ওঠে। মনে হয় জীবননাট্যের এক নূতন অঙ্কে তাদেরও অমনি মুখ হবে বা ! আচ্ছ, কে ওখানে থাকে—লুদোভিক নিজের মনে ভাবতে লাগল এত রাত জেগে কে থাকে ? লুদোভিকের মনে হ’ল, হয়ত বা তারই মত কোন লেখক, কোনো অজ্ঞাতনাম কবি ! ই, সিড়ি দিয়ে ওঠা-নামার সময় একজন রোগাটে কম দামী পোষাক-পরা যুবককে লে দেখেছে। বহু বার পাশ কাটিয়ে গিয়েছে, হাতে তার সর্বদাই একখানা-না-একখানা বই থাকৃতই, সেই হবে বা! লুদোভিক ভাবতে লাগল, ওকে নিশ্চয়ই সকাল বেলায় ছেলে পড়িয়ে, ই, লাটিন বিদ্যার বিনিময়ে কাট রোজগার করতে হয়, বাকী সময়টা কাব্য ও শিল্পের অনুশীলনে কাটিয়ে দেয়। ও গরিব, খুব গরিব, কিন্তু আত্মমর্যাদার জ্ঞান জলাধারণ। আর লিলি ফুলের মত ও পবিত্র, যৌবন ও ধোঁরনের স্বপ্নকে ও অক্ষুঞ্জ রেখেছে ওর হৃদয়ের মণিকোঠা...নিশ্চয়ই ও কবিৰশঃপ্রাণী, অৰে ওর जैौकरनब्र गरख्य मूडब कूण ७ ठां चक्न कब्रटछ कांब-८ष