পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سیاسي اوي) অন্ত প্রস্তরমূৰ্ত্তি ইত্যাদি প্রায় সবই প্রত্নতত্বের নামে লুষ্ঠিত হয়ে গেছে । ঘুরে-ফিরে দেখে চক্ষু সার্থক করা গেল। ভাল করে দেখা এক মাসেও সম্ভব নয়, স্বতরাং স্বল্পভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা বুখা । প্রবাসী ; SOBO বাবিলন দেখার পর মোটরে দেওয়ানিয়েহু ষ্টেশনে ( ৭e মাইল ) গিয়ে শুনলাম ট্রেন সেই মাত্র চলে গেছে, অন্ত ট্রেন, মায় মাল গাড়ীও, চব্বিশ ঘণ্টার আগে পাওয়া যাবে না। এদিকে তার আগে না গেলে আমাদের উর দেখা হয় না। বিষম সমস্তাই হ’ল । রাষ্ট্রগঠনের প্রথম সোপান শ্রীউপেন্দ্রনাথ সেন কংগ্রেস দেশবাসীর নিকট ভাবী স্বরাজের যৎকিঞ্চিৎ পরিচয় দিয়াছেন সৰ্ব্বপ্রথম করাচী অধিবেশনে। দেশবাসীর মৌলিক অধিকার সম্বন্ধে যে প্রস্তাব গৃহীত হইয়াছে, তাহা হুঙ্গতে স্পষ্টই বোঝা যায়, ধে-স্বরাজ কংগ্রেসের স্পৃহনীয় তাহ প্রকৃতই শ্রমজীবী এবং কৃষককুলের মুক্তির সোপান হইবে। প্রস্তাবটি অতিশয় সংক্ষিপ্ত সন্দেহ নাই, কিন্তু মহাত্মাজীর বক্তৃতায় বিষয়টি একটু পরিস্ফুট হইয়াছে। খুব সম্ভব এক শ্রেণীর ভারতবাসীর পক্ষ হইতে ইহার তীব্র সমালোচনাও হইবে । দায়িত্বহীন শাসনযন্ত্র বিদেশীর হস্তে ন্যস্ত হইলে দেশের এক শ্রেণীর লোক নিজেদের স্বাৰ্থ নিরাপদ করিয়া লইতে সক্ষম হয়। এই স্বার্থে আঘাত লাগিলে অনেক নিন্দ প্রতিবাদ মুখর হইয় উঠা স্বাভাবিক। কিন্তু যাহার দেশের প্রকৃত এবং স্বামী হিতকামনা করেন, তাহাদিগকে এই-জাতীয় সমালোচনা উপেক্ষা করিয়া চলিতে হইবে। বাংলার সর্বাঙ্গীন কল্যাণ সাধনের জন্ত যে বিধি প্রণয়ন করা কর্তব্য, আমি এই প্রবন্ধে তাহার আলোচনা করিয়াছি । ভরসা করি বাংলার ভাবী দেশীয় কর্তৃপক্ষ ইহার মধ্যে অনেক চিন্তার সামগ্ৰী পাইবেন । র্তাহাঁদের হাতে প্রকৃত কর্তৃত্ব স্তস্ত হইলেই তাহাদিগকে অন্ত বহুবিধ সংস্কারের মধ্যে প্রধানতঃ দুইটি প্রাকৃতিক এবং সামাজিক ব্যাধির প্রতিকার সাধনের জন্য তৎপর বইতে হইবে । প্রথমটি - পশ্চিমবঙ্গের ম্যালেরিয়া ও পূর্ববজের কচুরি পানার উচ্ছেদসাধন, দ্বিতীয়টি বঙ্গের কৃষককুলের জার্থিক দুৰ্গতি দূরীকরণ। এই উভয়বিধ ব্যাধির প্রতিকার ৰছ পরিশ্রম, বহু অর্থ এবং অপেক্ষ বন্ধ সাল সাপেক্ষ । এই সমস্তার পূরণের জন্য যে পন্থা প্রক্লষ্ট এবং যে উপায়ে এই দরিদ্র দেশেও তজ্জন্ত যথেষ্ট অর্থ সংগৃহীত হইতে পাবে, আমার এই প্রবন্ধে তাঙ্গর আলোচনা করা যাইতেছে। খুব সংক্ষেপে বলিতে গেলে আমার প্রস্তাব এই – জমিদার শ্রেণীকে অবসর প্রদান করাইয়া ক্লষককেই একমাত্র ভূমির প্রকৃত অধিকারী করিয়া দেওয়া হউক । তাহারাষ্ট্র এই বিপুল অর্থ যোগাইয় দেশের যাবতীয় সংগঠনমূলক অল্পষ্ঠান সাফল্যমণ্ডিত করিতে সমর্থ হইবে।” বাংলায় নিরপেক্ষ চিন্তাশীল লোকের অভাব নাই। স্বাধীন মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে যাহারা অভ্যস্ত, র্তাহার। এই প্রস্তাবের দোষগুণ বিচার করিতে প্রবৃত্ত হইলে উপস্থিত সমস্তার সমাধান কাৰ্য্য অনেক দূর অগ্রসর হইতে পারে। অবজ্ঞ ও সন্দেহের চক্ষে এই প্রস্তাবটিকে না দেখিয় শিক্ষিত দেশবাসী ইহার আলোচনা করেন, এই উদ্দেশ্যেই এই প্রবন্ধ লিখিত হইয়াছে। প্রস্তাবটির আলোচনায় প্রবৃত্ত হইতে গেলেই মনে সৰ্ব্বপ্রথমে এই প্রশ্ন উদিত হয় ; ভূমির প্রকৃত অধিকারী কে ?-- রাজা, জমিদার, না কৃষক ? প্রাচীন হিন্দুরাজত্বকালে রাজা ভূমির উৎপন্ন শস্তের ষষ্ঠাংশ করম্বরূপ গ্রহণ করিতেন ; স্বতরাং, করপৃহীত রাজা ভূমির অধিকারী হইতে পারেন না। অতি প্রাচীনকালে পল্পীগোষ্ঠীই ভূমির অধিকারী ছিল বলিয়া মনে হয়। তাহারা গোষ্ঠীর প্রয়োজন-মত চতুঃপাশ্বস্থ পতিত ভূমি কর্ষণ করিয়া নিজেদের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করিত। ক্রমে গোষ্ঠীবদ্ধন শিথিল হইয়া আসিলে