পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سراغه ইস্কুলে পাঠালে আমার দায় হত লঘু এবং আত্মীয়বান্ধবের সেইটেই প্রত্যাশ করেছিলেন। কিন্তু বিশ্বক্ষেত্র থেকে যে-শিক্ষালয় বিচ্ছিন্ন সেখানে তাকে পাঠানো আমার পক্ষে ছিল অসম্ভব। আমার ধারণা ছিল, অন্ততঃ জীবনের আরম্ভকালে, নগরবাস প্রাণের পুষ্টি ও মনের প্রথম বিকাশের পক্ষে অল্পকূল নয়। বিশ্বপ্রকৃতির অনুপ্রেরণা থেকে বিচ্ছেদ তার একমাত্র কারণ নয়। শহরে যানবাহন ও প্রাণধাত্রার অন্যান্য নানাবিধ হযোগ থাকে, তাতে সম্পূর্ণ দেহচালনা ও চারিদিকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা লাভে শিশুরা বঞ্চিত হয় ; বাহ্য বিষয়ে আত্মনির্ভর চিরদিনের মত তাদের শিথিল হয়ে যায়। প্রশ্রয়প্রাপ্ত যে-সব বাগানের গাছ উপর থেকেই জলসেচনের স্বযোগ পায় তারা উপরে উপরেই মাটির সঙ্গে সংলগ্ন থাকে গভীর ভূমিতে শিকড় চালিয়ে দিয়ে, স্বাধীনজীবী হবার শিক্ষা তাদের হয় না, মানুষের পক্ষেও সেষ্ট রকম। দেহটাকে সম্যকরূপে ব্যবহার করবার যে শিক্ষা প্রকৃতি আমাদের কাছে দাবী করে এবং নাগরিক “ভদ্র’ শ্রেণীর রীতির কাছে যেটা উপেক্ষিত অবজ্ঞাভাজন, তার অভাব দুঃখ আমার জীবনে আজ পর্য্যস্ত আমি অনুভব করি। তাই সে সময়ে আমি কলকাতা শহর প্রায় বর্জন করেছিলেম। তখন সপরিজনে থাকতেম শিলাইদহে। সেখানে আমাদের জীবনযাপনের পদ্ধতি ছিল নিতাস্তষ্ট সাদাসিধে। সেটা সম্ভব হয়েছিল তার কারণ যে-সমাজে আমরা মানুষ সেসমাজে প্রচলিত প্রাশযাত্রার রীতি ও আদর্শ এখানে পৌছতে পারত না, এমন কি, তখনকার দিনে নগরবাসী মধ্যবিত্ত লোকেরাও যে-সকল আরামে ও আড়ম্বরে অভ্যস্ত, তাও ছিল আমাদের থেকে বহু দূরে। বড় শহরে পরস্পরের অনুকরণে ও প্রতিযোগিতায় যে-অভ্যাসগুলি অপরিহার্যারূপে গড়ে ওঠে সেখানে তার সম্ভাবনামাত্র ছিল না। শিলাইদহুে বিশ্বপ্রকৃতির নিকটসান্নিধ্যে রথীন্দ্রনাথ ঘে-রকম ছাড়া পেয়েছিল সে রকম মুক্তি তখনকার কালের সম্পন্ন অবস্থার গৃহস্থেরা আপন স্বরের ছেলেদের পক্ষে অনুপযোগী বলেই জানত এবং তার মধ্যে যে বিপদের আশঙ্কা আছে, তারা ভয় করত তা স্বীকার করতে । রখী সেই বয়সে ডিঙি বেরেছে নদীতে। সেই ডিঙিতে করে চলতি ষ্টীমার থেকে সে প্রতিদিন ক্ষটি নামিয়ে জানত, তাই নিয়ে ইথারের সায়ও Sనb80 আপত্তি করেছে বারবার। চক্টে বনবাউয়ের জঙ্গলে সে বেরোত শিকার করতে কোনোদিন বা ফিরে এসেছে সমস্ত দিন পরে অপরাঙ্কে । তা নিয়ে স্বরে উঙ্গে ছিল না ত; বলতে পারি নে, কিন্তু সে উদ্বেগ থেকে নিজেদের বঁাচাবার জন্তে বালকের স্বাধীন সঞ্চরণ খৰ্ব্ব করা হয়নি। যখন রথীর বয়স ছিল ষোলর নীচে তখন আমি তাকে কয়েক জন তীর্থযাত্রীর সঙ্গে পদব্রজে কেদারনাথ-ভ্ৰমণে পাঠিয়েছি, তা নিয়ে ভৎসনা স্বীকার করেছি আত্মীয়দের কাছ থেকে, কিন্তু একদিকে প্রকৃতির ক্ষেত্রে অন্যদিকে সাধারণ দেশবাসীদের সম্বন্ধে যে কষ্টসহিষ্ণু অভিজ্ঞতা আমি তার শিক্ষার অত্যাবশ্বক অঙ্গ বলে জানতুম তার থেকে তাকে স্নেহের ভীরুতাবশত বঞ্চিত করিনি । শিলাইদহে কুঠিবাড়ির চারদিকে যে জমি ছিল, প্রজাদের মধ্যে নতুন ফসল প্রচারের উদ্দেশ্যে সেখানে নানা পরীক্ষায় লেগেছিলেম। এই পরীক্ষাব্যাপারে সরকারী কৃষি বিভাগের বিশেষজ্ঞদের সহায়তা অত্যধিক পরিমাণেই মিলেছিল। তাদের আদিষ্ট উপাদানের তালিকা দেখে চিচেস্টরে যার এগ্রিকালচারাল কলেজে পাস করেনি এমন সব চাষীর হেসেছিল ; তাদেরই হাসিটা টিকেছিল শেষ পৰ্য্যস্থ । মরার লক্ষণ আসন্ন হ’লেও শ্রদ্ধাবান রোগীরা যেমন করে চিকিৎসকের সমস্ত উপদেশ অক্ষুঞ্জ রেখে পালন করে, পঞ্চাশ বিষে জমিতে আলুচামের পরীক্ষায় সরকারী কৃষিতত্বপ্রবীণদের নির্দেশ সেই রকম একান্ত নিষ্ঠার সঙ্গেই পালন করেছি। তারাও আমার ভরসা জাগিয়ে রাখবার জন্যে পরিদর্শনকার্ধ্যে সৰ্ব্বদাই যাতায়াত করেছেন। তারই বহুবাম্বসাপ্য ব্যর্থতার প্রহসন নিয়ে বন্ধুবর জগদীশচন্দ্র আজও প্রায় মাঝে মাঝে হেসে থাকেন। কিন্তু উারও চেয়ে প্রবল অট্টহাস্ত নীরবে ধ্বনিত হয়েছিল চামরু নামধারী একহাত-কাটা সেই রাজবংশী চাষীর ঘরে, যে-ব্যক্তি পাচ কাঠা জমির উপযুক্ত বীজ নিয়ে কৃষিতত্ত্ববিদের সকল উপদেশই অগ্রাহ করে আমার চেয়ে প্রচুরতর ফললাভ করেছিল। চাষবাস-সম্বন্ধীয় যে-সব পরীক্ষাব্যাপারের মধ্যে বালক বেড়ে উঠেছিল তারই একটা নমুনা দেবার জন্তে এই গল্পট বলা গেল ; পাঠকেরা হাসতে চান হাস্থন কিন্তু এ কথা ८क्म प्राप्नन्न. ८य चिन्तनंद्र अवक्रळ* ७३. बार्षडी७ दार्थ बच्च । এত বড় অদ্ভুত অপবাবে আমি যে প্রবৃত্ত হয়েছিলুম ভাগ لاتسيوي يعجبينيداد لمعه م.