পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जाबक्रविछणिदात्र चूलना Qo কুইকলটিভের মূলা চামরুকে বোঝাবার স্থযোগ হয়নি, লে এখন পরলোকে । এরই সঙ্গে সঙ্গে পুথিগত বিস্তার আয়োজন ছিল সে-কথা বলা বাহুল্য। এক পাগল-মেজাজের চালচুলোহীন ইংরেজ শিক্ষক হঠাৎ গেল জুটে । তার পড়বার কায়দা খুবই ভাল, আরও ভাল এই যে, কাজে ফাকি দেওয়া তার ধাতে ছিল না। মাঝে মাঝে মদ খাবার দুনিবার উত্তেজনায় সে পালিয়ে গেছে কলকাতায়, তারপরে মাথা ইেট করে ফিরে এসেছে লজ্জিত অভুতপ্ত চিত্তে। কিন্তু কোনোদিন শিলাইদহে মত্ততায় আত্মবিশ্বত হয়ে ছাত্রদের কাছে শ্রদ্ধা হারাবার কোনো কারণ ঘটায় নি। ভূতাদের ভাষা বুঝতে পারত না সেটাকে অনেক সময়ে সে মনে করেছে তৃত্যদেরই অসৌজন্ত । তা ছাড়া সে আমার প্রাচীন মুসলমান চাকরকে তার পিতৃদত্ত ফটিক নামে কোনো মতেই ডাকত না। তাকে অকারণে সম্বোধন করত স্থলেমান। এর মনস্তত্ত্বরহস্য কী জানিনে। এতে বার-বার অস্ববিধ ঘটত। কারণ চাষীঘরের সেক্ট চাকরাট বরাবরক্ট ভূলত তার অপরিচিত নামের মধ্যাদা । আরও কিছু বলবার কথা আছে। লরেন্সকে পেয়ে বসন্স রেশমের চামের নেশায়। শিলাইদহের নিকটবর্তী কুমারখালি ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির আমলে রেশম-ব্যবসায়ের একটা প্রধান আডড ছিল । সেখানকার রেশমের বিশিষ্টতা থ্যাতি লাভ করেছিল বিদেশী হাটে । সেখানে ছিল রেশমের মস্ত বড় কুঠি। একদা রেশমের তাত বন্ধ হ’ল সমস্ত বাংলা দেশে, পূৰ্ব্বন্থতির স্বপ্নাবিষ্ট হয়ে কুঠি রইল শূন্য পড়ে। যখন পিভূখণের প্রকাও বোঝা আমার পিতার সংসার চেপে ধরল ৰোধ করি তারক্ট কোনো এক সময়ে তিনি রেলওয়ে কোম্পানিকে এই কুঠি বিক্রি করেন। সে সময়ে গোরাষ্ট নদীর উপরে ব্রিজ তৈরি হচ্চে। এই সেকেলে প্রাসাদের প্রভূত ইটপাথর ভেঙে নিয়ে সেই কোম্পানি নদীর বেগ ঠেকাৰায় কাজে সেগুলো জলাঞ্জলি দিলে। কিন্তু যেমন বাংলার তাতীর ছুদিনকে কেউ ঠেকাতে পারলেন, যেমন সাংসারিক দুৰ্যোগে পিতামহের বিপুল ঐশ্বর্ঘ্যের ধ্বংস কিছুতে ঠেকানো গেল না—তেমনি কুঠিবাড়ির ভগ্নাবশেষ নিয়ে নদীর ভাঙন রোধ মানলে না – সমস্তই গেল ভেসে স্বসময়ের চিহ্নগুলোকে কলেজেণ্ডে স্ট্রেকু রেখেছিল নীলোতে তাৰে দিলে ভাসিয়ে। লরেন্সের কানে গেল রেশমের সেই ইতিবৃত্ত । ওর মনে লাগল আর একবার সেই চেষ্টার প্রবর্তন করলে ফল পাওয়৷ যেতে পারে ; দুৰ্গতি যদি খুব বেশি হয় অন্তত আলুর চাষকে ছাড়িয়ে যাবে না। চিঠি লিখে যথারীতি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সে খবর আনালে। কীটদের আহার জোগাবার স্কন্তে প্রয়োজন ভেরেও গাছের । তাড়াতাড়ি জন্মানো গেল কিছু গাছ কিন্তু রেন্সের সবুর সইল না। রাজশাহী থেকে গুটি আনিম্নে পালনে প্রবৃত্ত হ’ল অচিরাং । প্রথমত বিশেষজ্ঞদের কথাকে বেদবাক্য মানলে না, নিজের মতে নতুন পরীক্ষা করতে করতে চলল। কীটগুলোর ক্ষুদে স্কুদে মুখ, ক্ষুদে ক্ষুদে গ্রাস কিন্তু ক্ষুধার অবসান নেই। তাদের বংশবৃদ্ধি হতে লাগল পাদ্যের পরিমিত আয়োজনকে লক্ষন করে। গাড়ি করে দূর দূর থেকে অনবরত পাতার ক্ষোগান চলল। লরেন্সের বিছানাপত্র, তার চৌকি টেবিল, পাতা বই, তার টুপি পকেট কোর্তা—সৰ্ব্বয়ষ্ট হ'ল গুটির জনতা। তার ঘর দুর্গম হয়ে উঠল দুৰ্গদ্ধের ঘন জাবেটনে। প্রচুর ব’প্লে ব্যয় ও অক্লান্ত অধ্যবসায়ের পর মাল জমূল বিস্তর, বিশেষজ্ঞের বললেন অতি উৎরুষ্ট, এ জাতের রেশমের এমন সাদা রং হয় ন। প্রত্যক্ষ দেখতে পাওয়া গেল সফলতার রূপ কেৰষ্ঠ একটুখানি ক্রটি রয়ে গেল। লরেন্স বাজার যাচার্ট করে জানলে তপনকার দিনে এ মাপের কাটতি অল্প, তার দাম সামান্ত । বন্ধ হ’ল ভেরেও পাতার অনবরত গাড়ি চলাচল, অনেক দিন পড়ে রঙ্গল ছালাভর গুটিগুলো : তারপরে তাদের কী ঘটল তার কোনো হিসেব জাঙ্গ কোথাও নেষ্ট । সেদিন বাংল। দেশে এই গুটিগুলোর উৎপত্তি হ’ল অসময়ে। কিন্তু যে-শিক্ষালয় খুলেছিলেম তার সময় পালন তারা করেছিল। আমাদের পণ্ডিত ছিলেন শিবধন বিদ্যার্ণব । আর সংস্কৃত শেপানে ছিল তার কাজ, আর তিনি ব্ৰাক্ষপৰ্ব্বগ্রন্থ থেকে উপনিষদের শ্লোক ব্যাখ্যা করে আবৃত্তি করাতেন । র্তার বিশুদ্ধ সংস্কৃত উচ্চারণে পিতৃদেব জর প্রতি বিশেষ প্রসন্ন ছিলেন। বাল্যকাল থেকে প্রাচীন ভারতবর্ণের তপোবনের যে-জাদর্শ আমার মনে ছিল, তার কাঙ্ক এমনি করে ক্ষক হয়েছিল কিন্তু তার মূৰ্ত্তি সম্যক উপাদানে গড়ে ●óनि । ቆTMW!