পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অর্থন সেখানে দু-একটি ধানের ক্ষেত আর উচ্চ তালের শ্রেণী। এ-দেশে ফুলের বাগান রচনা করিয়া সন্ধ্যা সকালে ছয়-সাত মাইল ছাটিয়া হাওয়া বদলান চলে, কিন্তু ক্ষেত চবিয়া, পুকুর কাটিয়া বসবাস করা চলে না । ঘুমাইয় পড়িয়াছিলাম। জাগিয়া দেখি স্বৰ্য্য অন্ত যাইতেছে । সমস্ত আকাশে একটি অনাবিল শান্তি । লালের প্রাচুর্ঘ্যে নিবিড় নীলিম অতিসমৃদ্ধ হইয় উঠে নাই । গীতশেষের ঈষৎ পাতল কুয়াস দৃতিমান সন্ধ্যালোককে কোমল করিয়া দিয়াছে। অদূরে লাল ‘মুরামের খনিতমুখে সেই আলোক একটি সোনার স্বপ্ন রচনা করিতেছে। দূরে রেখাকারে অমুচ পৰ্ব্বতমালা। সন্ধ্যার পেলব আকাশপটে নিজের বহিরাবয়ব রেখা অপূৰ্ব্ব স্বকুমারতার সহিত ফুটাইয় তুলিয়াছে। উন্ধের তরঙ্গায়িত সীমারেখা একটি স্বাভাবিক অবিচ্ছিন্নতার দ্বার নিজেকে প্রবাহিত করিয়া চলিয়াছে,— কোন জ্যামিতিক ঋজুতা কিংবা বক্রতা দ্বারা দৃশুটিকে নষ্ট করে নাই । বরহরবা ষ্টেশন ছাড়াইয়া চলিলাম। বহুদিন পূৰ্ব্বেকার কথা মনে হইতে লাগিল। কিছু দূরেই ফুকিপুর রকহাট' সেথান হইতে চার মাইল দূরে পাহাড়ের পাদদেশে অনেক দিন বাস করিয়াছি। অন্ধকারে কিছুই দেখা যাইতেছিল না, তবু দু-চারটা পাহাড়ের নাম মনে ছিল বলিয়া নির্দেশ করিতে চেষ্ট পাইলাম। সীতা-পাহাড়, চাল-পাহাড়, গদাই টঙ্গি, আরও কত কি। অদূরে পাহাড়ের গায়ে আগুন জলিয়া উঠিয়াছে। শীতের শেষে পাহাড়িয়ারা জঙ্গল পোড়াইবার জন্য পাহাড়ে আগুন ধরাইয় দেয় ; আর তাহ দিনের পর দিন জলিতে থাকে। দিনে বিশেষ কিছু বুঝা যায় না, কারণ বহুবিস্তৃত অগ্নি অৰ্দ্ধগুৰু গাছপালার সংস্পর্শে আসিয়া বেশী শিখা উৎপাদন করে না। কিন্তু রাত্ৰিতে সেই সামান্ত শিগা এবং জলস্ত অজগরের আভা অন্ধকারের মধ্যে ফুটিয় উঠে । এইসব আগুন দেখিতে বড় স্বন্দর, চতুদিকে একটি নীরন্থ, সীমাহীনত, ভূপৃষ্ঠের অসমত সম্পূর্ণভাবে সমাহিত হুইয়া থাকে আর ইহার মধ্যে এখানে-সেখানে উৰ্দ্ধে-নিয়ে নানাবিধ বক্ররেখাকারে আগুন জলিতে থাকে । ठिननीशtफ़ गॉर्छौ वनजाहेब ब्रांबभइरलग्न नाङ्गैौष्ठ উঠিলাম। বড় বড় বিল, চৰা ক্ষেত জার অবাধ হাওয়াতে चौब्लकखी

  • Co.

जांनाहेब निण नवाब्र क्रिरू छनिशहि । ब्रांजिब्र चक्कदृच्च बूबिलांब uरें बिन बरगटब्र ब्रांबभश्रणब्र फ़ेब्रङिब्र काषा इहेबांtइ তাহার ঘনসন্নিবিষ্ট জঙ্গল জার শৃগালালের চীৎকার। ষ্টেশনে নামিয়াই একেবারে জিনিষপত্র লইয়া আমার চিরপ্রিয় ‘গঙ্গ-ই’ দালানে গেলাম। চারিদিক খোলী ; সন্মুখে গঙ্গা । জানিতাম শীত লাগিবে বেশ কিন্তু রেলের বিশ্রামাগারের জ্বৰ্গদ্ধের চেয়ে ত ভাল । খাওয়া-দাওয়া সমাধা করিয়া একটি দিব্য নিশ্চিন্ততা উপভোগ করিতে চেষ্ট পাইতেছিলাম। মাঝে মাঝে মমের কোণে আদালতের মোকদ্দমা কি লইয়া এই চিন্তাটা উকি মারিতে চেষ্টা করিতেছিল ; কিন্তু বাহিরে জ্যোৎস্না-বালপিত নদী ও বালুচরের দিকে চাহিদা তাহা তুলিতে চেষ্টা করিতেছি । বঁ-দিকে নদী যেখানে বাকিয়া গিয়াছে সেখানে এই তেও নদীর প্রশস্ততা বেশ। পাহাড়ের শ্রেণীও বেশ পরিস্ফুট হুইয়া উঠিয়াছে। অনতিদূরে একটি ভাঙা মসজিদ ছিল। সেবার দেখিয়াছিলাম সংস্কার অভাবে জীর্ণ, এবার দেখিলাম তাহা মেরামত হইয়াছে ; অর্থাং সৰ্ব্বাঙ্গব্যাপিয়া কাহারা চুণ লেপন করিয়াছে। আকবর-আমলের সেই মসজিদ ইংরেজ আমলে এষ্ট নীরব জ্যোংস্কারায়িতে যেন দাত দেখাইয়া হাসিতেছে। দূরে দেখিতে পাইলাম তিনটি মচুন্যমূৰ্ত্তি তারের বেড়া পার হটা কয়লাৰূপের পাশ দিয়া এদিকে আসিতেছে। প্রথমটি বৃদ্ধ পুরুষ, তার পরেরটি প্রৌঢ় স্ত্রীলোক এবং সকলের পশ্চাতে এক যুবক । এই রাজিতে এই জনহীন স্থানে কে আসিবে ? আমারক্ট মত কোন যাত্ৰী হইতে পারে । কৌতুহলের বশবর্তী ইষ্টম বাহিরে বারান্দায় জাগিলাম। স্পষ্ট জ্যোৎস্নালোকে আগন্তুকদিগকে দেখিতে পাইলাম। কি একটা মনে হইল! কিন্তু মুহূৰ্ত্তমধ্যে এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটিল। বুদ্ধ ও বুদ্ধা একসঙ্গে আমার পায়ে পড়িয়া কাদিয়া কাদিম বলিতে লাগিল, ‘হুজুর আমাদের বাঁচান। কিছুক্ষরে যুবকটি অধোবদনে দাড়াইয়া রহিল। ব্যাপার কিছুই বুঝিতে পারিলাম না । ইহারা কে ? কি অপরাধ করিয়াছে, আমার খবর পাইল কি করিয়া ? আর আমার পায়ে পড়ির কাজেই বা কেন ? জিজ্ঞাসা করিলাম, তোমরা কে ?” কোন শব্দ নাই। রমণীটি উচ্ছসিত কায়ার বেগ কোনমতে দমন করিয়া বলিল, “হজুর আমার এ ছেলে গেলে জামি