পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিশোর ডাক্তারের কি চারি টাকা আমার নিকট হইতে লইয়া ভাক্তারের হাতে দিল। ডাক্তার বাৰু বলিলেন,— “তুমি ত জান আমার ফি আট টাকা ।” কিশোর বলিল,—“ইনি আমার এক বোনের শাশুড়ী, আপনাকে একটু বিবেচনা করতে হবে, আমি আপনাকে পূর ফি দেব না।" ইহা শুনিয়া ডাক্তার বাৰু একটু হাসিয়া সেই চারি টাকা লইয়া বিদায় হইলেন। সেই প্রেসক্রিপশন হাতে করিয়া কিশোর আমাকে বলিল,—“আমাকে আর একটা টাকা দিন ত, আমি ওটা এনে দিয়ে যাই, স্বকুমার বাবু কখন আসবেন ठेिक cनझे ” আমি বলিলাম,—“আপনি আমাদের জন্য অনেক পরিশ্রম করছেন, আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ দেব জানি নে।” এই বলিয়া তাহার হাতে টাক দিলাম। কিশোর বলিল,—“আপনি আবার সেই বিলাতী কায়দা আরম্ভ করলেন দেখছি।" এই সময়ে প্রমীলা আসিয়া বলিল—“কিশোর-দ, ম৷ বলছেন, তুমি এখানে পেয়ে যাবে।" কিশোর হাসিয়া বলিল,—“গুনে স্বর্থী হ’লেম, বাস্তবিক এই হচ্ছে আমাদের দেশী কায়দা । আমার বাসায় ভাত প্রস্তুত, তা কে খাবে বল দিধিন্‌ ? খাওয়ার জন্তে কি, এই পরও খেয়েছি, মা ভাল হয়ে উঠুন আর এক দিন খুব আমোদ করে খাব। প্রমীল, তোর দাদা বুঝি আর আসে नि ?” প্রমীলা বলিল,—“না, হয়ত আজ আসতে পারেন।” কিশোর আমার দিকে চাহিয়া বলিল,—“ভাল কথা, ঘরে ঘদি শিশি থাকে তবে একটা দিন। অনর্থক কেন চারটা পয়সা লাগবে ।” আমি একটা খালি শিশি আনিয় তাহার হাতে দিলাম। কিশোর "াবড়াবেন না” আমাকে এই বলিয়া চলিয়া গেল। প্রায় আখ ঘন্ট পরে ওষুধ লইয়া আসিল, এবং প্রলেপটা মতে মায়ের পিঠে লাগাইবা দিল। আমি বললাম— Pআপনার আৰ ভাতখেতে বজ্ঞ দেরি হয়ে গেলr কিশোর বালিয়া বলিল—“আমার কলেজ থেকে আসতে রোইমেজি হ, আৰ বরং অনেক সকলে এসেছি। ইনি ': ' ' II Ֆք: :** : - இ. r to: ליו রাত্রে কেমন থাকেন কাল ভোরে আমাকে জানাৰেন "ি বলিয়া চলিয়া গেল। -: , মাকে তিন ঘন্টা অন্তর ওষুধ খাওয়াইতে লাগিলাম। কিন্তু তাহার বয়শ উত্তরোত্তর বাড়িতে লাগিল। সেদিন রাত্রে স্থা cदनै छब्र श्हेन । भग्न निम गकांटन नाना निद्रा चोषांच्च কিশোরকে ডাকিয়া আনিল। কিশোর দেখিয়া বলি“আর একবার স্বরথ বাবুকে দেখান থাক।” আমরাও সেই মত করিলাম। আজ দাদা কলেজে না গিয়া বাড়িতে রছিল, আমি কলেজে গেলাম। কলেজ হইতে বেল পাচটার সময় জাসিয়া শুনিলাৰ স্বরথ বাবু ডাক্তার আসিয়া দেখিয়া গিয়াছেন, কিন্তু ঔষধের কোন পরিবর্তন করেন নাই। দাদা তখন ছিল, পরে কলেজে গিয়াছে। একটু পরেই দাদা শঙ্করের সহিত আসিল। প্রমীলাতাহাদের চা ও জলপাবার আনিয়া দিল । - শঙ্কর চা থাইতে থাইতে বলিল, -“নীক দেবী, আমরা কিশোরের বাসায় গিয়াছিলাম, সে এখনও কলেজ থেকে ফেরে নাই। তার ডাক্তারী বিদ্যা আপনাদের কতকটা কাজে লাগছে জেনে খুব স্বৰ্গী হলেম। জামরা ত নেফাৎ আনাড়ি ।” আমি বলিলাম,-“তিনি খুব কাজ করছেন। সে ভ আপনার বন্ধুত্বের অনুরোপে । সেজন্য আপনাকেই আগে ধন্যবাদ দিতে হয় ।” শঙ্কর বলিল, “কেবল আমার খাতিরে নয় জানবেন । আপনার সঙ্গেও সাহিত্যক্ষেত্রে তার বন্ধুত্ব হয়েছে।” আমি হাসিয়া বলিলাম,~–“বন্ধুস্থ, ন শত্রুতা ?” দাদা বলিল,--“শক্রভাবে তিন জন্মে, মিত্রভাবে ছয় জন্মে সামৗপ্য লাভ হয় জানিল ত—যেমন হিরণ্যকশিপুর হয়েছিল।” এই কথায় সকলে হাসিয়া উঠিল, কিন্তু হাসির পর শঙ্করের মুখ একটু মান হইল আমি লক্ষ্য করিলাম। সেদিন সন্ধ্যার পরে মা'র খুব জর হইল, খার্শোমিটার দিয়া দেখিলাম ১০৪.৬ ডিগ্রি। তাছার সঙ্গে ডিলীরিয়ামও আরম্ভ হইল। আমি শিয়রে বলিয়া মাখায় জলপটি দিতে লাগিলাম। প্রমীলা পায়ের দিকে বসিয়াছিল। দাদা ঘুমাইয়াছিল, পরে: দাদা আসিয়া বসিলে আমি ঘুমাইব এরপ স্থির টাছিল । আমি প্রমীলাকেও খুৰাইতে পঠাইয় দিলাম।