পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وهولمميا বৎসরই নগরবাসী কাছিম শিকার করিতে গামের পশ্চিমের মাঠে বাহির হইয়া যায়। ইহা তাহার নেশা। আজ যুধিষ্ঠিরের আগমন উপলক্ষে সে এত ভোরে বাহির হইয়া গেল। মনে মনে এই বলিয়া লে বাহির হইয়া গেল যে, ভগবান যেন তাহার মুখ রাখেন । নগরবাসীর বাড়ি ফিরিতে বেল প্রায় দ্বিপ্রহর হইয় গেল। ওদিকে তাহার কথা কিন্তু ঠিকই ফলিয়াছে। সে বাড়ি ফিরিয়া দেখিল, যুধিষ্টির ইতিমধ্যেই সে বাড়িতে পুরাতন হইয়া জমাইয়া তুলিয়াছে। ভাল করিয়া তেল মাখিয়া শুধু গায়ে যুধিষ্ঠির নগরবাসীর ঘরের দাওয়ার উপর যেখানটিতে নগরবাসী নিত্য পরিশ্রমান্তে আসিয়া খুঁটিতে ঠেল দিয়া বসিয়া দিব্য আরামে তামাকু সেবন করিয়া ক্লাস্তি বিনোদন করে ঠিক সেখানটিতে নগরবাসীর মত বসিয়াই তামাক টানিতেছে, আর উজ্জলার সঙ্গে কত রাজ্যের গল্পই যে ফাদিয়া বসিয়াছে তাহার জার ইয়ত্ত নাই। নগরবাসী বৈঠ, কোচ ও ট্যাটা হাতে দাওয়ার ঠিক নামায় উঠানে আসিয়া দাড়াইয়া এমনভাবে উজলার পানে চাহিল যে তাহাতেই সে বুঝাইয়া দিল—তাহার কথা না ফলিয়া তো উপায় নাই ; যুধিষ্ঠির চিরদিনই আমন মিশুক, নতুন লোককে পুৱাডন করিয়া লইতে তাহার বড় বেশী সময়ের প্রয়োজন কোনদিনই হয় না। যুধিষ্ঠির তাড়াতাড়ি হুঁ কাটি ঘরের বেড়ার সঙ্গে ঠেস দিয়া দাড় করাইয়া রাখিয়া উঠানে নামিয়া নগরবাসীকে প্ৰণাম করিয়া উঠিয়া বলিল,— কেমন, কথা ঠিক রেখেচি কিনা দেখ এইবার। এ তুমি জানবে নগরবাসী-দ, যুধিষ্ঠিরের কথার খেলাপ কোনদিন হবে না। ..মাইরি, এ তোমার ভারী জন্তায় কিন্তু নগরবাসীদ, বৌদি যে এমন মাইডিয়ার' প্যাটার্ণের লোক তা তুমি কোনদিনই আমাকে বলনি। বললে পরে আমি কৰেই এসে একদিন হাজির হতাম। নগরবাসী সগৰ্ব্বে একটু হাসিয়া বলিল,—বলিনি, নিশ্চয় বলেচি। এ তোর মিথ্যে অভিযোগ যুধিষ্ঠির। যুধিষ্ঠির একটু ফিক করিয়া হাসিল, তারপরে বলিল, কিন্তু-জাৰলে—এতটাই কি বলেচ কোনদিন । फेबण बूििटबूद्र क्षाब्र अं९णश ौक परिउ नं। & oi-115 it 3 SO86 পারিলেও অল্পমান কতকটা করিতে পারিয়াছিল, কাজেই লঙ্গিত হইয়া অন্ত কথা তুলিতে চেষ্টা পাইল। বলিল, কাছিম মিললো না তো ? যুধিষ্ঠিরও সঙ্গে সঙ্গে বলিয়া উঠিল, ভাল কথা নগরবাণী-দ, আমি আজ আসব তুমি জানই, তবু তুমি শিকারে বেরিয়ে গেছ, তোমার কি রকম আক্কেল বল তো ? যাক, কিছু শিকার মিললো কি ? - নগরবাসী আর একবার সগৰ্ব্বে একটু হাসিল, তারপরে বলিল, মন করে বেরিয়ে কোনদিন খালি হাতে ফিরে এসেচি - কিনা তা তোর বৌদিকেই একবার জিগ্যেস করে দেখ না। পিড়কী দরজায় নৌকা বাধা আছে, তারই পাটাতন তুলে দেখগে যা । কিন্তু সবে নতুন জল, এখনও বড় কাছিম চলতে স্বরু করেনি। তবে নেহাৎ ছোটও না একেবারে । আয়, দেগবি আয় না। বলিয়া নগরবাসী তাহার শিকারের সাজসরঞ্জাম উঠানেই নামাইয়া রাখিল। যুধিষ্ঠির আবার হকাটি হাতে তুলিয়৷ লইয়া নগরবাসীর পিছু পিছু খিড়কীর দিকে চলিল । উজ্জলাও তাহদের সঙ্গে চলিল । যুধিষ্ঠিরের বেশ আসর জমানে স্বভাব,—সে একদিনেই সাতরাজ্যের কথা তুলিয়া নগরবাসী ও উজ্জলাকে তাক লাগাইয়া দিল। নগরবাসী যুধিষ্ঠিরকে পূৰ্ব্ব হইতেই চিনিত এবং স্ত্রীর কাছে এই যুধিষ্ঠিরের কথা সে এত বেশী করিয়াই বলিয়াছে যে, যুধিষ্ঠির যদি এমন করিয়া সত্যসত্যই উজ্জলাকে তাক লাগাইয়া দিতে না পারিত তে তাহার মুখ দেখানোই ভার হইয়া উঠিত। তাহার খুণী আর ধরিতেছিল না । তাহার বড়মাসীর বড় আদরের একমাত্র সন্তানের যে অশেষ গুণপণ সে স্ত্রীর কাছে টকা-টিল্পনি সহ ব্যাখ্যা করিয়াছে তাহার কিছু পরিচয় যদি সে উজ্জলার কাছে না দিতে পারিত ভে নগরবাসীর পক্ষে তাহ যেমন দুঃখদায়ক হুইত, তেমনই जांबाब्र गब्बकब्र श्ब्र नैज्रिाङ्गेउ । पूर्षिठेिद्र उांशद्र भूष রাখিয়াছে— মন বঁাচাইয়াছে। আর নগরবাসী যুধিষ্ঠির সম্বন্ধে অনেক কথা একটু অতিরঞ্জিত করিয়া বলিয়াছে সত্য, কিন্তু যুধিষ্ঠির সদ্ধে সে-সব একেবারে মিখা কথাও তে৷ না। তা লোকে আমন অতিরঞ্জিত করিয়া একটু বলিয়াই