পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন থাকে। যুধিষ্টির মিগুক, ঞ্জি cर्षब्रोणेौ, चांख्छांबांब, আসর-মাতানে, ছয় হৈ-চৈয়ের পাওঠাকুর, যুধিষ্টির গাইয়ে বাজিয়ে তালিমবাজ, যুধিষ্ঠির মুখ-মিটি—প্রাণখোল, যুধিষ্ঠির রঙ্গতামাল ভালবালে, ঝামেলা পছন্দ করে না, কারও সাতেও নেই পাচেও নেই, পরকে সব দিয়ে-য়ে তার আনন্দ, আপনভোল!—সন্ন্যাসী মানুষ বলিলেই চলে। এককথায় নগরবাসী ভূভারতে আমন আর একটিও দেখে নাই। উজ্জল৷ এত শুনিয়াই শেষে বলিয়াছিল, যেহেতু সে তোমার বড় মাসীর ছেলে। কিন্তু হেতু যাহাই হউক, নগরবাসী যে অতগুলি বাছা বাছা বিশেষণে যুধিষ্ঠিরকে ভূষিত করিয়া উজ্জলার চোখের সামনে উজ্জল করিয়া তুলিয়া ধরিয়াছে তাহা সে মনপ্রাণ দিয়া বিশ্বাস করে বলিয়াই ধরিয়াছে। সেদিকে নগরবাসী নিজেকে কোনদিনই ফাকি দিতে শেখে নাই। নগরবাসী বানাইয়া কোনদিনই কিছু বলে না। সপ্রমাণিত এবং চাক্ষুব করা জিনিষই সে লোকের কাছে বলে । উজ্জ্বলা যুধিষ্টিরের সঙ্গে আলাপ করিয়া তৃগু হইয়াছে দেখিয়া নগরবাসী সগৰ্ব্বে একবার বলিল, কি, আমার কথা ঠিক না 7 বড়মাসী আমার ছেলের মত ছেলে পেয়েচে কিন্তু। হাজারগণ্ড ছেলে হওয়ার চেয়ে এমন একটা হওয়৷ কতবড় ভাগ্যের কথা বল তো ? উজ্জলা মাথা নাড়িয়া বলিল, তা ঠিক বই কি! আর বড়মাসী তোমার অমন সতী-লক্ষ্মী মেয়েমানুষ—তার এমন ভাগ্যি হবে না তো হবে কার গুনি ? নগরবাসীর আহলাদের আর সীমা ছিল না । যুধিষ্ঠির বৈকালে নগরবাসীর ছোট নৌকাখানি লইয় একটু গায়ের এ-পাশ ও-পাশ ঘুরিয়া দেখিয়া আসিতে বাহির হইয়াছিল। বাড়ি ফিরিতে তাহার সন্ধ্যা হুইয়া গেল। নগরবাসী তখন পাড়ায় বন্ধু-বান্ধবকে জানাইতে বাহির হইয়াছিল, তাহার বড়মাসীর ছেলে যুধিষ্ঠির—যাহার কথা সে এতদিন তাহাদের কাছে বলিয়া বেড়াইয়াছে সে কাৰ্য্যগতিকে ছুইনি এখানে থাকিতে আসিয়াছে, আজ রাত্রে সে একটু গান রাজনার জাসর জমাইতে চায়, পরে না কেত্ব অঙ্গুযোগ করে বা আপশোষ করে, সেই কারণেই তাহাদের সে জানাইতে জোভাগ্য Ն Գ , चांगिब्रांzह । चाब्र uकषोंe ऎक ८ष, अक्न शॉन-बांबना ইতিপূৰ্ব্বে তাহারা বড় বেশী শোনে নাই। রাত্রে নগরবাসীর উঠান ও দাওয়া পাড়ার লোকে ছাইয়৷ গেল। দক্ষিণপাড়ার বিধু মল্লিকের বাড়িতে গ্রামের থিয়েটার भकिँब छ्-अकः द्रौख्नूछ प्रकः शब्रrयानिबम चारह, वैशाতবলাও একটা আছে সত্য, তাঁহারই জন্ত লোক পাঠানো হইল । হারমোনিয়ম আসিল, কিন্তু বায়া-তবলা আর আসিল না। কারণ, বায়াটি কিছুদিন যাবৎ না-কি একটু বেতাল বাজিতেছিল এবং সেটির অযত্নের স্ববর্ণ-স্বযোগ খল ইত্বরের লক্ষ্য এড়াইতে পারে নাই,- যাহা কৰ্ত্তব্য তাহাই করিয়াছে। যুধিষ্ঠির হারমোনিয়ম দেখিয়া প্রথম নাক সিটকাইল, পরে গান ধরিল। তাহার নাক সিঁটকানো বেয়াদবি হয় নাই নিশ্চয়ই । গান সে ভালই গায়। লোকজন বিদায় লইয়া গেলে যুধিষ্ঠির যখন উজ্জলার কাছে আসিয় তাহার হাত-ঘড়িটি খুলিয়া তাহাকে যত্ন করিয়া তুলিয়৷ রাখিতে বলিল, তখন উজ্জল একেবারে অত্যুগ্র আনন্দাবেগে যুধিষ্ঠিরের একটা হাত জড়াইয়া ধরিয়া বলিল, তোমার অদ্ভুত ক্ষমতা ঠাকুরপো ! এত গুণ তোমায় কে দিলে ? যুধিষ্ঠির এতটাই একেবারে আশা করে নাই। একটু লঙ্গিত হইয়। তাই বলিল, য-যাও, আর ঠাট করতে হবে না বৌদি। এসব শুনলে আমার এমন লঙ্গ করে ! উজ্জল উত্তরে কি যে বলিবে ভাবিয়া পাইতেছিল মা । বলিল, তোমার দাদা বলতে বটে, কিন্তু কোনদিন কি বিশ্বাস * করেছি ছাই! আমার বরাতে আবার এমন ঠাকুরপে জুটবে! আজ দশজনার কাছে বুক ফুলিয়ে দাড়াবার মত একটা পথ হ’ল তবু । যুধিষ্ঠির অগত্য বলিয়া ফেলিল, তোমার মত একজন বৌদি আছে জানাও যে ভাগের কথা বৌদি। " উজ্জলা খুণী হইয়া গা দোলাইয়া লঙ্গর বিনীত অভিনয় করিয়া চলিয়া যাইতেছিল। যুধিষ্ঠির তাড়াতাড়ি বলিল, ভাল কথা বৌদি, তোমাকে বলতে ভুলে গেচি। আমার ঘড়িট দেখতে অতি সাধারণ বটে, কিন্তু ওটার দাম অনেক-- ৯৫২ টাকা। একটু সাবধান করে রেখো। জার তা ছাড়াও ওটা বাঘমারীর জমিদার-বাড়িতে একবার যাত্রা গাইতে গিয়ে পেয়েছিলাম। আমার গান গুনে জমিদায়ের