পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సె8 প্রব नै—:छार्छ )9లిe [ ১৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড

  • ^^^^^^***vళ్కా

কাব্য-কথা কাব্যের আদর্শ ও কবিতা-বিচার আজকালকার দিনে কবি ও-কাব্যের সংখ্যা নেই, কিন্তু রীতিমত কাব্যবিচার নেই বললেই হয় । আগে কোনে। কোনো মাসিকপত্রে কাব্যের বিচার-নিন্দাই হোক প্রশংসাই হোক—কখনো কখনো দেপ। যেত, বড় বড় দুইএকপানি মাসিকে মাসিক-সাহিত্য-সমালোচনার প্রসঙ্গে কবিতার দোষ-গুণ দেখানো হ’ত ; আজকাল তা ও বড় একটা দেখা যায় না। এক-আধখান। মাসিকে এখনো এই ধরণের আলোচন সময়ে সময়ে চোখে পড়ে, সেও সেই আগেকার মত—কেবল নিন্দ-প্রশংসা, ভাল-মন্দ লাগার কথা ছড়ি। আর কিছু নয় ; বরং যেটুকু যুক্তি-বিচারের চেষ্টা মাঝে মাঝে করা হয়, তাতে কাব্যবস্তুকে বেশ করে” অপমান করাই হয—নিতান্ত প্রচলিত সংস্কারেরই প্রশ্রয় দেওধা হয়। হয়ত কোনোদিকে তার কিছু উপকারিতাও আছে । নবীন কবিযশ:প্রার্থীদের রচনায় শব্দ অর্থ ও ব্যাকরণস্বলের ধে ব্যভিচার ঘটে, অন্ততঃ সেগুলি সংশোধন করবার চেষ্টা এ-সকল সমালোচনায় আছে, এর কবি পাঠশালায় গুরুমশায়ের কাজ করেন । আজকালকার মাসিকপত্রগুলিতে কবিতার যে একটি অরণ্য বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা যায়, তাতে আলীর হাতের কাচি ও ছুলের কাজটা আবশ্যক হয়ে পড়েছে । কি ? এ কাজটা অনেকট হাতের *l૬--૬ન-મ કુલિન નૂ છુ . નાના-નાના,નર માં નૈ ન િ কবিতার শুধু বাইরের দিকটা ছ। ছুl, কাব্যশাস্থের জ্ঞান কতকটা না থাকলে, যাদের ব্যাকরণশিক্ষার ভার তার নিয়েছেন—তাদের মনের মধ্যে সেই সন্ত্রমের অভাব হবে, যা হলে সমালোচনার উদ্দেশ্য মোটেই সিদ্ধ হয় না। তার পর, আমার মনে হয়, এইসব সমালোচনা প্রায় নিজের সীমানা রক্ষা করে চলে না, লেখকের নিজের মনগড় থিওরিগুলি নিগিলকাব্যকলাসম্মত স্বন্দর-বিজ্ঞানের মূলে আঘাত করে এবং সমালোচনার ভাষায় শিষ্টতার অভাবও দেখা যায়। কাব্য-সমালোচনার মধ্যে যদি একটি বিশেষ ব্যক্তির রুচি, একটা কোনো বিশেষ আদর্শ, একটা কোনো উদ্দেশ্যের উপযোগী মাপকাঠির পরিচয় থাকে, তবে সেই ব্যক্তিত্বের অভিমান দুর্ভর হয়ে পড়ে । সমালোচকের দায়িত্ব যে কত বড়, তার জন্যে যে কতখানি সাধনা ও স্বভাবগুণের প্রয়োজন, তা আমাদের দেশে এখনো ভালো করে বুঝে দেখবার সময় আসে নি। এ কথা বললে ভুল হবে না ধে--কেবল কাব্য-শরীরেরই পরীক্ষা করা চলে, কাব্যপ্রাণের ব্যবচ্ছেদ চলে না ; appreciation বা রস-প্রকটনই কাব্যসমালোচকের একমাত্র সঙ্গত অধিকার। আগেই বলেছি, সমালোচকেরা যদি নবীন কবিদের গুরুমশায়ের কাজ করেন সে ভালো, কিন্তু ওই কাজ করতে গিয়ে যদি রস-বিচারের উচ্চকথা অমন ছোট করে’ প্রচার করেন, তবে কাজের মধ্যে অকাজের অংশই বাড়বে। রস-বিচারটা বিচার নয়, সেটা আস্বাদন । রস অজ্ঞাপ্য, সে অবস্থায় জ্ঞানী ও জ্ঞেয় এক হয়ে যায়। এজন্তে আমাদের রসশাস্থে একে ‘ব্ৰহ্মাস্বাদসহোদর" বলা হয়েছে। কাব্য লোকোন্তরচমৎকারপ্রাণী ; যার সৌভাগ্যবান র্তারাষ্ট এর আস্বাদ পান, এতে অধিকার সকলের নেই। ‘পুণ্যবন্ত: প্রমিম্বন্তি যোগিবং রসসন্ততিম্। এজন্যে কাব্যসমালোচনায়ু একটা বিশেষ আদর্শ খাড়া করা চলে না। এই এই গুণ থাকুলে তবে কবিতা স্বকবিতা হবে, এমন কথা বল চলে না । অলঙ্কার বা রীতির আলোচন করলেও কাব্যের প্রাণবস্ব ধরা পড়ে নী —‘বেদ্য: সহৃদয়ৈরয়ম্,’ ‘সকল-সহৃদয়-হৃদয়-সংবেদনসাক্ষিক’, ‘সকল-সহৃদয়-সংবাদভাজা প্রমাত্রা গোচরীকৃত: ’ যত যুক্তি দিন, আর যতই বহিরঙ্গ নিয়ে নাড়াচাড়া করুন, রস-প্রমাতা হওয়া বড় শক্ত। যার যেটুকু বোধশক্তি তিনি সেই শক্তি-অনুসারে কাব্যের দোষগুণ আলোচনা করুন ক্ষতি নেই—র্তার কথার যেটুকু মূল্য তা তাথেকেই ধরা পড়বে। ভাল লাগল না বলবার অধিকার