পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬২ A^*్క^్కA్కూూ^.*ణాuూA్కూూు^ খানিকক্ষণ দাড়িয়ে দাড়িয়ে কথা হবার পর সে বল্ল, “ভাই, আমার বউটি বেমার', মাসখানেক থেকে ভূগছে ।” “তুমি তাকে ওষুধ টযুধ খাওয়াও ত ?” আমার ভয় হচ্ছিল, কি জানি লালাজী হয়ত পরপুরুষের ছোওয়া ওষুধ তার বউকে দিতে পারে নী—পাছে বউএর ইজৎ যায় ! সে বলল, “ই, ওষুধ ত খাওয়াচ্ছি কালীবাবু ডাক্তারের কাছ থেকে । কই, তিনি ত সারাতে পারলেন না ?” আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “তোমার বউয়ের অসুখটা ক ?” “ভাই অমুখটা কি, তাই ত বুঝতে পারছি না। খনও জর থাকে, আবার সেরে গিয়ে তার পরদিনই আবার জর আসে । এত অস্থখ যে, জর যখন থাকে, তখন ভাত নিয়ে আমি হাজার সাধাসাধি করলেও কিছুতেই খায় না ।” “জর থাকলে কি ভাত খেতে পারে ? জর হ’লে ভাত দিতেই নেই, সাগু বালি দিতে হয়। আচ্ছ একমাস হয়ে গেল তবু সারল না, ত’ কালীবাবু কি বলেন ?” “আরে সুরেন, তার কথা আর বল কেন, তিনি ভয়ানক পাজি লোক ; তিনি সেদিন বলেন কিনা, তোমার স্ত্রীর চিকিৎসা এ রকম ক’রে করা যায় না, চল আমি দেখে আসি —আরে ছি. ছি. আমি কানে আঙ্গুল দিয়ে চ'লে এলাম ! আমার স্ত্রীকে দেখবে! আমার ইজ্জৎ মাটি করবে !” “সে কি বুলাকি, তোমার বউকে ডাক্তার দেখাও নি । অম্নি ওষুধ খাইয়েছ ! চল, আমাকে দেখাতে বোধ হর্ষ তোমার বাধা নেই ?” সম্মুখে সাপ দেখলে অন্তমনস্ক পথিক যেমন ক’রে চম্কে উঠে, বুলাকিলাল ঠিক তেমনি ক’রে উঠল— “সুরেন, তুমি আমার দোস্ত হয়ে এমন ছোটলোকের মত কথা বলছ -" ...আমি দেখলাম, এর সঙ্গে এ রকম ব্যবহার করলে फ्रैं,जोशेत्र মনটা গৃহবন্ধু পীড়িত অপরিচিতাটির প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩০ حمیر سیاسی حتمی حمایی حمایسهها معمه جمه { ২৩শ ভাগ, »भ ५७ AeS eSeMAeeSAAA AeAeM AeM AeAAeeAeMAeS জন্তে চঞ্চল হ’য়ে উঠল । হায় হায়, এত নিরুপায় জানকীর দেশের নারী ! আমি বললাম, “আরে চটে। কেন বুলকি ? চল, তোমার বাড়ী যাই, আমি বাইরেই থাকবে এখন । একে একে যা’ জিজ্ঞেস করব, তুমি বাড়ীর ভিতর থেকে পুছে এসে আমায় বাতাবে । কেমন, রাজি আছ ?” যাকৃ, লালজী রাজি হ’ল । আমার হাতে আরও রোগী ছিল, কিন্তু অসহায় এই রোগিণীটির ব্যবস্থা না ক’রে আমি থাকৃতে পারছিলাম না । বুলাকি আমায় নিয়ে চলল। কিছুদূর গিয়ে আশ্চৰ্য্য হ’য়ে দেখি, সহরের বাইরে মাঠের পথে যাচ্ছি । “একি বুলাকি, তোমার বাড়ী কত দূর ?” "এখান থেকে ক্রোশ থানেক হবে ।” আমি ভেবেছিলাম, বুলাকি বুঝি তার বউকে সহরের মধ্যে এনেছে । কিন্তু দেখছি আমি যা ভয় করেছিলাম, তাই ; লালজীর বউ কি সহরে আসতে পারে ? ইজং যাবে না ! বুলাকি দন্ত বিকশিত ক’রে বলল, “সুরেন, আমার নিজের বাড়ী এখান থেকে মাত্র এক ক্রোশ । তাই ত আমার চাকুরী করবার সুবিধা হয়েছে, বউকে একূল৷ দেশে ছেড়ে কোথাও যাওয়া নিরাপদ নয়--আর আমর তোমাদের মত পরিবারকে রেলগাড়ীতে চড়াতেও পারি ন, বা সহরের পথেও বার করতে পারি না ।" আগে শুনৃতাম, বুলাকিদের বিয়ের সময়ে হয় এক বিষম সমস্যা- পেটের দায়ে বিদেশে হবে, বউকে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব—ইজং যাবে, আর বাড়ীতে রেখে যাওয়াও নিরাপদ নয়। এখন চোখের উপরে কথাটার সত্যতা প্রমাণ হ'য়ে গেল । সহরের মধ্যেই কোথাও বাসা মনে ক’রে আমি যেতে চেয়েছিলাম। এখন দেখছি, ক্রোশখানেক রাস্ত হাটুতে হবে । বেলা চারটে বেজে গিয়েছে, ফিরতে হয় ত রাত হয়ে যাবে। আমি নীরবে মাঠের পথ ভাঙতে লাগ লাম। যব, গম, ছোলা, কাটা হ’য়ে গিয়েছে। মাঠগুলোর মূৰ্ত্তি সন্তানহারা জননীর মত শোকাচ্ছন্ন-উদাস। মাঝে এই যেতে