পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३€) ്ഫ প্রবাসী- વિનાશ, లిలిe .* AMA SAMAAA AAAASASASS [ ২৩শ ভাগ,১ম খণ্ড । রমল -* ". ( oe ) এই অগ্নিকাণ্ডে কারখানা যেমন পুড়িয়া গেল, যতীনের মনও তেমনি ঝলসিয়া গেল ; কলগুলি যেমন ভাঙিয়া গেল, যতীনের বলিষ্ঠ দেহও তেমনি ভাঙিয়া গেল। ক্ষতি কয়েক লক্ষ টাকা হইয়াছিল, তাহার মত অর্থপতির নিকট বিশেষ কিছু নয়। কিন্তু সে আর এ যন্ত্রের বোঝা বহিতে, এ, অর্থের দাসৰ করিতে অসমর্থ। কিছুদিন হইতেই এ শক্তির দোলায় ছলিয়া ছলিয়া সে প্রান্ত হইয়া পড়িয়াছিল, সুদত দিন কলের মত খাটা,-আলি হইতে কারখান, খারখানা হইতে রাজার ব্যাঙ্ক, সৰ্ব্বদাই এ অর্থের মজুরী করিাজীবন যেন দুঃসহ হইয়া উঠিয়াছিল। আর সে টাকা चमाहेश স্থখ পায় না। টাকার জন্য সে এ কলকারখানার কাজে লাগে নাই, বুকের মধ্যে কোন শক্তি তাহাকে ইঞ্জিনের মত চালাইয়াছে, সে শক্তির আগুন যেন নিভিয়া যাইতেছে।

গেৰিনকার অগ্নিকাণ্ডে যতীনের দেহ বিদগ্ধ হয় নাই, কপালে শুধু একটু ক্ষত হইয়াছিল, ঘোর মানসিক অশান্তির পর এরূপ অগ্নিদৃশ্যে সে অজ্ঞান হইয় পড়িয়াছিল। কিন্তু তাহার পর এ কি অশান্তি তাহার বুকে বাসা বাধিয়াছে, কিছুই তাহার ভাল লাগে না । এষ্ট কলকারখানা, এই ঘরবাড়ী, এই পুঞ্জিত শক্তি, ধর্মের স্ত,প, সব অর্থহীন, তাহার সমস্ত জীবনকে ব্যঙ্গ করিতেছে। কিসের জন্য সে খাটিয়া মরিজেছ ? Science, civilization, humanity,+ মানব-সভ্যতার কতটুকু উন্নতি সে করিয়াছে ? দেশের সে কি কল্যাণ করিয়াছে ? এই অগ্নিকাণ্ডে যে কুলীবালক পুড়িয়া মরিয়াছে তাহার কথা মনে হইলে তাহার দেহ শিহরিয়া উঠিত। কুলীদের পোড়া-বস্তির সংস্কারের জন্য সে নিজের পকেট হইতে টাকা দিয়াছে। কিন্তু, সেই কুলীবালকের জীবনের জন্ত কে দায়ী ?

দিনটা কোনরকমে আফিসে, ব্যাঙ্কে, কারখানায় ভূতের মত ঘুরিয়া সৰ ঘূৰ্ত্তন করিয়া গড়িবার ব্যবস্থা দিতে দিতে কাটিয়া যাইত, কিন্তু দুঃস্বপ্নময় রাত্রি অসঙ্ক হইত। কোন রাতে সে দুঃস্বপ্ন দেখিয়া টেচাইয়া উঠিত,--আগুন, আগুন, পালাও, পুড়লো—বাং ! তাহার চোখের সামনে রাঙা আলো জলিয়া উঠিত, এক বিদগ্ধ বালকের আর্তনাদ কানে আসিত, অৰ্দ্ধরাত্রে প্রলয়ঙ্কারের ডমরুধ্বনিতে জাগিয়া উঠিয়া জানলা খুলিয়া সে অন্ধকার আকাশের দিকে চাহিয়া থাকিত, আর ঘুম হইত না। স্বামীর ব্যথাভরা মুখের দিকে মাধবী করুণ নয়নে চাহিয়া থাকিত। দেহের ক্ষত সে কত সেবা করিয়া সারাইয়াছে ; কিন্তু মনের এ অশান্তি, এ জালা, সে কি করিয়া দূর করিতে পারে! প্রতিদিন সে বড়-বড় সাহেব . ও বাঙালী ডাক্তার ডাকিয়া স্বামীকে দেখাইত। কি হইয়াছে ? মাথা কি বিকল হইয়া যাইবে ?

  • Fife of oti offs, victim of modern civilization, complete nervous breakdown. f* চিকিংস হইবে, কি টনিক, কি ওষুধে সারিবে ? সবাই এক উত্তর দিত,—কোন টনিক, কোন ওষুধ নয়। এই নগরজীবন ও সভ্যতার দুৰ্ব্বহ বোঝা ছাড়িয়া শ্যামাবহন্ধরার স্নিগ্ধ কোলে ফিরিয়া যাইতে হইবে, পৃথিবীমাতার সৌন্দর্য্যস্থধtভরা স্তন্তরস পান করিয়া চিন্তাহীন মুক্ত জীবন যাপন করিতে হইবে ; এই দ্বেষ, দ্বন্দ্ব, হিংসা, অর্থশক্তির জন্য হানাহানি নয়, স্বর্ষ্যের উদার আলো, নিৰ্ম্মল জল, শ্যামল মাটির টনিক, প্রকৃতির আপন হাতের জীবনস্থধা পান করিতে হইবে ।

যতীন ভাবিত, জীবনের দুই ক্ষুধা,—অল্পের জন্ত ও অন্তরের জন্য। অর্থ আর সে চায় না, সে যথেষ্ট অর্থ পুঞ্জীকৃত করিয়াছে, সে প্রেমের জন্য তৃষিত তাহার স্ত্রী কি সত্যই তাহাকে ভালবাসে না ? আগুন হইতে সে বঁাচাইয়া আনিয়াছে, তাহাকে কি স্নেহ ও নিষ্ঠার সহিত সেবা করিয়াছে। কিন্তু এ মাতার সেবা নয়, সে প্রিয়ার প্রেম চায়। এই অর্থ ছাড়িয়া, স্ত্রী ছাড়িয়া, এই যন্ত্রশক্তি ও বিংশশতাব্দীর সভ্যতা ছাড়িয়া, এই স্বর্ধ্যালোকদীপ্ত পুণর্বর্ণময় নদী-মেখলা বনচ্ছায়ান্বিন্ধ স্থায়ী ধরণীর মুক্ত