পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8¢३ ASA SSASAS SS SAAAAAMAMAAAA এদের বিবাহে কনের বাপকে বা ভাইকে পণ দিতে হয়। সে পণ হচ্ছে দুটি গরু, একটা টীকা বা তারও বেশী, আর তিনটি কাপড় -একটি “আয়ো লুগরী’ বা মাশাড়ী, একটা কনের রোনের জন্তে, আর একটা "সিছর লুগরী বা পিছরদানের শাড়ী কনের জন্তে । বরের বাপ কনের বাপের কাছে গিয়ে তার ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেবে কি না সেইসব ঠিক করে । তার পর বিবাহের একটা দিন স্থির হয় । সেই দিন রাত্রে বর স্বজাতির সঙ্গে কনের ঘরে যায়। সেখানে ‘হঁাড়িয়’ ও মুরগী দিয়ে ভোজ ও নৃত্য হয়। পরের দিন বরের ভাই বা ভগ্নীপতি কনেকে কোলে করে' ঘরে আনে ও সেখানে নৃত্য হয়, ক্টাড়িয়া ইত্যাদি খাওয়া হয় ও কনের মাথায় সিঁদুর দেওয়া হয়। তার দিন দুই তিন পরে বরকনে আবার কনের বাপের ঘরে ফিরে যায়, আবার সেখানে দুদিন থাকৃবার পর আবার কনে মৃদ্ধ বরের ঘরে ফিরে আসে ও ঘরকন্ন করে। এদের মধ্যে অধিকাংশ স্ত্রীলোকই অবিবাহিত, কারণ এরা সহজে কেউ পণ দিয়ে বিয়ে করতে সমর্থ হয় না। বিবাহের আগে পৰ্য্যস্ত এদের মেয়েদের কোন অবরোধ নেই। মেয়েরা যে কোন যুবকের সঙ্গে ইচ্ছা করলে হাড়িয়া খেতে পারে, নৃত্য করতে পারে, ইত্যাদি । তাতে বাপ ম৷ কোন বাধা দেয় না, বা এদের জাতিও যায় না। তবে অন্ত জাতির সঙ্গে গেলেই জাতি যায়। জাতি গেলে আবার অতি সহজে জাতি ফিরেও পায় । স্বজাতিদের কিছু জরিমান দিয়ে হাড়িয়া মুরগী খাইয়ে দিলেই জাতে ওঠা যায়। ধারেও এদের বিবাহ হতে পারে। বিবাহ করে পণ পরে দিবার কথা থাকে, কিন্তু পরে না দিতে পারলে কনে বাপের ধরে চলে’ যায়। আবার তার অন্য জায়গায় বিয়ে इंग्रं । আর একরকম বিয়ে এদের মধ্যে আছে, সেট হচ্ছে, কোন যুবকের কোন যুবতীকে বিবাহ করবার ইচ্ছ। হ'লে, কোন নৃত্যের সময় জোর করে তার মাথায় সিঁদুর দিয়ে দেয়। তখন আর তাকে কেউ বিয়ে করতে পারে ন। তার পর তার বাপ বা ভাইএর সঙ্গে পণ ঠিক হয়ে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় লোহার খাড়, কনেকে দিতে হয়। এইটাই এদের বিবাহের লক্ষণ । প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩e [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড যে-কোন সময়ে এদের বিয়ে ভঙ্গ হ’তে পারে, পরস্পর পরস্পরকে-ছেড়ে দিতে পারে। যদি পুরুষ ছাড়তে চায় তবে তাকে কুড়ি টাকা দিতে হবে, আর যদি মেয়ে ছাড়তে চায় তবে তাকে পণের সমস্ত টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। সুতরাং কেউ কাউকে সহজে ছাড়তে পারে না । মড়ার সম্বন্ধে ব্যবস্থা। —মরে গেলে অধিকাংশ স্থলে এরা পুড়িয়েই দেয়, কদাচিৎ সমাধি দেয়। মড় পুড়ে গেলে তার হাড় একটা মাটি ! ডিবায় করে নিয়ে আসে। তাকে এরা বলে "চুকা'। সেই হাড় এরা দামোদরে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয় । দামোদরকে এরা বলে গঙ্গ। সেই গঙ্গার ঘাটে একটা শীলের ডাণ্ড পোতে, আর তার কাছে একটা লোহার খাড়ু আর চারটি পয়স পুতে দেয়, সাওতালদের বামুন সেইখানে পূজা করে সেগুলি তুলে নেয়। অস্থি দিয়ে ফিরে এলে ঘরের মেয়ের তেল-জল দিয়ে তার পা ধুইয়ে দেয়। মড়া নিয়ে গেলে ঘরের সবাই নেয়ে আসে। একমাস পরে এদের শ্ৰাদ্ধ হয়। তখন কুটুম আসে, আর ভোজ হয়। কারু ঘরে লোক মরলে এদের প্রত্যেকের ঘর থেকে একজন করে যায় । এদের দেবতা বোঙ্গা, সে পাহাড়ে থাকে । এরা তারি পূজা করে থাকে। বছরের মধ্যে এদের পাঁচটা পরব | — পৌষ মাসে মকর—এইটাই এদের বড় পরব। নূতন কাপড় কেনে, আর হাড়িয়া ও মুরগী খেয়ে আমোদ করে । ফাঙ্ক । মাসে শাল পূজা- এই সময় শালের নূতন পাত হয় । এরা জাহেরাকে পূজা করে আর হাড়িয়া ও মুরগী খেয়ে আমোদ করে । ভাদ্র মাসে বিধ। পরব—যেখানে রাজা আছে সেইখানেই এই পরবট হয়। একটা মহিষকে বেঁধে তীর মারে । রাজ এসে আগে তাঁর মারে, তার পর অপর সকলে তীর মেরে তাকে মেরে ফেলে। ভাত্র মাসে গোমূহ পবব—এই পরবে বোগার পুঞ্জ। ट्झ । আশ্বিনমাসে বধি না পরব—এটা আমাদের দেশের