পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ”حم، ححمی حصہ حبیب یہی ہے বিকশিত করিয়া তুলিতেছে। ফুলের গন্ধ, পত্র-কিশলয়ের বর্ণ, ফলের পরিপূর্ণ শ্ৰী ও সম্পদ, সমস্ত দিয়াও প্রকৃতি উাহার এই অশান্ত বিদ্রোহী মানবশিশুকে শাস্ত করিতে পারিতেছে না। হত্যা করিবার মত নখ দন্ত তাহাকে দেওয়া হয় নাই, তাই যেন তাহার এই চির অসন্তোষ— অনন্ত বিদ্রোহ। আক্রোণুে সে প্রকৃতির অসহায় বাকুহীন সন্তানগুলিকে হত্যা করিয়া তবে বুঝি শান্ত হইবে । আজিকার রাত্রের পরিপূর্ণ সৌন্দয্যের মধ্যে প্রকৃতির এই ব্যথা যেন বেশী করিয়া ফুটিয়া উঠিয়াছিল—সেই ব্যথা বেশী করিয়া বাজিতেছিল মাধবী ও শান্তিময়ের বুকে । সন্ধ্যার পর দু’জনে আজ ফাউষ্টের গ্রেশেন আখ্যায়িক চোখের জলে শেষ করিয়াছে । বাংলোর মধ্যে দুয়ার জানাল খুলিয়া সকলে শুইয়াছে। বাহিরে বারান্দার শেষ প্রাস্তে মুত হরিণটিকে রাখা হইয়াছে। একজন চৌকিদার সেখানে ঘুমাইয়া ঘুমাইয়৷ হরিণের দেহ পাহার দিতেছে। জ্যোৎস্ন। শেষ হুইয়। মৃদু-শাস্ত প্রভাতের আলে। ফুটিয়া উঠিয়াছে। শান্তিময় একবার বাহিরে আসিল । পাশ্বের দিকে প্রসারিত হরিণের পানে চাহিয়। চমকিয়! উঠিল। অনেকক্ষণ ধরিয়া সেই দিকে চাহিয়া রহিল। তার পর ঘরের মধ্যে আসিয়া বন্দুকটিতে টোটা ভরিয়া হাতে লইল । আসিবার সময় স্থধাময়কে ডাকিল—দাদা, একটিবার বাইরে দেখবে এস । ' বন্দুক হাতে ভাইকে দোগয় স্থধাময় একলাফে শয্যা ত্যাগ করিয়া জিজ্ঞাসা করিল—কি হয়েছে শাস্ত ? সকলে জাগিয়া উঠিলেন। ইঙ্গিতে ভ্রাতাকে গোলমাল করিতে নিষেধ করিয়| শাস্তিময় বলিল-বাইরে দেখবে এস। সকলেই একসঙ্গে বাহিরের বারান্দায় আসিয়া দাড়াইলেন। শান্তিময় মৃত হরিণের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া দেখাইল । মৃত্যু-বর MMAMAeMMeAMMM MMMMMe M eMMMMeeeMAAA AAAA AAAAAS SAAAAA AAAA AAM MMA MAAe AA AeMMMAeMMMeM eee AAAA ASA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAM AMAMAAA AAAASAAAA ৬২৩ ' হরিণের প্রসারিত প্রাণহীন দেহের কাছে তাহার হরিণীটি দাড়াইয়া । এক-একবার তাহার দয়িতের আহত স্থানটি জিহ্বা দিয়া লেহন করিয়া বুঝি তাহার বেদনার উপশম করিবার চেষ্টা করিতেছে। বুকের রক্তের দাগটি মুছিয়া দিয়াছে। কখন যে সে পথ চিনিয়া চিনিয়া আসিয়া তাহীর জীবন-মরণের সঙ্গীর কাছে দাড়াইয়াছে, কতক্ষণ ধরিয়া সে যে এই মতে প্রিয়ের দেহ অtগুলিয়া আছে, তাহ কেহই জানে ন । সকলে বিস্ময়-বিস্ফারিত চক্ষে ইতর প্রাণীর মধ্যে এই প্রেমেব নিদর্শন দেখিয়া স্তন্ধ হইয়া রহিলেন। হরিণীটি সম্মুখে এতগুলি লোককে দেখিয়াও ভয় পাইল না । তাহার আয়ত শান্ত চক্ষু মেলিয়া যেন বলিল—এবার অামাকেও লও। প্রিয়ের কাছে আমাকে মরিতে দাও । বঁiচাইয়া রাখিয়া আমাকে মরণযন্ত্রণ দি ও না । এ দৃশ্ব সকলেরই হৃদয় স্পর্শ করিয়াছিল। সাবিত্রী বলিলেন—আহা ! একে যেন মের না । আমি আর কথখনে তোমাদের সঙ্গে আস্ব না। সুধাময় হরিণীকে মারিবার কোন আগ্রহ দেখাইল না। শান্তিময় বলিল—ম, দেখ ছ না, ও মরবার প্রার্থন করতে এসেছে। এখন ওকে মরতে না দেওয়াই নিষ্ঠুরতা। তুমি রাগ কোরো ন-আমি ওকে নিস্কৃতি দেবো । শান্তিময় হরিণীর উপর লক্ষ্য ঠিক করিয়া লইল । হরিণী স্থিরভাবে দাড়াইয় যেন প্রার্থিত মৃত্যুর অপেক্ষা করিতে লাগিল। সশব্দে গুলি ছুটিল । মুহূর্তে হরিণীর প্রাণহীন দেহ হরিণের প্রসারিত দেহের উপর লুটাইয়া পড়িল । হরিণী মরিয়া বঁচিল । শান্তিময়ের চক্ষু দিয়া দুই বিন্দু জল গড়াইয় পড়িল । উচ্ছসিত ক্ৰন্দন রোধ করিতে মাধবী দুই হাতে মুখ ঢাকিল । ঐ মাণিক ভট্টাচাৰ্য