পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা - : -യ്ക്കേ പ് পুলিসের চোখে বড় বেশীদিন খুলে দিয়ে থাকা জগম্ভব। সে তখন ঐ আড়াই লাখ টাকার নোটগুলোকে একটা মোট খামে ভরে বেশ করে বন্ধ করে তার ওপর গোট দশেক শীল মোহর কবুল । তারপর সে এক উকিলের বাড়ী গেল। * উকিলকে গিয়ে বলল, “দেখুন মশায়, আমার এই খামটাতে কয়েকটা দরকারী দলিল-পত্র আছে। আমি কয়েক বছরের জন্তে বিদেশ যাচ্ছি। তা যাবার আগে এগুলো আমি আপনার কাছে রেখে ধেতে চাই। এতে আশা করি আপনার কোনো আপত্তি হবে না ?” উকিল-মশায় বললেন, “আরে না না, আপত্তি আর কি হবে, তবে আপনি একটা রসিদ নিয়ে যান।” সে রসিদের কথা ভাবেনি। রসিদ নিয়ে আর-এক ফ্যাসাদ হবে, পুলিসের হাতে পড়ে যদি রসিদগান তাদের হাতে যায়, তবে সব নষ্ট হবে। তাই সে বলল, “দেখুন, রসিদ নিয়ে আমার কোনো লাভ নেই। আমার আপন লোক কেউ নেই যে তার কাছে বুসিদ রেগে যাব, তার চেয়ে ওটা আমনি থাক। কিই বা ওতে আছে। আমি এসে আমার নাম বললে আপনি ওটা আমায় দেবেন। ফিরতে আমার অনেক দেরী হতে পারে।” উকিল-মশায় আর কি করেন—বললেন, “ত বেশ, তবে আপনার নামটা বলে’ যান, খামের ওপর লিখে রাখি, আপনি এসে ঐ নাম বললে আপনি গাম ফেরং পাবেন।” একটু ভেবে সে বললে, “আমার নাম জলধর—জলধর চক্রবর্তী।” 豪 霹 裹 裹 উকিলের বাড়ী ছেড়ে যখন সে রাস্তায় এলে, তখন তার মনে আর কোনো চিন্তা নেই । সে তখন একেবারে বে-পরোয় । • মনে মনে বলতে লািগল, ধরুক এখন পুলিলে! কি কবে আমার ? কি প্রমাণ তারা পাবে? আমায় ধর্বে বটে, কিন্তু যার জন্যে আমায় ধরা, তার দেখাও বাছারী পারেন না। বড়ঞ্জার বছর-পাচেক জেল হবে . কুছ-পরোয় নেহি! নিয়ম মত খাওয়া দাওয়া, . বায়াম, নিদ্ৰা ! ८कन फ़िखा সেই ! শরীরটা ভাল করে আসতে পারবো। তারপর বেরিয়ে এসে ? আঃ ! কি পুস্তকস্থং ফু যা বিদ্যা, পূরহস্তগতং ধনৰ্ম নদীর ধারে- একটা বাড়ী করব । لأجي আরাম! আড়াই লাখ! দুয়ের একটা গ্রামে চলে যার সেখানে কে রা আমায় চিনবে? আমি যে তখন ঐযুক্ত জলধর চক্রবর্তী! বাড়ীটা বেশী বড় কর্ব মা। দান-ধ্যানও কর্ব কিছু কিছু। লোকের চোখে গোলাপজলে ধোওয়া বালি বেশ দিতে পারব—বেশ হবে । আর তাকে ? হঁ্যা নিশ্চয়ই ' • - আরো একটা দিন সে লুকুয়ে কাটালো—নোটগুলোর নম্বর বেরিয়েছে কি ন জানবার জন্যে। সেগুলো বেরোয়নি দেখে তার মনটা আরো হালকা হয়ে উঠল। - - শেষে সে পুলিসের হাতে ধর। দিল। পুলিসের জেরাতে বলল, “পথের ধারে বাদাম-গাছের তলায় একটা বেঞ্চে আমি টাকা ইত্যাদি সব নিয়ে ঘুমিয়ে পড়িহটাং যখন ঘুম ভাঙুল দেখলাম নোটের থলি, খাতাপত্র সব কোথায় চলে গেছে। তার যে কোথায় গেষ্ট্রে আমি অনেক খোজ করেও জানতে পারলাম না।” - @ পথে হটাৎ ঘুমিয়ে পড়ার জন্যে তার পাঁচ বছর জেলে ঘুমোবার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হলে । 豪 来 豪 জেলপানাতে তার দিন আনন্দেই কাটুতে লাগল। জেলখানার কষ্টটাকে সে তার সামান্য পাপের একটু প্রায়শ্চিত্ত বলেই গ্রহণ করল। এপানে তার কাজকর্শ্বে সবাই সন্তুষ্ট । কৰ্ত্তারা বললেন, “এমন লোকের যে জেলকেন হলো বুঝতে পারি ন—এ লোক কখনো চুরি করতে, পারে না ।” তার শরীর জেলখানায় বেশ ভাল হতে লাগলো। 箏 豪 箏 দীঘ পাচ বছর পরে সে বাক্টরের মুক্ত হাওয়ায় বেরিয়ে এলো। পথে সে চলেছে আর মনে ভাবছে, "এতদিনৰ পরে আমার সব সার্থক হলে । এখন কিছু খেয়ে আর পোষাকটা বদলে নিয়ে উকিলের বাড়ী যাব। সে । আমায় প্রথমে চিনতেই পারবে না ! সে হয়ত আমারমুখের দিকে ই করে চেয়ে থাকবে—আমি তখন আমার খামখানা ফেরৎ চাইব। তার হয়ত কিছুই