পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV8 আঁধারেই শেষ, মাঝে দুই-একটি ক্ষীণ আলো-রেখা দেখা যাইতেছে। মানুষের অধ্যবসায়-বলে ঘন কুয়াস অপসারিত হইবে এবং বিশ্বজগৎ একদিন জ্যোতিৰ্ম্ময় হইয় উঠবে।" @ - তারহীন যন্ত্র লইয়। পরীক্ষা করিতে করিতে আচাৰ্য্য দেপিলেন, নে, কলের সাড়া প্রথম প্রথম বৃহৎ হয় কিন্তু উহু কমশঃ ক্ষীণ হইয় লুপ্ত হইয়া যায়। দেখিলেন, দিবারস্তুেষ্ট পরীক্ষণ শ্রেয়—কারণ সারাদিন পরীক্ষার পর কল ক্লান্ত হইয়া যায়। তখন এ প্রশ্ন তিনি কিছুতেই এড়াইতে পারিলেন না, যে, কলের এ ক্লাস্তি কেন হয় । অনেকগুলি আবিষ্কার কেবল লিখিবার অপেক্ষায় ছিল ; সে-সব ছাড়িয়া দিয়া ঐ নূতন প্রশ্নের উত্তর অঙ্গুসন্ধান করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । ক্রমে দেখিতে পাইলেন, জীবনহীন ধাতুও উত্তেজিত এবং অবসাদগ্ৰস্ত হয়। যে সাড়া দিবার শক্তি জীবনের এক প্রধান চিহ্ন বলিয়া গণ্য, জড়েও তাঙ্কার ক্রিয় পরিস্ফুট দেখিতে পাইলেন । জীবতত্ত্ববিদ্যুদিগের হস্তে এই-সব নূতন তত্ত্ব রাথিয় পদার্থবিদ্যা বিষয়ে অনুসন্ধান করিবার জন্য ফিরিয়া আসিবেন মনে করিতেছিলেন ; কিন্তু তাহ! ঘটিয়া উঠিল না। সৰ্ব্বপ্রধান জীবতত্ত্ববিদ বার্ডন সেগুৰ্বিসন বলিলেন, জীবনতত্ত্ব সম্বন্ধে আপনি যে পরীক্ষা করিয়াছেন সে সম্বন্ধে আমাদের চেষ্টা পূৰ্ব্বে নিস্ফল হইয়াছে, সুতরাং আপনার কথা অসম্ভব ও অগ্রাহ ; এ শাস্ত্রে আপনার অনধিকার-চর্চা হইয়াছে ; আপনি পদার্থবিদ্যায় যশস্বী হইয়াছেন ; আপনার সম্মুখে সেই প্রশস্ত পথে বহু কৃতিত্ব রঙ্গিয়াছে, আপনার অজ্ঞাত পথ হইতে নিবৃত্ত হউন । আচাৰ্য্য উত্তর করিলেন, “নিবৃত্ত হুইব না, এই বন্ধুর পথই আমার ; আজ হইতে সোজা পথ ছাড়িলাম ; আজ যাহা প্রত্যাখ্যাত হইল, তাহাই সত্য ; ইচ্ছাতেই হউক্‌ অনিচ্ছাতেই হউক, তাহা সকলকে গ্রহণ করিতেই হইবে।” তৎপরে বহুবৎসরব্যাপী সাধনা দ্বারা নব নব উদ্ভাবিত যন্ত্রে বহুবিধ পরীক্ষায় বৃক্ষজীবনে মানবীয় জীবনের প্রতিকৃতি দেখাইয়া নিৰ্ব্বাক্ জীবনের উত্তেজনা মানবের অনুভূতির অন্তর্গত করিলেন। বৃক্ষের অদৃশু বৃদ্ধি মাপিলেন, এবং “বিভিন্ন আহার ও ব্যবহারে সেই বৃদ্ধির মাত্রার মুহূৰ্ত্তেক পরিবর্তন নিরূপণ করিলেন। মনুষ্যস্পর্শেও বৃক্ষ যে সঙ্কুচিত হয়, তাঙ্গ দেপাইলেন। যে উত্তেজক মানুষকে উংয় প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯ AAAA ASAS A SAS SSAS SSAS SSAAAA AAAA SAAA AAAA SAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA SAAAAA AMSAAAA [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড AASAASAASAASAASAAJJJJAJSAAAAAA AAAA AAAA AAAAA করে, যে মাদক তাহাকে অবসন্ন করে, যে বিষ তাহার প্রাণনাশ করে, উদ্ভিদেও সেই-সমুদ্বয়ের একই-বিধ ক্রিয় প্রমাণ করিলেন। উদ্ভিদ পেশীর স্পন্দন লিপিবদ্ধ করিয়া তাহাতে মানবহৃদয়ের স্পন্দনের প্রতিচ্ছায়া দেখাইলেন । বৃক্ষশরীরে স্বায়ুপ্রবাহ আবিষ্কার করিয়া তাহার বেগ নির্ণয় করিলেন । প্রমাণ করিলেন, যে, যে-সকল কারণে মাহুষের স্বায়ুর উত্তেজনা বৰ্দ্ধিত বা মন্দীভূত হয়, সেট একই কারণে উদ্ভিদস্বায়ুর আবেগ, উত্তেজিত অথবা প্রশমিত হয় । বুক্ষের স্বহস্তে লিখিত এই সকল সাক্ষ্যে বিশ বৎসর পূৰ্ব্বে যে-সকল সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যাত হইয়াছিল, আজ তাহ সৰ্ব্বত্র আদরে গৃহীত হইয়াছে ; বিরোধী র্যাহার ছিলেন, এখন তাহারাই পরম মিত্র হইয়। দাড়াইলেন ; এবং বিজ্ঞান-ক্ষেত্রে ভারতীয় সাধক পুথিবীর নিকট হইতে জয়মাল্য আহরণ করিলেন । আমরা অনেকেই কেবল মাত্র পূর্বপুরুষগণের গৌরব ঘোষণা করিয়া সন্তুষ্ট থাকি ; “সত্য বটে, আমাদের পূর্বপুরুষগণ অমর তত্ত্বসমূহ রাখিয়৷ শিয়াছেন এবং দুই-চারিজন বিদেশীও কষ্ট স্বীকার করিয়া তাহ বুঝিতে চেষ্টা করিতেছেন। কিন্তু হে বেদ-উপনিষদ-রচয়িতার বংশধর, আজ তোমার স্থান কোথায়. ? হায় আলনস্কর । তোমার দিবাস্বগ্ন কি কোনও দিন ভাজিবে না ? তোমার পণ্যদ্রব্য শুধু গিণ্টি ও কাচ । স্বর্ণ ও হীরক বলিয় তাহ বিক্রয় করিবে মনে করিয়াছিলে এবং অলীক ধনে আপনাকে ধনী মনে করিয়া ভাগ্যলক্ষ্মীকে পদাঘাত করিলে! দর্শকগণের উপহাস এত অল্পদিনেই ভুলিয়াছ ? কি বলিতেছ ? তোমার পূর্বপুরুষগণ ধনী ছিলেন, তাহারা পুষ্পকরখে বিমানে বিহার করিতেন ! মূঢ় ! তবে কি করিয়া সেই সম্পদ হারাইলে ? চাহিয়া দেখ ! দূরে যে প্রবল পৰ্ব্বত দেখিতেছ, তাহা নর-ককালে নির্মিত। তুমি যাহাদিগকে ম্লেচ্ছ বলিয়৷ মনে কর, উহা তাহদেরই অস্থিতৃপ। দেখ, কাহার সেই জুস্থিনিতি সোপান বাহিয়া গিরিশৃঙ্গে উঠিয়াছে এবং শুছে ঝাপ দিয়া নীলাকাশে তাহাদের আধিপত্য বিস্তার করিয়াছে। উদ্ভতীয়মান প্তেন-পক্ষী-শ্রেণী বলিয়া যাহা মনে করিয়াছ, দেখিতে দেখিতে সেগুলি মেঘের অন্তরালে অন্তৰ্হিত হইল। অবস্থ হইয়া তুমি উদ্ধে চাহিয়া আছ। অকস্মাৎ মেঘরাজ্য হইতে নিক্ষিপ্ত বহ্নিশেল তোস্থার চতুর্শিকে পৃথিবী বিীর্ণ করিল। কোথায় তুমি পলায়ন করিবে ? গহ্বরে প্রবেশ করিয়াও নিস্তার নাই। বিধবাহক বাপে তোমাকে সে স্থান হইতেও বাহির হইতে হইবে।” আজ যে মন্ত্রে দীক্ষিত হইয়া ভারতবর্ষ নবজীবনের স্পন্দন অনুভব করিতেছে বহুবৎসর পূর্বে আচাৰ্য্য র্তাহার পরীক্ষাগার হইতে সেই সত্যের ঘোষণা করিয়াছিলেন। তিনি পরীক্ষায় দ্বারা দেখ ইয়াছিলেন, যে, ছিন্ন-শাখ বৃক্ষ