পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] আহত ও মুমূর্ষ হইয়াও কয়েক দিন পরে বাচিয় ওঠে, আর বিচু্যত পত্র নানা ভোগে লালিত হইয়াও মৃত্যুমুখে পতিত হয়। কেন তবে এই বিভিন্নতা ? : "ইহার কারণ এই যে, বৃক্ষের মূল একটা নির্দিষ্ট ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত, ষে স্থানের রস দ্বারা তাহার জীবন সংগঠিত হইতেছে। সেই ভূমিই তাহার স্বদেশ ও তাহার পরিপোষক । "বৃক্ষের ভিতরেও আর-একটি শক্তি নিহিত আছে, যাহা দ্বারা যুগে যুগে সে আপনাকে লিনাশ হইতে রক্ষা করিয়াছে। বাহিরে কত পরিবর্তন ঘটিয়াছে, অদৃষ্টবৈগুণ্যে সে পরাহত হয় নাই। বাহিরের আঘাতের উত্তরে পূর্ণজীবন দ্বারা সে বাহিরের পরিবর্তনের সহিত যুঝিয়াছে। “জীরও একটি শক্তি তাহার চিরসম্বল রহিয়াছে। সে যে বটবৃক্ষের বীজ হইতে জন্মগ্রহণ করিয়াছে এই স্মৃতির ছাপ তাহার अठि अत्र ब्रश्ब्रिाप्इ ।। ७श्छछ उांशत्र मूल छूभिाउ मृ-थउिठेिऊ, তাহার শির উদ্ধে আলোকের সন্ধানে উন্নত এবং শাখা-প্রশাখা ছায়াদানে চতুর্দিকে প্রসারিত। তবে কি কি শক্তি-বলে সে আহত হইয়াও বাচিয়া থাকে ? যে ধৈর্য্য, যে দৃঢ়তায় সে তাহার স্বস্থান দৃঢ়ৰূপে আলিঙ্গন করিয়া থাকে, যে অনুভূতিতে সে ভিতর ও বাহিরের সামঞ্জস্য করিয়৷ লয়, যে স্মৃতিতে বহু জীবনের সঞ্চিত শক্তি নিজস্ব করিয়া লয় । আর যে হতভাগ্য আপনাকে স্বস্থান ও স্বদেশ হইতে বিচুত করে, যে পর-অন্নে প্রতিপালিত হয়, সে জাতীয় স্মৃতি ভুলিয়া যায়, সে হতভাগ্য কি শক্তি লইয়া বাচিয় থাকিবে ? বিনাশ তাহার সম্মুখে, ধ্বংসই তাহার পরিণাম।” স্বায়ুমূলে উত্তেজনা-প্রবাহের হ্রাসবুদ্ধি পরীক্ষা করিতে করিতে আচাৰ্য্য দেখিলেম, যে, বাহিরের নির্দিষ্ট শক্তির প্রয়োগে উত্তেজনা-প্রবাহের হ্রাসবৃদ্ধি করা যায়। ভাঙা বেহালা ᎼᏬ☾ “কিন্তু বাহিরের শক্তি দ্বারা বাহা ঘটিয় থাকে, ভিতরের শক্তি দ্বারাও তাহা সংঘটিত হয়। তবে মানুষ ত কেবল অদৃষ্টের দাস নহে। তাহারই মধ্যে এক শক্তি নিহিত আছে, যাহার স্বারা সে বহির্জগতের নিরপেক্ষ হইতে পারে। তাহারই ইচ্ছানুসারে বাহির-ভিতরের প্রবেশদ্বার কখনও উদঘাটিত কখনও অবরুদ্ধ হইতে পরিবে। এই রূপে দৈহিক ও মানসিক দুৰ্ব্বলতার উপর সে জয়ী হইবে। ভিতরের শক্তি ত স্বেচ্ছা ! তবে জীবনের কোন স্তরে এই শক্তির উদ্ভব হইয়াছে ? জন্মিবার সময় ক্ষুদ্র ও অসহায় হইয়৷ এই শক্তিসাগরে নিক্ষিপ্ত হইয়াছিলাম। তখন বহিরের শক্তি ভিতরে প্রবেশ করিয়৷ শরীর লালিত ও বৰ্দ্ধিত করিয়াছে। মাতৃস্তষ্কের সহিত স্নেহ, মায়, মমত অস্তরে প্রবেশ করিয়াছে, এবং ৰন্ধুজনের প্রৈম দ্বারা জীবন উৎফুল্প হইয়াছে। ছুদিনেও বাহিরের আঘাত-ফলে ভিতরের শক্তি সঞ্চিত হইয়াছে এবং তাঁহারই বলে বাহিরের সহিত যুঝিতে সক্ষম হইয়াছি। ইহার মধ্যে আমার নিজস্ব কোথায় ? - এইসবের মূলে আমি ন তুমি ? একের জীবনের উচ্ছ, সে তুমি অস্ত জীবন পূর্ণ করিয়াছ। অনেকে তোমার নিদেশে জ্ঞানসন্ধানার্থ জীবন পাত করিয়াছে। মানবের কল্যাণহেতু রাজ্য সম্পদ ত্যাগ করিয়া দুঃখদারিদ্র্য বরণ করিয়াছে এবং দেশ-সেবায় অকাতরে বধ্যমঞ্চে আরোহণ করিয়াছে। সেইসব জীবনের বিক্ষিপ্ত শক্তি অন্য জীবন জ্ঞান ও ধৰ্ম্মে, শৌৰ্য্য ও বীৰ্য্যে পরিপুরিত করিয়াছে।” বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রকাশে বঙ্গভাষা কতই না দীন । কিন্তু মনীষীর কাছে ভাষার এ দৈন্য কোনরূপ অন্তরায় হইল না, এবং অব্যক্তে যাহ। ব্যক্ত হইল, তাহাতে সাহিত্য ও বিজ্ঞানের এক মহান মিলন সঙ্ঘটিত হইল । শ্ৰীচারুচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য [ এম-এ ] ভাঙা বেহালা তার তা’র ছিড়ে গেছে, কোণে অাছে টাঙানেr; থাক থাকৃ ভাল নয় তার ঘুম ভাঙানো । নাই স্বর স্বমধুর, মীড় তার খেলে না, আড়ানার সাড়া নাই মেলে না ক তেলেন । উঠে নাক ঝঙ্কার বারোয় কি ইমনে, চুপ করে বিমাইছে, ভাবিতেছে কি মনে ? মনে বুঝি পড়ে তার অতীতের গরিম, জাগিতে যে পারে না ক—কি নিবিড় জড়িমা । প্রাণ তার ভরপুর সাহানঙ্গ সোহাগে, ভোগবতী টেনে আনে স্ববুশরে বেহাগে, মল্লার আনে তার পথহারা পুলকে, অলকার সন্দেশ এ নীরস ভূলোকে। স্বরনদী সত্য কি সিকতায় হারালে ? দেবতা কি দারুময়ী ছবি হয়ে দাড়ালে ? না গো না ন—গুমরিয়া যে ভ্রমর কেঁদেছে, মধুভরা মধুচাকে আজি বাসা বেঁধেছে। সমরের শেষ তার আজ তার ছুটি রে, স্মরে জয়-গৌরব বসি এক কুটীরে। আজ রথ থামাইয়৷ চুলিতেছে সারথি, পূজা শেষ—করে সাধু মনে মনে আরতি । শ্ৰীকুমুদরঞ্জন মল্লিক। বি-এ ]