পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీ లీ to ہاتھ’’جمی بھلحمیہ মণ্ডল ৰা প্রধান সংগ্ৰহ করিয়া সরকারকে দিত। কিন্তু ন্থে-যে দেশী রাজ্যে বা ইংরেজ রাজ্যে তাহারা বাস করে, তাহার কোন কোন স্থানে কিছুদিন হইতে তাহাদের খাজনা বাড়িয়াছে এবং তাহ আদায় করিতেছে সরকারী লোক। ইহাতে তাহারা অসন্তুষ্ট হইয়াছে, এবং তজ্জন্ত কোথাও কোথাও খাজনা আদায় না হওয়ায় দাঙ্গাহাঙ্গামাও হইয়াছে। ফলে তাহাদের বিরুদ্ধে ফৌজ প্রেরিত হইয়াছে, এবং অনেক গ্রাম দগ্ধ ও অনেক লোক হত ও আহত হইয়াছে । তাহাদের প্রতিনিধিদের সকলকে ডাকিয়া সম্ভ করিয়া যদি বুঝাইয়া বলা হইত, যে, এখন আর সেকালের মত সন্তায় যেমন গৃহস্থালী চলে না তেমনি রাজকাৰ্য্যও চলে না, অতএব কিছু বেশী খাজনা দেওয়া চাই, এবং যদি তাহা আদায়ের ভার তাহাদের গ্রামনীদের হাতেই থাকিত, তাহ হইলে খুব সম্ভব গৃহদাহ ও মানুষবধ প্রভৃতি অপকাৰ্য্য করিতে হইত না। কিন্তু দুঃখের বিষয়, যাহাদের হাতে ক্ষমতা থাকে, তাহারা বুঝাইয়াস্বঝাইয়া কাজ করানকে দুৰ্ব্বলতা মনে করে। অকালী দলন শিখেরা পরমেশ্বরকে যে-যে নামে অভিহিত করেন, তন্মধ্যে “অকাল একটি। অকালের অর্থ, যিনি কালাতীত, কালে যাহার আদি নাই, অন্ত নাই। এই অকালের উপাসকের অকালী। অকালী শিখের নিষ্ঠাবান, সাহসী ও উৎসাহী। পঞ্জাব গবর্ণমেণ্ট বলিতেছেন, তাহার এখন বিপ্লবপ্রয়াসী হইয়াছে, এইজন্য তাহারা দলে দলে ধৃত ও দণ্ডিত হইতেছে। পুলিস্ কর্তৃক তাহাদের অনেকের উপর কোন কোন স্থলে ভীষণ অত্যাচারও হইতেছে। অকালীদিগের পক্ষের লোকেরা বলিতেছেন, যে, তাহার বাস্তবিক শিখ মন্দিরসমূহে, শিখৃ জীবনে ও শিখ সমাজে পবিত্রতা ও নিষ্ঠ পুন:-প্রতিষ্ঠা-প্রয়াসী ধৰ্ম্মসংস্কারক। জাতীয় মহামেলা জাতীয় মহামেলায় নানাবিধ দেশী জিনিষ প্রদর্শিত হইতেছে। তাহাঁর মধ্যে কাপড়ই বেশী। তম্ভিয় কলও প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, }ళ్సిన [ २२ण उांग, ऽम १७ কয়েকটি প্রদর্শিত হইয়াছে " তাহার মধ্যে, হাতের তাতে কাপড় বুনিবার জন্ত “টান!” প্রস্তুত করিবার কলটি উল্লেখযোগ্য। সাধারণতঃ এই কাজের জন্ত অনেকখানি জায়গা দরকার হয়, শারীরিক পরিশ্রম খুব হয়, এবং এই কাজ খোলা জায়গায় করিতে হয় বলিয়া বৃষ্টির ও খুব রৌদ্রের সময় ইহা করা যায় না। প্রদর্শিত কলটি ঘরের মধ্যেই অল্প জায়গায় রাখা যায়, এবং অল্প সময়ে ও অল্প পরিপ্রমে সকল ঋতুতে ইহার সাহায্যে টানা প্রস্তুত হইতে পারে। মূল্য ত্রিশ টাকা মাত্র । বগুড়ায় ক্ররমণীকান্ত ভট্টাচার্যের নিকট পাওয়া যায় । সহযোগিতাবৰ্জন ও ব্যবস্থাপক সভায় প্রবেশ সম্প্রতি আলোচনা হইতেছে, যে অসহযোগীরা ভারতীয় র্যবস্থাপক সভা, কৌন্সিল অব ষ্টেটু ও প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভাগুলিতে প্রবেশ করিতে পারেন কি না । কোন অসহযোগীই এ পর্যন্ত সরকারের সহিত সাক্ষাং বা পরোক্ষ সকল সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন করা প্রয়োজন বা সম্ভব মনে করেন নাই । র্তাহারা সরকারকে কর দিতেছেন, সরকারী ডাকঘর, টেলিগ্রাফ, রেলওয়ে, এবং সময় সময় রেজিষ্ট্ৰেশ্যন আফিঙ্গুও ব্যবহার করিতেছেন । অসহযোগ আন্দোলনের অনেক প্রসিদ্ধ নেতা আইন-ভঙ্গ অপরাধে জেলে যাইবার সময় পৰ্য্যন্তও সরকার-প্রতিষ্ঠিত মুনিসিপালিটির সভ্য ছিলেন। বহুসংখ্যক নেতা সরকারী আদালতে বিচারার্থ নীত হইবার পর তথায় প্রকারান্তরে আত্মপক্ষ সমর্থন করিয়াছেন। সুতরাং আমাদের মনে হয় যে কংগ্রেস ইচ্ছা করিলে অসঙ্গতিদোষে দুষ্ট না হইয়াও ভবিষ্যতে র্তাহাদের কোন সাধারণ বা বিশেষ অধিবেশনে ইহাও স্থির করিতে পারেন, যে, ব্যবস্থাপক সভাগুলিকেও তাহারা অতঃপর আপনাদের কাজে লাগাইবেন। কিন্তু যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত কংগ্রেস এমন কোন প্রস্তাব গ্রাহ না করিতেছেন, ততক্ষণ ইহার সভ্যদের, সমবেতভাবে কাজ করার খাতিরে, ব্যবস্থাপক সভার সভ্য মনোনীত হইবার চেষ্টা করা উচিত নয়। মহারাষ্ট্রে এবং ভারতের অন্তাত কয়েক স্থানে পূৰ্ব্ব হইতেই এমন মতাবলম্বী লোক আছেন, র্যাহারা ব্যবস্থাপক সভায়