পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ഗ്ഗ 2ി - প্রথম চিঠি - S * বধুর সঙ্গে তার প্রথম মিলন, আর তার পরেই দে এই প্রথম এসেচে প্রবাসে । চলে যখন আসে তখন বধুর লুকিয়ে-কান্নাটি ঘরের আয়নায় মধ্যে দিয়ে চকিতে ওয় চোখে পড়ল। মন বললে, “ফিরি, দুটো কথা বলে আসি।" কিন্তু সেটুকু সময় ছিল না। সে দূরে আস্চে বলে একজনের দুটি চোখ বেয়ে জল পড়ে, তার জীবনে এমন সে আর কখনো দেখেনি। পথে চপ্‌বার সময় তার কাছে পড়ন্ত রোদরে এই পৃথিবী প্রেমের বাথায় ভর হয়ে দেখা দিল । সেই অসীম ব্যথার ভাণ্ডারে তার মত একটি মানুষেরও নিমন্ত্রণ আছে সেই কথা মনে করে, বিস্ময়ে ভাব বুক ভরে উঠল। যেখানে সে কাজ করতে এসেচে সে পাহাড়। সেখানে দেবদারীর ছায়। বেয়ে লক। পপ নীরব মিনতির মত পাহাড়কে জড়িয়ে ধরে, আর ছোট ছোট ঝরণা ক'কে যেন আড়ালে আড়ালে খুজে বেড়ায় লুকিয়ে চুরিয়ে। আয়নীর মধ্যে যে ছবিটি দেখে এসেছিল আজ প্রকৃতির মধ্যে প্রবাসী সেই ছবিটিরই আভাস দেখে, নববধূর গোপন ব্যাকুলতার ছবি । २ আজ দেশ থেকে তার স্ত্রীর প্রথম চিঠি এল । লিখেচে, “তুমি কবে ফিরে আসবে ? এসে এসে, শীঘ্র এসে । তোমার দুটি পায়ে পড়ি।” এই আসা-যাওয়ার সংসারে তারও চলে যাওয়া তারও ফিরে আসার শ্বে এত দাম ছিল একথা কে জান্ত ? সেই দুটি আতুর চোখের চাউনির সামুনে সে নিজেকে দাড় করিয়ে দেপূলে, আর তার মন বিস্ময়ে ভরে উঠল। ভেীর-বেলায় উঠে চিঠিখনি নিয়ে দেবদারুর ছায়ায় সেই বাক৷ পখে সে বেড়াতে বেরল। চিঠির পরশ তার হাতে লাগে, আর কানে যেন সে শুনতে পায়, “তোমাকে না দেখতে পেয়ে আমার জগতের সমস্ত আকাশ কাল্পায় ভেসে গেল ।" মনে মনে ভাবতে লাগল, “এত কাল্পীর মূল্য কি আমার মধ্যে আছে ?” xG এমন সময় সুৰ্য্য উল্ল । পূর্বদিকের নীল পাহাড়ের শিখরে দেবদারর শিশির-ভেজ। পাতার ঝালরেন্দ্র ভিতর দিয়ে আলো ঝিলমিল করে উঠল। হঠাৎ চারিটি বিদেশিনী মেয়ে ছুই কুকুর সঙ্গে নিয়ে রাস্তার বাকের মুখে তার সামনে এসে পড়ল। কি-জানি কি ছিল তার মুখে, কিম্ব তার যুজে, কিম্ব তার চাল-চলনে –বড় মেয়ে-চুটি কৌতুকে মুখ একটুখানি বাকিয়ে চলে গেল। ছোট মেরে-ছুটি হাসি চাপূবার இன2:) চেষ্টা করলে, চাপতে পারলে না ; দুজনে দুজনকে ঠেলাঠেলি করে খিলখিল করে ছেসে ছুটে গেল । কঠিন কৌতুকের হাসিতে ঝর্ণাগুলিরও স্বর ফিরে গেল। তার হাততালি দিয়ে উঠল। প্রবাসী মাখ ষ্টেট করে চলে আর ভীৰে— “श्रांभां★ cमथाब्र भूला कि ७झे इनि ?” সেদিন রাস্তায় চল। তার জার হল না । বাসার ফিরে গেল ; একলা ঘরে বসে চিঠিপানি খুলে পড়লে, “তুমি কৰে স্থির আস্ৰ । এসে এসে, শীঘ্র এসে, তোমার দুটি পায়ে পড়ি ।” ( শান্তিনিকেতন-পঞ্জিকা, বৈশাপ ) শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান ও মঞ্জরী, ও মঞ্জরী, গামের মঞ্জরী, হৃদয় তোমার উদাস হয়ে পড়চে কি ঝরি ? হামার গান যে তোমার গন্ধে মিশে দিশে দিশে ফিরে ফিরে ফেরে গুঞ্জরি । পূর্ণিমা-চাদ তোমার শাখায় শাপীয় গন্ধ সাথে আপন আলো মাপায়, ( ঐ ) দখিন বাতাস গন্ধে পাগল 灣 ভাঙল আগল ঘিরে নিবে ফিরে সঞ্চfর ॥ শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৮শে ফাল্গুন, ১৩২৮ । আজ তোমার তোমার ঘরের ধারা ঝরে যেথায় তারি পারে ow দেবে কি গে৷ বাস আমায় _ একটি ধারে । আমি শুনব ধ্বনি কানে, আমি ভাব ধ্বনি প্রাণে, সেই ধ্বনিতে চিত্তবীণায় - তার বাধিব বারে বারে ॥ নীরব বেল৷ সেই তোমারি স্বরে স্বরে ফুলের ভিতর মধুর মত উঠলে পুরে। দিন ফুরাবে বৰে রাত্রি আঁধার হবে, হৃদয়ে মোর গানের 芭 সারে ( শান্তিনিকেতন-পত্রিক, বৈশাখ ) শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফাঙ্কণ-পূর্ণিমা, ১৩২৮ । অামার জামার যুপন -