পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وونجي

  • ांथब्र श्रेटङ मांधिबा ७क चचांडांबिक शब्दब्रहे ८न বলিল,--আচ্ছ, ওই শালবনটা কতদূর ? —মাইল তিনেক হবে বোধ হয়।

-আচ্ছ, ওখানে গেলে চায়ের আগে ফিরে আসা शांग्र ना ? —তা যায়, কিন্তু আপনার জুতোটা যে রকম শিশিরে ভিজে গেছে,— - —ও, চলুন না, ওই শালবনটায় যেতে এত ইচ্ছে করে । —চলুন—কিন্তু আসবার সময় রোদ লাগবে। —লাগুক, কিছু হবে না । কুইজনে আবার নীরবে চলিল। মাঝে মাঝে দু'চারিটি অতি তুচ্ছ সামান্ত কথাবার্তা ; কিন্তু এ নীরবতা যে কি ভাষাভরা তাহা কে বলিবে। অবষ্ঠ শালবন পৰ্যন্ত যাওয়া হইল না, কিছুদূরে এক 'রক্তপদ্মভরা দিঘি খুরিয়া তাহারা বাড়ী ফিরিল। মাধবীর খুব ইচ্ছা হইয়াছিল কয়েকটি পদ্ম লইয়া আসে, কয়েকটি পদ্ম তটের অতিনিকটেই ফুটিয়াছিল ; কিন্তু রজতকে তুলিয়া আনিতে বলা দূরে থাকুক, সে পদ্মগুলির উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করিতে পারিল না, পাছে রজত তাহাকে তুলিয়া দেয়। দুইজনে যখন বাড়ী ফিরিল, তখন ঘাসে ঘাসে শিশির শুকাইয়া গিয়াছে, পাথরগুলি তাতিয়া উঠিয়াছে, কিন্তু তাহদের চোখে আকাশের আলো তখনও পদ্মরাগে রঙীন । সেদিন ছবি আঁকার সময় মাধবী বার বার চঞ্চল হইয়া উঠিতে লাগিল, আঁকা সম্বন্ধে তাহার অনেক প্রশ্ন করিবার ছিল, সমস্ত সকাল সেগুলি ভাবিয়া মনে মনে ঠিক করিয়াছিল, কিন্তু রজতের সম্মুখে বসিয়া সব কথা ওলাইয়া গেল, প্রশ্নগুলি ভুলিয়া গেল, মুখের কথাও আচৰাইতে লাগিল । আর রজতের কণ্ঠও মাঝে মাঝে কাপিয়া উঠিতেছিল, বিশেষতঃ যখন রমলা পাশের ঘরে কাজী লাহেবের সঙ্গে গল্প করিতে করিতে হাসির উঠিতেছিল। সেই হাসির স্বরে রজতের তুলির অতর্কিত জাঘাত খাইয়া মাধবীর হাতের সোনার চুড়ি হুইবার সুমধুর স্বরে বাজিয়া উঠিল। সে দিন দুইজনে বক্ষণ প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩২৯ [ २२° उग, १म श्रेस, शांछिल - वहाँ, किरू इचि चॅांक दिए*ष झिरे অগ্রসর इहेल नl । ( ; e ) পূর্ণিমার রাত্রি । নীলাকাশের তট ছাপাইয়া জ্যোৎস্না चूंश्श्रजब्र अञ्चाख इडेिशांब्रांब्र भङ कब्रिह कब्रिब्र পড়িতেছে। এই চন্দ্রালোক-উম্বেলিত আকুল রাজির দিকে চাহিয়া রজত ঘরে থাকিতে পারিল না, পল্পদিঘি তাহাকে যেন কোন যাদুমন্ত্রে টানিতে লাগিল। ধীরে সে বঁাশী লইয়া চুরুট টানিতে টানিতে সম্মুখের প্রান্তর পার হইয়া দিঘির দিকে চলিল । দিঘির তীরে গিয়া রজত চুপ করিয়া বসিল। রক্তের মত রাঙ্গা পদ্মগুলি লাল মণির মত জলিতেছে, তাহার চারিদিকে জল গলিত হীরকম্রোতের মত টলমল করিতেছে, বাতাসে কূলের ঝোপগুলি জুলিয়া জুলিয়া উঠিতেছে, শালবনে বাতাস আনন্দ-বাণী বাজাইতেছে, পাহাড়গুলি স্বপ্নমায়ার মত দাড়াইয়া। ধীরে সে বঁাশী বাজাইতে আরম্ভ করিল, জ্যোৎস্না-আকুল রাত্রে বঁাশীর স্বর কোন জন্মজন্মান্তরের অনন্ত প্রেম-বেদনার মত কঁাপিয়া কঁাপিয়া উঠিতে লাগিল ; কত লক্ষ যৌবনের কত লক্ষ আশা, কে তাহাকে ভাষা দিবে ! বঁাশী যখন থামিল, প্রকৃতির স্তব্ধতা অতি অপূৰ্ব্ব বোধ হইল। সহসা সেই স্তব্ধতার বুক হইতে উৎসের মত কাহার হাসি ও করতালির ধ্বনি উৎসারিত হইয় উঠিল, যেন একটা বড় কালে পাথরকে ভাঙিয়া ছুড়িয়া কে চারিদিকে টুকরো টুকরো হীর মণি মাণিক্য ছড়াইয় দিল । অতি আশ্চৰ্য্য হইয়া রজত চারিদিকে চাহিয়া দেখিল, এখানে কে হাততালি দিল ? ক্ষণিকের মধ্যে যে তরুণীমূর্তি জ্যোংস্কার মত হাসিয়া তাহার সম্মুখে দাড়াইল, নিমেষের মধ্যে তাহাঁকে সে চিনিল,—সে রমলা। আর একটু দূরে চাহিয়া দেখিল, কাজীসাহেবের শান্তমূৰ্ত্তি ; এত নিকটে তাহার, অথচ সে লক্ষ্যই করে নাই। - পূর্ণিমা-নিশীথে বিনিদ্র কুহুর মত রমলা বলিয়া উঠিল, —ও, কি সুন্দর রাত, আর একটু বাজান