পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবার্ট গীর্সিয়া । রবার্টের সঙ্গে অনেক বয়স্ক পরীক্ষার্থী ছিল। তাহার সাত বছরের বালককে দেখিয়া হাসিয়াছিল, এবং পরে পরীক্ষায় ফেল করিয়া নিজের কাদিয়াছিল। দুইজন বেতারের কলকজাওয়ালা রবার্টকে বেতারের অনেক কলকজা উপহার দিয়াছেন। বালক কোন পাকা মিন্ত্রির সাহায্য না লইয়া নিজ হাতে সেই-সব কল বসাইবে । হেমন্ত কাজুনে পুতুল বাজারে সচরাচর যে-সমস্ত পুতুল দেখিতে পাওয়া যায় তাহাদের মুখে সব সময় একটুখানি সিদ্বরে হাসি লাগিয়াই থাকে। খুকী-মায়েদের ইহাতে একটু অস্ববিধ হয়। দুষ্টামি করিয়া মার খাইয়াও পুতুল যখন দিব্যি মুখ ভরিয়া হাসিতে থাকে, তখন সেটা কেমন যেন খাপছাড়া লাগে । তাই এবার এক রকমের পুতুল তৈরি হইয়াছে, তার পিঠে একটু চাপ দিলেই তার দুচোখ বাহিয়া টলটল করিয়া জল পড়িতে থাকে। পুতুলটির পিঠের কাছে একটি ছোট রবারের থলেতে জল ভর। থাকে, সেইখানে চাপ পড়িলেই সেই জল ছুটি নল বাহির কান্ধনে পুতুল। চোখের কোণে আসিয়া উপস্থিত হয়। এই থলে, নল, প্রভৃতি পোষাকের নীচে থাকে বলিয়া বাহির হইতে দেখিয়া মনে হয়, মার খাইয়া পুতুল নিজে হইতেই কাদিতেছে। আমাদের দেশের হাটে বাজারে এই পুতুল এখনও পাওয়া যায় বলিয়া আমরা শুনি নাই। তাই প্রবাসীর অল্পবয়স্ক পাঠকপাঠিকারা এই কাজুনে পুতুলের নামে নিজের কান্না স্বরু না করিলেই আমরা মুখী হইব । У 5 কাকাতুয়-পাখী সাত-রাজপুত্র এক রাজরাণী । আগে ত তার ছেলেপিলেই হয় না, এখন হলো—একে একে জন্মালো সাত-সাতটি ছেলে । রাণীর কিন্তু মনের সাধ—‘একটি মেয়ে হয় তো বেশ হয়!— গৌরীদান ক’রে টুকটুকে ছোট্ট জামাইট নিয়ে আমোদ আহলাদ করি।" সাত ছেলে পাওয়ার পর রাণী তাই নিত্য ব্ৰত-পূজা করেন, আর দেবতার স্বয়ারে কামনা জানান—ঠাকুর, অামায় ফুটফুটে একটি মেয়ে शंe !' কিছুদিন পরে ঠাকুর-দেবতার দয়া হলো –কোথ থেকে ইয়া-লম্বা-জটা হাটু-সমান-দাড়ি নিয়ে এক ফকির এসে রাজবাড়ীর স্বয়ারে হাজির। রাণী চুপি-চুপি দাসীকে পাঠিয়ে ফকিরকে অন্দর-মহলে ডেকে জানালেন। রাজ রাণীর মনের সাধ জেনে ফকির একটা গাল টুকটুকে ফুল বের করে বললেন—‘মা, সারাদিন উপোরী থেকে