পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্য ] "میه-ایسه میب سیاه میه পূর্ণিমার রাতে ভেজা চুলে গোপনে এ ফুলটি বেঁটে খেয়ে —কোলে মেয়ে পাবে ; কিন্তু সাবধান, এক ফোটাও যেন মাটীতে না পড়ে —পড়লে, মেয়ে কোলে আসার সঙ্গে সঙ্গে জাগের ফল আকাশে উড়ে যাবে।'...আগের ফল তো সাতটি ছেলে,—মানুষ আবার আকাশে উড়ে যাবে কি ?—রাণী ফকিরের কথা ঠিক বুঝতে পারলেন না; তৰু জুহাত পেতে ফুলটি নিয়ে মহাযত্নে রেখে দিলেন। সারাদিন উপোবী থেকে পূর্ণিমার রাতে রাজরাণী নেয়ে এলেন ; তারপর ভেজা চুলে আপনার হাতে ফুলটি বেঁটে মুখে দিতে যাচ্ছেন,—হটাৎ ঝনাৎ করে’ একশো বাতির ঝাড়টা মেজেয় পড়ে ভেঙ্গে গেল। হটাং চম্কে উঠতে বাট ফুলের রসভৱ| সোনার ঝিনুকখানি রাণীর হাত থেকে ছিটকে পড়ল। এ কি হ’ল ?—ভেবে রাণী তাড়াতাড়ি টেছে পুছে কিছুকের রসটুকু তুলে মুখে দিলেন ; কিন্তু মাৰ্ব্বেলপাথরের মেঝের জোড়ের এক ফাকে সাত ফোটা রস যে নীচে গড়িয়ে গেছে তা তার নজরে পড়ল না । 鬱 米 来 嶺 দশমাস দশদিন পরে রাণীর সত্যি-সত্যিঃ একটি মেয়ে হলো—মেয়ে না ত যেন ক্ষীরের পুতুলটি ! মা মেয়েকে কোলে তুলেই চাপাফুলের মত তুলতুলে গাল দুখানিতে দুটো চুমে দিলেন। এ দিকে—সে-ই যে সাত ফোটা রস মাটীতে পড়েছিল তারই ফলে—বোনের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে সাত ভাই সাত রাজপুত্ৰ সাতটি কাকাতুয়া পার্থী হয়ে উড়ে গেল। সাত-সাত রাজপুত্ৰ—কোলে-কাথের ছেলে তো নয় .—কোথায় গেল সব ?—কেউই খুজে পায় না। রাণী শুনে ভুকুরে কেঁদে উঠলেন। ফকিরের কথা তার মনে হ’লো—হায় হায়, আগে বুঝলে কি ছেলে হারাতে মেয়ে চান!..কিন্তু এ যে র্তার গোপন কথা,- মুখ ফুটে বলতেও পারেন না, বুকে চেপে থাকৃতেও পারেন না। 肇 禅 碑 豪 রাজকতা সাত আট বছরের হয়েছে। মেয়েকে জাদর করতে গেলেই রাণীর ছেলেদের কথা মনে পড়ে, আবার ধাকে পেতে সাত-সাতটি সোনার ছেলে খুইয়েছেন তাকে ছেলেদের পাততাড়ি—কাকাতুয়া-পার্থী সাত-রাজপুত্র 8 ఏసి আদর না করেও কি থাকা যায় -এ সোনার টাদের দিকে চেয়েই তবু রাজরাণী বুকের জাগুন চেপে রাখেন। বড় হয়ে রাজকন্তু দাস-দাসীর মুখে শোনে—তার যে সাতটি ভাই ছিল ; তারা তার জন্মের দিন যে কোথায় গেছে কেউ খুঁজে পায়নি। শুনে রাজকন্যার ভাইদের খবর জানতে ভারী সাধ ; তাই প্রত্যহই সে রাণীকে বলে —‘মা, আমার নাকি সাত দাদা ছিল, তার কোথায় গেছে বলনা ? মেয়ের মুখে এ কথা শুনে রাণী কেঁদেকেটে আরো অস্থির হন। 来 米 弹 粥 রাজপুত্রেরা কাকাতুয়া-পাণী হয়ে ফুক্ত ফুক্ত করে ঘরে বাইরে উড়তে লাগল—কেউ যদি চেনে ! কিন্তু রাজবাড়ীতে রঙ-বেরঙের কত পাখীরই মেল—কাকাछूबाब निष्क उीकांग्र ८क ! उिन निन ख्नि ब्राङ उरफ़ উড়ে ঘুরে ঘুরেও যখন তারা বাড়ীতে ঠাই পেলে না, তখন ছি—ত্ত্ব ছি—ন্তু ক’রে চ্যাচাতে ট্যাচাতে সাত ভাই আকাশে উধাও হ'লো । 臺 罹 来源 粥 মনের দুঃখে কাকাতুয়া-পার্থী সাত-রাজপুত্র গহন বনে বাসা নিয়েছে। এগার মাস উনত্রিশ দিন বনে-বনেই তার ঘুরে বেড়ায় ; শ্রাবণ-মাসে পূর্ণিমার রাতে মেঘের ফাকে গোল চাদটি দেখে কদম-ফুলের কথা মনে পড়ে ; আর তখনই মনে হয় তাদের মায়ের ঘরের জানলার গোড়ায় যে কদম-গাছটা আছে তাতে তো এমন হাজার হাজার চাদ-কদম ফুটে রয়েছে! তাই বছরের এই একটা দিন কিসের টানে তার রাজ্যে ফিরে যায়। গহন বন থেকে রাজপুরীতে পৌছতে রাত দুপুর হয় ; রাস্ত্ৰপুত্রের নিগুতরাতে কদমগাছের ফোট-ফুলের পাশে মূখ লুকিয়ে বসে থাকে ; আর জানলার ফাকে সারারাত ধ’রে মায়ের মুখখানি আর ঘুমন্ত বোনটিকে দেখে দেখে —ভোরের চাদ না ডুতে আবার বাসায় ছোটে। শ্রাবণ মাসের টাদের আলো—একবার মেঘে ঢাকা পড়ে, ফের মেঘের ফাকে উকি মেরে লতা-পাতার জোছনা ছড়িয়ে দেয় ; আঁধার-আলোর এ ফিকে রঙে ফোট কদম-ফুল দেখে বোধ হয় যেন আকাশের ছোরা চার নীচে