পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যn ] হয় ? আমি ভাইদের মানুষ না করে ঘরে ফিরব না— তাতে খালি সাতমাস কথা না কয়ে কেন যা করতে হয় সবই করব।—এই না ভেবে রাজকন্যা ভাইদের সাথে গহন বনেই রয়ে গেল । কাকাতুয়া-পার্থী রাজপুত্রর ঠোঁটে ঠোঁটে খড়কুটা ব’য়ে বোনের জন্য এক - কুঁড়ে তৈরী করলে। এক ভাই ফল আনে, এক ভাই মূল আনে, এক ভাই নরম নরম পার্থীর পালকে শেজ পেতে দেয়—রাজকস্তার খাওয়া-শোওয়ার কষ্ট নেই। দুবেলা চরার পর ঘরে ফিরবার সময় সবাই এক-একটা বন-কাপাসের ফল ঠোটে কামড়ে নিয়ে আসে-রাজকন্যা কাপাসের ভূলোয় স্থতো কেটে গালচে বোনে। সাত মাসের ছয়মাস যায় রাজকন্যা হাও করে না হও করে না, মুখ বুজে একমনে গালচেই বুনছে। এক দিন কাকাতুয়া-পার্থী রাজপুত্রর বিকেল বেলা চরতে গেছে, রাজকন্যা একৃলা ঘরের দরজায় বসে স্থত কাটুচে, হঠাৎ সে রাজ্যের রাজার ছেলে মৃগয়ায় এসে গহন বনে উপস্থিত। গহন বনে এ কুঁড়ে কিসের?--রাজার ছেলে এগিয়ে দেখেন দুয়ারে এক পরম স্বন্দরী মেয়ে।...রাজপুত্র এ কথা সে কথা নানান কথা স্বধান, রাজকন্যার মুখে কথা নেই—সে আপন মনে স্থতাই কাটে আর গালচে বোনে। রাজার ছেলে আর বেশী কিছু না ব’লে কয়ে রাজকন্যাকে নিজের পাশে ঘোড়ায় উঠিয়ে রাজ্যে ফিরলেন। মায়ের কোল ছেড়ে রাজকন্যা ভাইদের জন্যে বনবাস নিয়েছে—সে ভাইরাই বা কোথায় আর কেইবা কোথায়, তাকে নিয়ে চলুল—মুধাবারও উপায় নেই— রাজকন্যা কেঁদেই অস্থির। সাতমাসের মধ্যে গালচে বুনে বুটি তোলা চাই, তাই সে র্কাতে কঁাদতেও গালচে তৈরীই কবৃচে, কিন্তু চোখের জলে হাত ভিজে আঙ্গুল যে আর চলে না ! রাজার ছেলে আদর ক’রে রাজকন্যাকে রাজপুরীতে তুললেন । এমন স্বন্দরী মেয়ে ! --রাজার ছেলের মনের সাধু একেই, রাজরাণী করেন। কিন্তু রাণী মা চটেই আগুন—কোন বন-জঙ্গলের মেয়ে, তার উপর হাবা ছেলেদের পাত্তাড়ি—কাকাতুয়া-পার্থী সাত-রাজপুত্র ് "ുസ്സ്.സ്സസ് സ്പേം 8&S اهميه اهميه*ويمر না বোবা, এমন বৌ হ’লে রাজপাট মানাবে কেন । রাজপুত্রের মন কিন্তু মায়ের এ কথায় প্রবোধ মানে না । 臺 臺 楊 楊 গালচে বোন হয়ে গেছে, এখন বুটি তোলা চাই ; কিন্তু স্বতে যে সব ফুরিয়ে গেল ! সাত মাসও তো যায় যায় ;-রাজধানীতে বনকাপাস কোথায় পাই -রাজকন্যা ছুদিন ধরে ভাবৃচে। উপায় না পেয়ে তিনদিনের দিন নিশুত রাতে কাপাসের খোজে চুপিচুপি রাজপুরী হতে বেকুল। রাজকল্প। এদিকে যায় দেখে দালান কোঠা, ও-দিকে যায় দেখে দীঘি পুকুর—বনকাপাস তো কোথাও মেলে না। হাটুতে হাটুতে শেষে সে নদীর পাড়ে শ্বশানে গিয়ে উপস্থিত। শ্মশানের নীচে বনকাপাসের মস্ত বন ; রাজকন্ত আঁচল ভ'রে কাপাসের ফল কুড়োতে লাগল। এই মেয়েই ছেলেকে পাগল করেছে—এই না ভেবে, একেই রাণীমা রাজকন্যার উপর চটা, তার উপর যখন টের পেলেন পুরাতে একূল লে কোথায় বেরিয়ে যায়, তখুনি তার পেছন পেছন দুজন দাসীকে পাঠিয়ে হুকুম দিলেন “কি করে মেয়েটা, দেখা চাই । রাজকন্যা শ্মশানে ঢুকে কাপাস তুলতে নীচে নামূবে, দাসীরা দূর হতে দেখেই—‘ওমা ’ বলে চেচিয়ে দে চুট ; ইাপাতে ইাপাতে রাজপুরীতে ফিরে খবর দিল—‘রাজপুত্র একটা ডাইনী রাজ্যে এনেচেন, সে শ্মশানে গিয়ে মড়া খায় ।” রাণীমা হুকুম দিলেন—“ডাইনীটাকে বেঁধে গারদে রাখ, জাস্ত পুড়িয়ে মারবি।’ হৈ চৈ করে লোকজন গিয়ে রাজকন্যাকে বেঁধে আনল। তিনদিন পরে রাজকন্যার আয়ু ফুরোবে। সাত মাসের তো এই তিনটি দিনই বাকি । ভাইদের সাথে দেখা নেই দেখা হবে কি না কে জানে ? তবু খাওয়া নেই শোওয়া নেই-রাজকন্যা গালচের উপর বুটিই তুলচে ; আর চোখের জলে বুক ভাসিয়ে প্রার্থনা কবৃচে–‘দয়াল ঠাকুর, আমার মরার আগে ভাইদের একবার খেন কাছে পাই । চারদিনের দিনে রাজকন্যাকে মশানে নিয়ে মশালচীর আগুন ধরাচ্ছে, বুটতোলা গালচে হাতে রাজকন্ত।