পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89e নারীর প্রতি নিষ্ঠুরত উপরে একজন ইংরেজ লেখকের ভারতীয় সমাজের भिथा। मिमांब्र नभूनां निजांभ दd ; क्रूि उ बलिग्न हेश বলা চলে না, যে, আমাদের দেশে নিষ্ঠুরতা নাই । রাজপুতদের মধ্যে আগে খুব কন্যাহত্যা প্রচলিত ছিল। এখনও একেবারে নির্মুল হইয়াছে কি না, বলা যায় না। তা ছাড়া, শিশুদের প্রতি নির্দয় ব্যবহার আছে, এবং বালিকা ও নারীদের প্রতি তদপেক্ষাও নিষ্ঠুর (কখন কখন পৈশাচিক ) ব্যবহার আছে। আমরা আগে আগে দুই-একবার সরকারী রিপোর্ট হইতে দেখাইয়াছি, যে, আমাদের দেশে শতকরা যত স্ত্রীলোক অস্মিহত্যা করে, আর কোথাও তত করে না। ইহার কারণ নিশ্চয়ই স্ত্রীলোকদের দুঃখ ও দুরবস্থা। কিন্তু সেই কারণ দূর করিবার দিকে দৃষ্টি কই ? তাহা না করিয়া আমরা করি কি, না, পাশ্চাত্য দেশের নিন্দা রটনা করিতে থাকি, তাহাদের দেশের কুৎসিত বিবাহচ্ছেদ মোকদ্দমার বৃত্তান্ত কাগজে উদ্ধৃত করিতে থাকি। আচ্ছা, ধরা যাক প্রমাণ হইয়া গিয়াছে, যে, পাশ্চাত্য সমাজ নারকীয়। তাহা হইলেই কি ইহাও প্রমাণ হইয়া যাইবে, যে, আমাদের দেশের অবস্থা স্বৰ্গীয় ? আমাদের দেশের মেয়েরা কেন আত্মহত্যা করে, তাহার কারণ স্থির হইল এই, যে, উপন্যাস ও নাটক পড়িলে এই প্রকার হয়। কাল্পনিক গল্প পড়িলে যদি আত্মহত্যা করিবার প্রবৃত্তি বাড়িত, তাহা হইলে আমাদের দেশের পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা মেয়েদের চেয়ে শতকরা অনেক বেশী হইত ; কারণ নারী অপেক্ষ লিখনপঠনক্ষম ও উপন্যাসপাঠক পুরুষের সংখ্যা আমাদের দেশে অনেকগুণ বেশী। পাশ্চাত্যদেশ-সকলে আমাদের দেশের চেয়ে অনেক বেশী উপন্যাস ও গল্প প্রকাশিত ও পঠিত হয়। তথায় নারীদের মধ্যে শিক্ষার ও উপন্যাস পাঠের চলন এদেশের চেয়ে ঢের বেশী। অথচ এদেশের মত এত বেশী নারী তথায় আত্মহত্যা করে না । কেহ হয়ত বা বলিবেন, ঘরে বসিয়া বসিয়া উপন্যাস পড়িয়া মাথা খারাপ হয়, খোলা বাতাসে চলিয়া ফিরিয়া অঙ্গচালনা না করায় মস্তিষ্কের বিকৃতি জন্মে। যদি তাই ॐचरांगॆी-द्धषिां, లిసిన AASAASAASAA AAAASAAAAMAMAeSAS AeeS eMSM MS MSMS MeS eMSMAeiMAe eMAAA SAAAAA SAAAAA AAAA SAAAM AeeAeSMSSAAAAS SAAAAAA S AAA S AAAAA SAAAAAS AAAAA AAAAMSeeAM MA g S gA AAAA AAAA AAAA MM MA S AeS AAAAA AAAA AAAAS MMAee AAAA AAAA AAAAMAeMMS [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড হয়, তাহা হইলে খোলা বাতাসে নড়িবার-চড়িবার বন্দোবস্ত করুন না কেন ? আর-একটি কথা শোনা গিয়াছিল, যে, আমাদের দেশে যে-সব নারী আত্মহত্যা করিয়াছে, তাহাদের কাহারো কাহারো শবব্যবচ্ছেদে দেখা গিয়াছে, যে, তাহাদের জরায়ুর পীড়া ছিল.। ইহা সত্য হইলে, অনুসন্ধান হওয়া উচিত, যে, কেন এদেশেই নারীদের এত জরায়ুর ব্যাধি হয় । আমাদের দোষে বাংলা দেশ অভিশপ্ত, তাহাতে সন্দেহ নাই। স্নেহলতা কেরোসীন তেলে পরণের শাড়ী ভিজাইয় তাহাতে আগুন লাগাইয়া মরিল ; তাহার মড়ক বাংলা দেশেই বিস্তৃত হইল ও আবদ্ধ রহিল। অন্যত্র দুইএকজন নারী মাত্র এইভাবে আত্মহত্যা করিল। বঙ্গের এই কুপ্রাধান্তের কারণ কি ? r বঙ্গে শ্বশুরবাড়ীতে বধুর উপর অত্যাচার কি কম হয় ? দু-এক স্থলে ব্যাপার আদালত পৰ্য্যন্ত গড়ায় বলিয়া জানা পড়ে ; কিন্তু অজানা তার চেয়ে অনেক বেশী থাকিয়া যায়। আনন্দময়ী নামে এক বালিকাকে তাহার স্বামী শাশুড়ী ও ননদ দুহাত লম্বা চৌড় ও উচু ঘরে দীর্ঘকাল স্বাবদ্ধ রাখিয়া তপ্ত লোহার ছেক দিয়া মৃতপ্রায় করিয়া ফেলিয়াছিল, যে জঘন্ত উদ্দেশ্যে, তাহা খবরের কাগজে বাহির হইয়াছে। এই উদ্দেশ্য অন্যত্র বিদ্যমান থাকে না, কিন্তু ছেকা দেওয়াটা মোটেই বিরল নহে। প্রহার, অনাহার, গঞ্জনা, গালাগালি-ত আছেই। আমাদের লজ্জা রাখিবার স্থান কোথায় ? একেই ত সামাজিক কুপ্রথা ও দারিদ্র্যের জন্য কন্যার অনাদর অপমান বহু পিতৃগৃহে হয়, তদুপরি মেয়ে যদি পরের মেয়ে হইল, যদি সে পুত্রবধুরূপে অপরের ঘরে গেল, অমনি ধরিয়া লইতে হইবে, যে, তাহার হৃদয় হৃদয় নয়, তাহার শরীর শরীর নয়। সে সৰ্ব্বংসহ পাবাণে গড়া। পাশ্চাতা সমাজের যতই দোষ থাক, সেখানে নারী অত্যাচরিত হইলে আদালতে স্বয়ং প্রতিকারপ্রার্থী হইবার সাহস শক্তি ও স্বযোগ তাহার আছে। এদেশে কত নারী নরকযন্ত্রণ ভোগ করে ; সমস্ত্ৰ,তাহাকে রক্ষা করে না, আদালত পৰ্য্যন্ত তাহার অফুট ক্ৰন্দনধ্বনি