পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b-b S SAe eMAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAAS AAAAA AAAA SAAAAA SAAAAA SAAAAAS AA SAASAASSAAAAA AAAA AAAASAAAA তাহাজের সম্মুখে দাড়াইয়া বলিল,—আপনাকে সাহেব ডাকছেন উপরে। রজত ফিরিয়া বলিল,-আমাকে ? মনিয়া যতীনের দিকে চাহিয়া বলিল,- না, আপনাকে । রজত বিক্ষিত হইল না, ধীরে বলিল,-- আচ্ছ, যতীন যাও । যতীন চলিয়া গেল। সম্মুখে শালবনের মাথার উপর দিয়া চন্দ্র উঠতেছে তাহার দিকে চাহিয়া চুপ করিয়া রজত বসিয়া রহিল। রাত্রে খাবারের টেবিলে সবাই প্রায় চুপচাপ কাটাইল । রজত এত কম থাইল যে রমলাও আশ্চৰ্য্য হইল। যতীন শুধু মাঝে মাঝে রায়ার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করিয়া, শিল্পীর আহারের সহিত ইঞ্জিনিয়ারের আহারের তুলনা করিয়া টেবিল সর্গরম রাখিয়াছিল। রমলার প্রসন্ন মুখের দিকে মাঝে মাঝে তাহার চোখ পড়িতেছিল বটে কিন্তু মাধবীর স্থির দামিনীর মত পরিপূর্ণ সৌন্দর্ঘ্যের প্রতি তাহার মুখ নয়ন বার বার স্বাকৃষ্ট হইতেছিল। রজত শুধু একবার পোলাওএর প্লেট হইতে রমলার মুখের দিকে চাহিয়াছিল। দেখিল তাহার মুখে চোখে আজ যেন আনন্দের বান ডাকিয়া আসিয়াছে। রজত ঠিক দেখিয়াছিল, কিন্তু ভুল বুঝিল। রমলার আজিকার আনন্দ শুধু যতীনকে খাওয়ানর আনন্দ নয়, নিজের হাতে রাধিয়া পরিবেষণ করিয়া যে কোন পুরুষকে খাওয়াইতে প্রতি নারীর বুকের যে সেবিকা মা পরম স্থখ পান-এ সেই আনন্দ । খাওয়া শেষ হইবামাত্র যতীন প্রত্যেকটি রান্নার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করিয়া, খাবার ঘরেই সকলের নিকট বিদায় লইয়া অতি ব্যস্তভাবে বাহির হইয়া গেল। রজত ধীরে নিজের ঘরে গিয়া ঢুকিল ; ধরে থাকিতে ভাল লাগিল না। বারান্দা ঘুরিতে ঘুরিতে ড্রয়িংরুমের সাম্নে আসিয়া পড়িল, বারান্সার ধারে সাজানো ফুলগাছের টবগুলির পাশে এক কোণে চেয়ার টানিয়া লইয়া বসিল । দেখিল, যতীনের মোটরকারটা রাজপথের গাছের সারির মধ্য দিয়া আলেয়ার আলোর মত দূর হইতে প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২৯ [ ২২শ ভাগ, ১ম খণ্ড দূরান্তরে সরিয়া যাইতেছে। সহসা পূৰ্ব্বদিকের গাছের সারির দিকে চোখ গেল। দেখিল, একটি ছায়া-মুক্তি অতি দ্রুতবেগে পামগাছগুলির আড়ালে আড়ালে উঠিয়া আসিতেছে। মূৰ্ত্তিটি একটু নিকটে আসিলে, বুঝিল, নারীমূৰ্ত্তি। মানজ্যোৎস্নায় গাছের ছায়ার অন্ধকারে তাহাকে স্পষ্ট দেখিতে পাইল না। শুধু শাড়ীর ঝলমলানি, সাপের ফণার মত উদ্যত বেণী, আর হাতে একখানি সাদা কাগজ । ব্যথিত ক্ষুব্ধ স্বরে আপন মনে, 0 the flirt, coquette ! বলিয়া, হাতের সিগারেটটা টবে ছুড়িয়া ফেলিয়। সে সেদিক হইতে মুখ ফিরাইয়া লইল। ঈর্ষাদ্বশ্বময় চোখে কেহ ঠিক দেখে না, রজতও ভুল দেখিল। রাত্রি গভীর হইয়াছে। রমলা বহুক্ষণ নিজের ঘরে চঞ্চল হইয়া ঘুরিল। চেয়ারে বসিয়া বিছানায় उद्देश आंग्ननांग्न भूर्भ cमशिघ्नां छांनांगांग्र भू१ बॉफ़ाईब्रां এটা ওটা নাড়িয়া দু’একটা গজলের স্বর গাহিয়৷ কি আনন্সে উরসিত হইয়া সে আপন ঘর হইতে বাহির হইল। পাশের ঘরে গিয়া মাধবীর সহিত গল্প করিবার বৃথা চেষ্টা করিয়া, নীচে নামিয়া আসিল। ড্রয়িংক্রম মহারহস্যময় অন্ধকারে ভরা, শুধু পিয়ানোর কাছটা জ্যোংস্কার আলোয় একটু উজ্জল হইয়াছে। সে ধীরে গিয়া পিয়ানো খুলিয়া বাজাইতে বলিল। এ যেন নিশীথ রাতের অন্ধকারে ধীরে ধীরে অসিয়া প্রিয়ের কানে চুপে চুপে কি কথা বলিতেছে। বড় মধুর, বড় করুণ সে স্বর, অনন্তকালের বিরহবেদনায় ভরা। রজত চেয়ারে সোজা হইয়া বসিল, উঠিয়া যাইতে চাহিলেও পারিল না, তাহার চারিদিকে স্বরের স্বপ্নজাল স্বষ্টি হইল । যখন তাহার চমক ভাঙ্গিল, দেখিল কাজীসাহেব তাহার পাশে আসিয়া বসিয়াছেন। সঙ্গীত কখন থামিয়া গিয়াছে, পিয়ানো-বাদিনী কখন চলিয়া গিয়াছে তাহ তাহার খেয়ালই হয় নাই। কাজীসাহেবের শ্মশ্রীমণ্ডিত স্নিগ্ধ মুখের দিকে চাহিল। এ লালসার স্বধা-হলাহলময় নদী পার হইয়া ভোগবতীর শেষে আসিয়া পৌঁছি য়াছে, অতৃপ্ত অবসর এই প্রৌঢ় স্বরশিল্পীর পাশে বসিয়া