পাতা:প্রবাসী (দ্বাবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারস্যের নারী পারস্ত দেশে যখন কোন সম্পন্ন-গৃহস্থের ঘরে পুরুষসন্তান জন্ম গ্রহণ করে, গৃহে আনন্মের সাড়া পড়িং যায়। কত রকমেই যে তাহার আগমন-বাৰ্ত্তা লোককে खांनान झग्न, डांशंब्र नश्थT नॉड़े । किरू नखांन शनि शैौ হয়, তবে আনন্দেব পরিবর্ভে নৈরাপ্ত এবং গভীর দুঃখ গৃহবাসীদের ছাইয় ফেলে। পুরুষ-সপ্তানের আগমনে বন্ধু-বান্ধব,প্লাড়া-প্রতিবেশী ভোজ পায়, স্ত্রী-সন্তান জন্ম লইলে তাহারা অনেককাল পৰ্য্যন্ত সে খবর জানিতেও পারে না । সন্তানের জন্ম হইবার পূৰ্ব্বে জননীর ঘরে দুটি দোলন থাকে, একটি চমৎকার গদিওয়ালা, নানা-রকমের রংবেরঙের ঝালর দেওয়া এবং আর-একটি নেহাৎ কমদামী—কোন-রকমে-কাজ-চলা গোছের । দুটি ভাল পোষাক থাকে। একটি রেশম সাটিন বা অন্য কোন वहम्ना दरजब ?उब्राज्ञैौ, अछछि विगैब cनान्नाद्रि भडहे যা তা। ভাল দোলন এবং ভাল পোষাকটি পুরুষ-সন্তানের জন্য এবং খারাপ ছুটি কন্যা-সন্তানের। সন্তান জন্ম লইলে পর, ধাত্রী তাহাকে বা হাতে ধরিয়া তাহার সর্বাঙ্গে জল ছড়াইয়া দেয়। তারপর তাহাকে বেশ করিয়া ধুইয়া পুছিয়া পোষাক পরানো হয়। পোষাক পরা হইলে একটা চৌকা বালিশে শিশু বাধা থাকে। কেবল হাত আর মাথা খোলা অবস্থায় থাকে। শিশু যদি বড় বেশী কাদে তবে তার পৃথিবী-আগমনের প্রথম সপ্তাহ আফিমের নেশাতেই কাটিয়া যায়। আফিমের নেশার ঘোরে সে এক-রকম বেছশ হইয়া পড়িয়া থাকে । G ধাত্রী এবং সন্তানের জননী সন্তানকে “দূষিত চক্ষুর আক্রমণ” হইতে রক্ষা করিতে সৰ্ব্বদাই চেষ্টা করে। নীল রঙ, নাকি শিশুকে এই-সব আক্রমণ হইতে বাচায়। তাইৰষ্ঠ শিক্ষর বক্ষের উপর অনেক-সময় নীল কাপড়ের ফালি বাধিয়া দেওয়া হয়। এই-সমস্ত ফালির সঙ্গে মন্ত্ৰপূত মাজুলি ঝুলানো থাকে। . মক্কা হইতে আনীত বলির ভেড়ার চোখের মধ্যে নীলা পাথর বসাইয়া বা পশম দিয়া ছোট একটি উইমূৰ্ত্তি তৈরী করিয়া শিশুর গলায় পরাইয়া দিলেই শিশু “শনিদৃষ্টি"র প্রকোপ হইতে রক্ষা পায় । শিশুকে আপদ হইতে বাচাইবার আর-একটি উপায় তাহাকে ধোকড়-ধাকড় জাম-কাপড় পরানো । তাহা হইলে শিশুকে কেহ প্রশংসা করিবে না। ভাল-পোষাকপর শিশুকে লোকে প্রায়ই ভালবাসে এবং উচ্ছসিত প্রশংসা করে, কিন্তু প্রশংসা-বাক্যের শেষে “মসাহলা” ( ঈশ্বরই সৰ্ব্বশক্তিমান )—এই কথাটি বলিতে ভুলিয়া যায়। তাহাতে শিশুর অদৃষ্টদেবতা অপ্রসন্ন হন এবং শিশুর ভাগ্যলিপিতে স্বকল্যাণ-বাণী লেখেন । শিশুর যা-কিছু অম্লখ হয় সবেরই কারণ নাকি মন্দচোখের-দষ্টি । একবার একটি শিশুর মস্তিষ্কে নাকি জলাধিক্য হইয়াছিল। হাকিম আদিয়া বলিলেন, শিশুকে একটা দানাতে পাইয়াছে। তাহার জন্য ব্যবস্থা হইল এইরূপ—শিশুর পিতা-মাত’কে একটা নূতন কবর খনন করিতে হইবে এবং রাত্রে শিশুকে ঐ কবরে শোৱাইয়া রাখিতে হইবে। প্রাতঃকালে দানা হয় শিশুকে ত্যাগ করিয়া যাইবে, নয় তাহাকে সঙ্গে করিয়া লইয়া যাইবে । সমস্তই যথাযথ করা হইল। সকালে দেখা গেল, শিশু বেশ ঘুমাইতেছে, কিন্তু দুঃখের বিষয় তাহাকে দানা ত্যাগ করিয়া যায় নাই। তাহার অম্বথের কম্‌তি হয় নাই, বাড়তিও হয় নাই । শিশু-কস্তার পিতা প্রায় ক্ষেত্রেই কন্যাকে আদর করেন না। তবে যদি পিশর অন্ত পুরুষ-সন্তান থাকে তবে তিনি "মন্দারূনে” তাহাকে দয়া করিয়া কোলে করেন, বছরে গোটা-দুয়েক চুমাও দিয়া থাকেন। শিশু-কস্তা বাড়ীর ছেলেদের সঙ্গেই একসঙ্গে বড়িয় ওঠে এবং তার